- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

সাঈদীর রায়ের পর পুলিশ হত্যা : ২ সাবেক এমপির বিচার শুরু

নিউজ ডেক্স : রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতায় পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চট্টগ্রামের শীর্ষ জামায়াত নেতা ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরীসহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর দেশজুড়ে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের একটি মামলার বিচার শুরু হল।বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরীর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালত ৩ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ূব খান জানিয়েছেন।

এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে জামায়াত দলীয় সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী ও আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর জাফর সাদেকসহ ৬৫ জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এর মধ্যে শাহজাহান ও শামসুলসহ কয়েকজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ূব খান বলেন, ‘মাওলানা সাঈদীর মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। একজন পুলিশ কনস্টেবলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শাহজাহান চৌধুরী ও শামসুল ইসলামসহ ৯৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দুজন আসামি মৃত্যুবরণ করায় তারা বিচারিক কার্যক্রম থেকে বাদ যাবেন। আগামী রোববার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।’

অভিযোগপত্রভুক্ত ২০ আসামি মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলেও আদালত তা আমলে নেননি বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পেশকার আলমগীর হোসেন।বিজ্ঞাপন

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ছিলেন। ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেফতার হন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য সাঈদীর ফাঁসির রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ফাঁসির রায়ের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এবং সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ডসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সহিংস তাণ্ডব শুরু করে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ কনস্টেবল মো. তারেককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। -সারাবাংলা