- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

বাড়ছে নদীর পানি, জুনেই বন্যার সম্ভাবনা

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা)। এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও উজানের অববাহিকার অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতসহ কতিপয় স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে দেশের প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়ছে। এতে চলতি মাসেই বিভিন্ন অঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (১৭ জুন) বন্যা পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অব্যাহত বৃদ্ধির কারণে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিভিন্ন স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এই সময়ে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি আগামী দুই সপ্তাহে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। বৃষ্টিপাত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে চলতি সপ্তাহের প্রথম ভাগে এবং পরবর্তী সপ্তাহের প্রথম ভাগে কতিপয় স্থানে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে নদী দুটির অববাহিকাভুক্ত নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী দুই সপ্তাহে গঙ্গা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই। পদ্মা নদীর পানি জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

মেঘনা অববাহিকার উজানের প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃষ্টিপাত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে চলতি সপ্তাহের শেষাংশে সুরমা-কুশিয়ারা এবং আপার মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর (সারিগোয়াইন, যদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস, মনু, খোয়াই) পানি কোথাও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার নদীর পানি আগামী এক সপ্তাহ সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃষ্টিপাত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তীতে অববাহিকার নদীগুলোর (হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী) পানি কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। জাগোনিউজ