নিউজ ডেক্স: সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে সরকারের কার্যক্রম জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকদের হোটেলে অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সময় মানতে হবে এমন বিধিনিষেধ সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া নুনিয়াছড়া ঘাটে পর্যটকদের জন্য নির্দেশনা সম্বলিত একটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল জাহাজ ও পর্যটন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি টিম জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার মনিটরিং করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো ৬৪৪ জন পর্যটক ও ৩৭ জন স্থানীয়সহ সর্বমোট ৬৮১ জন যাত্রী বার আউলিয়া জাহাজে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেন। মোট ট্রাভেল পাস ইস্যু হয় ৭০৪টি। প্লাস্টিক/পলিথিন ব্যবহার রোধে গমন করা পর্যটকদের কাছ থেকে পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের সুবিধার্থে পরিবেশবান্ধব কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।