- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় টোকেনে চলছে ৬শ ব্যাটারি চালিত রিকশা

492

এলনিউজ২৪ডটকম : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া এলাকায় ব্যাপক হারে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত রিকশা। আর চালকদেরকে জিম্মি করে ‘শাহ্পীর রিকশা মালিক ও চালক সমিতির’ নামে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের বডি, প্রয়োজনীয় ব্রেকের অভাবসহ অনভিজ্ঞ চালকের হাতে থাকা এসব ব্যাটারি চালিত রিকশার কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ব্যাটারি চার্জ করার জন্য বিদ্যুতের অবাধ ব্যবহারের কারণে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়ে গেছে। যাচ্ছে।

লোহাগাড়ায় অন্তত ৬শটি ব্যাটারি চালিত রিকশা দৈনিক চলাচল করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নীরব বলে দাবি এলাকার সচেতন মহলের। শাহ্পীর রিকশা মালিক ও চালক সমিতির নামে নিবন্ধনহীন সংগঠনটি রিকশা চালকদের নিয়ন্ত্রণও করছে। প্রতিটি রিকশাকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত হতে এককালীন ৩ হাজার টাকা ফি দিতে হয় বলে জানিয়েছেন চালকরা।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানা ট্রাফিক সার্জন সাইফুল ইসলাম জানান, এ সমিতির ব্যাপারে তার কোনো ধারণা নেই। টোকেনের ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না।

এছাড়া প্রতি মাসে ৩শ টাকা করে সমিতিকে দিতে হয় প্রতিজন চালককে। অন্তর্ভুক্তির পর সমিতির নাম সম্বলিত একটি প্লেট রিকশার পেছনে লাগিয়ে দেয় তারা। ওই প্লেটে সমিতির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকের স্বাক্ষর রয়েছে।

প্রতি মাসে ৩শ টাকা চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে প্রত্যেক রিকশা চালকের কাছে দেয়া হয় একটি করে টোকেন। টোকেনে সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৪ জনের নাম ও মোবাইল নম্বর লেখা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ৩শ টাকা করে ৬শ রিকশা থেকে প্রতি মাসে আদায় হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে শাহ্পীর রিকশা মালিক ও চালক সমিতির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন জানান, চালকদের থেকে আদায়কৃত চাঁদার টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়। তবে কোন কোন খাতে এসব টাকা ব্যয় করা হয় -তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া বটতলী থেকে সাতকানিয়ার কেরানীহাট ও চুনতি পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ উপেক্ষা করে একটি মহল এসব সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। পত্রিকার স্টিকার লাগিয়েও কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে বলে জানান তিনি। এসব অটোরিকশার বিরুদ্ধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান।

এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছেন, নিষেধ অমান্য করে অবাধে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা লোহাগাড়ার মহাসড়কে চলাচল করেছে। রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠা-নামাসহ যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ব্যাটারি রিকশার বেশির ভাগেরই ব্রেক দুর্বল। দ্রুতগতিতে চলার সময় সামনে কিছু পড়লে এ যানটি আর আটকানো যায় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরও মানুষ অসহায় হয়ে এসব যানবাহনে চলাচল করে। করছে।