- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

বিদায়বেলায় শতাধিক মানুষকে ক্ষমা করার প্রস্তুতি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেক্স : বিদায়বেলায় শতাধিক মানুষকে ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাজা কমানো, দায়মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় এতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ সাধারণ ক্ষমার তালিকায় কাদের নাম থাকছে তা এখনও জানা যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার শেষ কর্মদিবসেই শতাধিক মানুষের সাধারণ ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন।

কেউ কেউ বলছেন, ট্রাম্প তার নিজের জন্য ক্ষমাপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেন। আবার অনেকেই বলছেন, তিনি এই পথ বেছে নেবেন না। মার্কিন সংবিধানে কোনো প্রেসিডেন্টের নিজেকে ক্ষমা করার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমাপত্রে সই করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে মার্কিন আইন বিশ্লেষকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কারণ এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কোনো আলোচনা হয়নি। যদিও ট্রাম্প বলছেন, তিনি নিজের ক্ষমাপত্রে স্বাক্ষরের ক্ষমতা রাখেন।

তবে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প হয়তো নিজেকে ক্ষমা করে দেয়ার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকবেন। গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প নিজেকে ক্ষমা করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন কীনা তাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লোকজন তাকে নিজের ক্ষমাপত্রে স্বাক্ষর না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শ হচ্ছে, ট্রাম্প এখন নিজেকে ক্ষমা করে দেয়ার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলে ক্যাপিটল ভবনে হামলার জন্য তাকে দায়ী করার সুযোগ আরও বেড়ে যেতে পারে। পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতার আগে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপরেই তার সমর্থকরা হামলা চালায়।

গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা শুরু করেন। এদিকে, অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নিজেকে ক্ষমা করাটা অসাংবিধানিক। কারণ এটা আইনের মূলনীতির পরিপন্থি। কেউ নিজের ভালো মন্দের বিচারক হতে পারেন না। অপরদিকে একদল বলছে যে, নিজেকে ক্ষমা করে দেওয়াটা সাংবিধানিক কারণ সংবিধানে ক্ষমা করার ক্ষমতা বেশ বিস্তৃত।

গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হয়েছেন ট্রাম্প। তাকে সিনেটে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলছে, ট্রাম্প নিজের বা তার পরিবারের সদস্যদের সাধারণ ক্ষমার তালিকায় রাখার কোনো পরিকল্পনা করছেন না। গত রোববার সাধারণ ক্ষমার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতায় বসার আগেই এই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।