- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

রাস্তার পাশে মাদ্রাসাছাত্রীর বস্তাবন্দী লাশ

images46

নিউজ ডেক্স : পেকুয়ায় এক মাদ্রাসাছাত্রীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোররাতে স্থানীয় লোকজন মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে রক্তাক্ত একটি বস্তা রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় । পরে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বস্তা খুলে সেখানে ক্ষতবিক্ষত এক নারীর লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, কে বা কারা হত্যা করে ওই নারীর লাশটি বস্তাবন্দী করে রাস্তার পাশেই ফেলে যায় রাতের কোনো এক সময়। ওই নারী লাশের বাম কান কাটা, দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, যৌনাঙ্গেও জখমের চিহ্ন আছে। ঘটনাটি ঘটেছে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ফতেহআলী মায়ের পাড়া এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ভোররাতে তারা মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ওই এলাকার বিসমিল্লাহ সড়কের পাশে একটি রক্তাক্ত বস্তা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বস্তা খুলে সেখানে একটি ক্ষতবিক্ষত নারীর লাশ দেখতে পায়।

স্থানীয়রা জানান, হতভাগা মেয়েটির নাম আয়েশা বেগম (১৪)। সে ওই এলাকার জামাল উদ্দিনের কন্যা। নিহত আয়েশা বেগম মগনামা মাঝিরপাড়া শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

নিহতের ভাই আবদুল মালেক জানান, তার বোন আয়েশা আগের দিন সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বইপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে তারা বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে সকালে আবার খোঁজাখুঁজি করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নরপশুদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

আয়েশার মা নাছিমা আক্তার বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আমার মেয়ে বইখাতা নিয়ে সকালে মাদ্রাসায় গিয়েছিল। সন্ধ্যায় ফিরে না আসায় আমরা সম্ভাব্য সব স্থানে গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে মনে করেছি কোনো বান্ধবীর বাসায় হয়ত গিয়েছে কিন্তু আমার যাদুমনিকে কে মারল আমি জানি না।‘

মগনামা মাঝিরপাড়া শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা মোহাম্মদ নূর বলেন, ‘আয়েশা বেগম আমাদের মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী ছিল। সে ২০ তারিখও মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিল। ঘটনার দিন সে মাদ্রাসায় আসেনি। পরে জানতে পারলাম রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে।’

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজমের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছি।’

নিহত ওই নারীর শরীরে অসংখ্য আঘাত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লাশের ধরন দেখে মনে হচ্ছে কেউ প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে বস্তাবন্দী করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়।’

তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ক্লু না পাওয়ায় কে বা কারা মেয়েটিকে হত্যা করেছে তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। -আজাদী