- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

মহাশূন্যের যতো বিস্ময়

Space-BG20171022192254

নিউজ ডেক্স : পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের যে শূন্যস্থান তাকে মহাশূন্য বা মহাকাশ বলা হয়। এই মহাশূন্য অসীম এবং একইসঙ্গে বিস্ময়কর। মহাশূন্য সম্পর্কিত কয়েকটি বিস্ময়কর তথ্য নিয়েই আজকের আয়োজন।

১.
মহাশূন্য সম্পূর্ণ নিঃশব্দ। শব্দ পরিবহনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মহাশূন্যে শব্দ পরিবহনের কোনো মাধ্যম না থাকায় সেখানে কোনো প্রকার শব্দ শোনা সম্ভব নয়। তাই চাঁদে যদি প্রকাণ্ড কোনো বিস্ফোরণ ঘটে সে শব্দ পৃথিবী থেকে শোনা যাবে না। নভোচারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করেন।

২.
সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে শুক্র গ্রহে। এর ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শুক্র গ্রহের অবস্থান সূর্যের সবচেয়ে কাছে নয়। সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হচ্ছে বুধ। কিন্তু বুধ গ্রহের তাপমাত্রা খুব বেশি ওঠা-নামা করে।

৩.
নভোচারীদের জন্য নাসার তৈরি একটি স্পেস স্যুটের মূল্য ১২ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৮ কোটি টাকা। এর ওজন প্রায় ২১ কেজি।

৪.
মহাকাশে এমন গ্রহও রয়েছে যা হীরার তৈরি। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে একটি গ্রহ রয়েছে যার ভূ-পৃষ্ঠ গ্রাফাইট এবং হীরার সমন্বয়ে তৈরি। গ্রহটি আকারে পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ এবং তা রাতের আকাশে খালি চোখে দেখা যায়।

৫.
চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। তাই অ্যাপোলো মিশনের সময় নভোচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে যে পদচিহ্ন রেখে এসেছিলেন তা এখনও একই রকম রয়ে গেছে।

৬.
শুক্র গ্রহের একদিন পৃথিবীর প্রায় একবছরের সমান দীর্ঘ। শুক্র অক্ষের উপর খুব ধীরে ধীরে ঘোরে। এভাবে একবার ঘুরতে পৃথিবীর সময় অনুযায়ী ২৪৩ দিন সময় লাগে এ গ্রহের। তবে সূর্যের চারপাশ দিয়ে একবার ঘুরে আসতে গ্রহটির হিসেবে একদিনেরও কম সময় লাগে। পৃথিবীর সময় অনুযায়ী ২২৫ দিনে শুক্র গ্রহের একবছর।

৭.

আমদের সৌরজগৎ যে ছায়াপথে অবস্থান করছে তার নাম মিল্কিওয়ে। এর সবচেয়ে কাছের ছায়াপথটির নাম অ্যানড্রোমিডা। বিজ্ঞানীরা ছায়াপথ দু’টি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১১০ কিলোমিটার বেগে এরা নিজেদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এভাবে আগামী তিন দশমিক ৭৫ বিলিয়ন বছর পর ছায়াপথ দু’টির সংঘর্ষ ঘটবে।