- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

বড়ছনখোলা আশ্রিত রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তর

resize-350x300x1x0image-12521-1517235110
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়ার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়িতে বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের নয় দফায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার  রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হস্তান্তরের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী ক্যাম্পটি রোহিঙ্গা শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের উদ্যোগে প্রথম দফায় ২১ জানুয়ারি ২৮৩ জনকে হস্তান্তরের মাধ্যমে বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পটি রোহিঙ্গা শূণ্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় দফায় ৩৭০ জন, তৃতীয় দফায় ৮৯৬ জন, চতুর্থ দফায় ৮৬১ জন, পঞ্চম দফায় ৮৬৫ জন, ষষ্ঠ দফায় ৮৩৭ জন, সপ্তম দফায় ৮১১ জন, অষ্টম দফায় ৮৩৭ জন এবং নবম দফায় ৮২৫ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানে এখনো আরও দুইটি আশ্রয় ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে। তারমধ্যে দোছড়ি ইউনিয়নের বাহিরমাঠ রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে ৭৮ পরিবারের লোকসংখ্যা ৩৬২ জন এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনাপাড়ায় নোম্যান্স ল্যান্ডের আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার পাঁচশ’ রোহিঙ্গা পরিবারে লোকসংখ্যা প্রায় আট হাজার জন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরওয়ার কামাল জানান, টানা ৯ দিনের চেষ্টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পের ছয় হাজার ৫৮৫ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাপমারাঝিরি ও বড়ছনখোলা দুটি আশ্রয় ক্যাম্প রোহিঙ্গা শূন্য। পর্যায়ক্রমে ঘুমধুম ও দোছড়ি ইউনিয়নের অবশিষ্ট দুটি আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদেরও সরিয়ে নেয়া হবে।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্নেল আনোয়ারুল আযীম জানান, সাপমারাঝিরির পর বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পটিও রোহিঙ্গা শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে নতুন রোহিঙ্গাদের বসতি গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পের আশপাশে বিজিবির প্রহড়া বাড়ানো হয়েছে।
সীমান্ত পেরিয়ে নতুন কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করলে তাদের সরাসরি কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।