- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় পানিতে ডুবে ১৪ শিশুর মৃত্যু

এলনিউজ২৪ডটকম : ২০২০ সালে লোহাগাড়ায় পানিতে ডুবে ১৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর, খাল ও বালতির পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। পুরো বছরের সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

১ জানুয়ারি পশ্চিম কলাউজান রাজা মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুরে ডুবে ইবরাতুল জান্নাত ইলফা (৬) নামে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু। ৮ জানুয়ারি আমিরাবাদ জনকল্যাণ এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মুনতাসির আলম সিয়াম (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু।

১৭ ফেব্রুয়ারি আমিরাবাদ রাউজন্যা পাড়ায় পুকুরে ডুবে নূর মোহতাসিমাত মিলহান (৩) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব কলাউজান মিয়াজি পাড়ায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মো. আরফাত (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু।

১৪ মার্চ চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা দক্ষিণ পাড়ায় পুকুরে ডুবে আফিফা সোলতানা (৪) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ১১ এপ্রিল আমিরাবাদ ইউনিয়নের মল্লিক ছোবহান হাজির পাড়ায় খালে দাদা ও পিতার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে আল ওয়াজেদ রাফি (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যু। ২১ এপ্রিল চরম্বা ইউনিয়নের তেলিবিলা এলাকায় পুকুরে ডুবে মাইমুনা আক্তার জারিন (৮) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু।

১৯ মে পদুয়া ইউনিয়নের নাওঘাটা মাঝির পাড়ায় পিতার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে খালে ডুবে মো. জিহাদ (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু। ২৩ জুন সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট মাওলার পাড়ায় বাথরুমে বালতির পানিতে ডুবে মো. তাসকিন নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু। ১ জুলাই আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আধু ফকির পাড়ায় পুকুরে ডুবে মাঈনুদ্দিন বিন নাজিম জায়েদ নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু।

২৩ আগস্ট সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুখছড়ি সৈয়দ বাড়ির পুকুরে ডুবে তাহিয়্যাতুল জান্নাত নামে ১৮ মাসের এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ১০ সেপ্টেম্বর পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক আলীবিবির পাড়ায় পুকুরে ডুবে রুমাইসা জান্নাত (২) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু।

২৬ অক্টোবর বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় পুকুরে ডুবে জান্নাতুল মাওয়া (৩) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ৫ নভেম্বর আধুনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সমশু মেম্বার পাড়ায় পুকুরে ডুবে মরিয়ম বিনতে একরাম মাহিরা (২) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু।

এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, সাঁতার না জানার কারণে বেশিরভাগ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। মায়েরা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকা ও অসতর্কতার কারণে পানিতে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে পরিবারের সকলের সতর্ক থাকতে হবে। কোনভাবেই শিশুদের দৃষ্টির আড়ালে যেতে দেয়া যাবে না।