আন্তর্জাতিক ডেক্স : বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে পাশে থাকবে তুরস্ক। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু।
এসময় প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তুরস্কের প্রতিরক্ষাপণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ এবং এগুলো কিনতে কোনো শর্ত আরোপ করা হয় না। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবকিছু তৈরি করি না, তবে ৭৫ শতাংশের বেশি আমরা উৎপাদন করি। এর কারণ হচ্ছে, এর আগে যখন সমস্যা চলছিল, তখন আমাদের বন্ধুরাও আমাদের প্রতিরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেনি এবং সে জন্য আমরা বেশির ভাগ পণ্য নিজেরাই উৎপাদন করি।’
মেভলুত কাভুসোগ্লু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার হবে, যা গত বছর ছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। তুরস্কের নির্মাণপ্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এবং চীনের পরেই তুরস্কের অবস্থান। এ খাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য কাজ করবে তুরস্ক বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তারা যেন ভালো থাকেন, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াটাই মূল সমাধান। বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে এখন এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। আমরা আগামীতে একে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই, যোগ করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু মঙ্গলবার রাতে দুইদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন মেভলুত কাভুসোগ্লু। বিডি-প্রতিদিন