- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন তফসিল : ইসি সচিব

secratery-128408

নিউজ ডেক্স : আগামী ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গতকাল সোমবার তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন,অক্টোবরের শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী,সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। [সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের দফা ৩ এ (সংসদ–সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে) বলা হয়েছে– (ক) মেয়াদ–অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ–অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।]

বর্তমান দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। আর ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর থেকে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এজন্য ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের সময় ধরে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়ার কথা ইসি সচিব এর আগে জানিয়েছিলেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘নির্বাচন ভবনে’ ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ ও ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের তালিকার কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো সিডি করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলা এবং উপজেলাতে এই সিডি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ভোটকক্ষ থাকবে। এক্ষেত্রে ৪০ হাজার প্রিজাডিং অফিসারসহ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়ে কয়েক লাখ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারে। গত ৫ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দাবি আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্র নীতিমালা অনুসারে সব ঠিক করে ৬ সেপ্টেম্বর মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন সেগুলো কমিশনে পাঠাবে। তারপর সেগুলো যাচাই বাছাই করে নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে।

এদিকে তফসিল ঘোষণার মাস দুয়েক আগে নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধন আনার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে সংশোধনী প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। তাতে ব্যালটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু আর কী কী সংশোধনী ইসি চেয়েছে, তা পরিষ্কার করেনি সংস্থাটি।

এ বিষয়ে গোপনীয়তা কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, কোনো গোপনীয় বিষয় নয়। আরপিও সংশোধন প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং অনুমোদন হলে মন্ত্রী সভায়, সংসদে পাস হবে। তারপর সবাই জানতে পারবেন। সবকিছু আগ থেকে জানাতে হবে, এমন তো কোনো প্রবিধান নাই।