এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া পোষ্ট অফিস গলির একটি বেসরকারী স্কুল সংলগ্ন স্থানে জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে পক্ষ-বিপক্ষে মারামারি ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলামসহ ১৫ জন আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ ও লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রুবেল পালিত সূত্রে জানা গেছে। আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে তৌহিদুল ইসলাম ও গুলবাহার বেগমের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে থানা পুলিশে মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার দিন সকালে তৌহিদ ও বন্ধু যথাক্রমে দরবেশহাট এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র আক্কাছ (৩৩), লোহাগাড়া পুরাতন থানা এলাকার মৃত জাগির হোসেনের পুত্র মোরশেদ আলম (২৮), সামমহাজন পাড়ার আবদুল নবীর পুত্র মোঃ রুবেল (২৩) ও পুরানত থানা গেইট এলাকার মুন্সি মিয়ার পুত্র মোরশেদ আলম প্রকাশ বাঁচা মিয়া (৩৫) প্রমুখ ঘটনাস্থলে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা গুলবাহার বেগম ও তাদের সহযোগিরা তৌহিদ ও অন্যান্যদের উপর মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ফলে তারা মারাত্মকভাবে আহত হন। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মারামারি লেগে যায়। ঘটনার পর পর তৌহিদ ও অন্যান্য ছাড়াও গুলবাহার ও তাদের দলের আরো ১০ জন আহত অবস্থায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়। গুলবাহারসহ আরো কয়েকজনকে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপরাপর আহতদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ জহির উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।