- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু

FB_IMG_1507896173908
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : মিয়ানমারের সামরিক জান্তার জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব রোহিঙ্গাদের অপরিকল্পিত থাকা, খাওয়ার পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে বয়োবৃদ্ধ রোহিঙ্গার পাশাপাশি শিশুরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইউনিসেফের তথ্য মতে, চলমান ‘পুষ্টি সপ্তাহে’ প্রায় ২৫হাজার শিশু প্রাণঘাতী অপুষ্টিতে ভুগছে। যা চলতি বছরের মে মাসের জরীপের তুলনায় দ্বিগুণ বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সরজমিনে উখিয়ার কুতুপালং,বালুখালী, থাইংখালী, ময়নার ঘোনা ও শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ঘুরে ক্যাম্প ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে মায়েরা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। কুতুপালং ক্লিনিকে কর্তব্যরত ডা. অজিত বড়ুয়া জানান, এসব অসুস্থ রোহিঙ্গা শিশুরা প্রসব পরবর্তী থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর কারণ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে থাকাকালীন সময়ে কোন সুচিকিৎসা পায়নি। এখানে এসেও অপরিকল্পিত বসবাস, নোংরা-বাসি খাবার, অপরিচ্ছন্ন বসবাস, সর্বোপরি পরিবেশগত কারণে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘পুষ্টি সপ্তাহ’ উদ্বোধনের লক্ষ্যে ১৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক উখিয়ার বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পে আসেন। এসময় তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া ও পরিবেশ ঘুরে দেখেন। পরে পুষ্টি সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে ৬লাখ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আড়াই লাখ শিশু রয়েছে। তৎমধ্যে অধিকাংশ শিশু পুষ্টিহীনতা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব শিশুদের সুস্থ করে তুলতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত বেশির শিশু পুষ্টিহীনতা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘তাদের নিয়ন্ত্রণে সরকারি ১১টি ও বেসরকারি ৭৬টি মেডিকেল ক্যাম্পে শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূরীকরণের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া জানান, টেকনাফে সরকারি ৬টি ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা পরিচালিত ২০টি মেডিকেল সেন্টার শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে।