- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

রেল টিকেটে অনলাইন বিড়ম্বনা : অনেকে জানেন না নিয়ম, পারছেন না ভ্রমণ করতে

নিউজ ডেক্স : করোনা পরিস্থিতিতে চলাচলরত ট্রেনগুলোর অর্ধেক টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে যাত্রীদের মাঝে। যার পুরোটাই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। সব টিকিট অনলাইনে দেয়াতে অনেককেই টিকেট কাটতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে যারা টিকেট কাটার নিয়ম জানেন না তারা স্টেশনে গিয়ে কাউন্টার ও ম্যানেজারের রুমে ভিড় করছেন। অনলাইনে টিকেট কাটতে না পেরে অনেকেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারছেন না বলে গতকাল রেল স্টেশনে অভিযোগ করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অনলাইনের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ টিকেট কাউন্টারে দেয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।

গতকাল চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারে টিকেটের জন্য অনেক যাত্রী ভিড় করছেন। সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের টিকেটের জন্য ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মাথা থেকে এসেছেন মো. ইব্রাহিম। তিনি মোবাইলে টিকেট কাটতে জানেন না। মো. ইব্রাহিম প্রতিবেদককে জানান, এখন অনলাইনে যার টিকেট তাকে কাটতে হচ্ছে। কিন্তু অনলাইনে টিকেট কিভাবে কাটতে হয় সেটা আমি জানি না। আমার কাছে স্মার্ট ফোনও নেই। আমি ১৫ বছর ধরে সিলেটে মেয়ের বাড়িতে যাওয়া আসা করি। সব সময় ট্রেনেই যাই। এরকম পরিস্থিতিতে আর কখনো পড়িনি। এখন তো দেখছি ট্রেনে যেতে পারব না।

চাঁদপুরের মেঘনা এক্সপ্রেসের টিকেটের চাহিদা অনেক। স্মার্ট মোবাইল না থাকায় এবং অনলাইনে টিকেট কিভাবে কাটতে হয় তা না জানায় স্টেশন ম্যানেজারের কাছে গিয়ে টিকেট চাইলেন চাঁদপুরের মাইদুল রহমান, মো. মুবিন, আয়েশা আক্তার ও মো. বাবুল।

এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, এখন আমরা একটি পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এই কারণে লনলাইন মাধ্যম ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। তবে অনলাইনে অনেকের টিকেট ক্রয়ে অসুবিধা হচ্ছে। অনলাইনে যার টিকেট তাকেই কাটতে হচ্ছে। অনেকের এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট নেই। বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়কে সাংবাদিকরা প্রশ্নও করেছিলেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টিকেট বিক্রির সিস্টেমেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। কারণ আমাদের বুকিং সহকারী আছে। তারা কাউন্টারে টিকেট বিক্রি করেন। তারা রেলওয়ের বেতনভুক্ত কর্মচারী। এখন সব টিকেট যদি অনলাইনে বিক্রি করা হয় তারা কোথায় যাবেন? করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন বিষয়টি বিচেনায় আসবে। এখন ফ্যামিলি এবং বন্ধু-বান্ধবরা এক মোবাইল থেকে টিকেট কাটলে সেটা আমরা বিবেচনা করছি। তবে যার মোবাইল থেকে টিকেট কাটা হয়েছে তাকে অবশ্যই ভ্রমণের টিমে থাকতে হবে। এক পরিবারের যে কারো মোবাইল থেকে পরিবারের চার সদস্যের টিকেট কাটতে পারবেন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী জানান, অনলাইনে টিকেট কাটতে অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে সেটা সত্য। যার মোবাইল থেকে টিকেট কাটা হচ্ছে টিকেটে তার নাম ও মোবাইল নম্বর দেয়া হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৫০ শতাংশ টিকেট কাউন্টারে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের কাছে প্রতিদিন অনেক লোক এসে ভিড় করেন টিকেটের জন্য। এছাড়া অনলাইনে যিনি টিকেট কাটছেন মোবাইল টাকা পরিশোধ করার পর কাউন্টার থেকে তাকে টিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। দৈনিক আজাদী