- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

রোববার থেকে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ

নিউজ ডেক্স : বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে আগামী রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-প্রধান তথ্য অফিসার) মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এ তথ্য জানান। জাগো নিউজ

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মোট ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সিএনজি স্টেশন মালিকদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসলো।

জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের দৈনিক পিক আওয়ারে সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।

গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে গত ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় ‘বিদ্যুতের দৈনিক পিক-আওয়ারে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হবে’ বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

কিন্তু ওই দিন বিকেলেই সিদ্ধান্ত কার্যকরের তারিখ থেকে সরে আসে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিকেলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের বিষয়ে একটি সভা করবে।

পরে সেই সভায় সিএনজি স্টেশন মালিকরা প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেয়। কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সেই সভাটি। শেষে সভায় দেয়া মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।