Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বাবাকে নিজের চেয়ারে বসিয়ে সম্মান দেখালেন ভিপি নুর

বাবাকে নিজের চেয়ারে বসিয়ে সম্মান দেখালেন ভিপি নুর

163936_pic

নিউজ ডেক্স : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম নিজ এলাকায় জমকালো এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক নুর। সেখানে এলাকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিও হয়েছেন তিনি। বলেছেন সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে নানা কথা।

এদিকে নুরের যোগ দেওয়া ওই অনুষ্ঠানে নিজের জন্য রাখা সংরক্ষিত চেয়ারে বাবাকে বসিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। যার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ফেসবুকে অনেকে মন্তব্যও করেছেন।

নাজমুল হাসান নামে ‘যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান’ লিখেছেন, নুর ভাইয়ের ডান পাশে ওনার বাবা বসে রয়েছেন। ভিপির জন্য রাখা চেয়ারটায় বাবাকে বসালেন। ছেলে যখন বারবার হামলার শিকার হন তখন বাবা বলেন, ‘তোমার শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবে। এতে তোমার মরণ হলেও হোক। বাবা আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি’।

আবু রায়হান নামে একজন বলছেন, তার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত ছিল। রহমানের বক্তব্য, এজন্যই তিনি সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি।

জানা গেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপার কৃষক মো. ইদ্রিস হাওলাদারে ছেলে নুরুল হক নুর। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে নুর দ্বিতীয়। এতো বড় সংসারের ঘানি টানতে নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার কৃষি কাজের পাশাপাশি উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি বাজারে চায়ের দোকান দিয়েছেন। এ দোকান দিয়েই তিনি সংসার চালান।

পটুয়াখালীর চরবিশ্বাস ইউনিয়নেই শৈশব কেটেছে নুরের। সেখানের চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি স্কুলে। সেখান থেকে এসএসসি এবং উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। এরইমধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়েছিলেন নুর।

এদিকে এলাকার ওই অনুষ্ঠানে নুর বলেছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দেশ কি এখনো স্বাধীন হয়েছে? ব্ঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি স্বাধীনতার পর যে চোর বাটপার পেয়েছি এরা সাধারণ মানুষের ধন সম্পদ লুটে পুটে খেতে চায়। সেই ১৯৭২ সালে তিন এই কথা বলেছিলেন কিন্তু আজকের অবস্থা ভালো না সেটা আরো বেগমান, দ্বিগুণ গতিতে বেড়েছে। সেটা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন? প্রত্যেকটা সরকারের আমলেই দুর্নীতি, অনিয়ম অসংখ্যাবার হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার থেকে কৃষকদের জন্য সার, বীজ, টাকা, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ আসে এগুলো কী আপনারা সবাই ঠিকমতো পান? থানায় মামলা করতে টাকা লাগে, কোনো অন্যায়ের বিচার চাইতে নেতাদের কাছে গেলে টাকা ছাড়া সমাধান হয় না। আজকে আমাদের সমাজ দুর্নীতিম অনিয়মের চরম শিকড়ে পৌঁছেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!