ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | প্রকাশ্যে ধূমপান, থুতু-পানের পিক ফেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রকাশ্যে ধূমপান, থুতু-পানের পিক ফেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট

নিউজ ডেক্স : রাস্তা-ঘাট, ফুটপাতে মূত্র ত্যাগ, প্রকাশ্যে ধূমপান ও যত্রতত্র থুথু ও পানের পিক ফেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। দেশে বিভিন্ন প্রকার আইন থাকলেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই বিবেচনায় নতুন আইন প্রণয়নের নির্দেশনা সংক্রান্ত রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (মওসুস) পক্ষ থেকে এই রিট আবেদন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম, সিলেট রাজশাহীসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন,পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনকে বিবাদি করা হয়েছে।

সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করেন। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী নিজেই।

ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ও নোটিশ পাঠানের পরও কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই আবেদন করা হয় বলে জানান আইনজীবী। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে মারাত্মক বায়ুদূষণে ভুগছে। আবার এসব দূষণের কারণে যক্ষাসহ নানা রোগে ভুগছেন অনেকেই।

রাস্তায় চলতে-ফিরতে দেখা যায় মানুষ রাস্তার পাশেই প্রস্রাব করছে, দেয়ালের আশেপাশে থুতু নিক্ষেপ করছে, আবার কেউ কেউ একদম প্রকাশ্যেই ধূমপান করছেন। এর ফলে ওইসব জায়গা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচলের সময় চরম বিপত্তিতে পড়ে। প্রস্রাবের প্রকট দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে হাঁটতে হয় পথচারীদের। কোথাও কোথাও আবার ফুটপাতের ওপরই মলত্যাগ করতে দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফুটপাতের ওপর বা রাস্তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করছে তারা কী ইচ্ছাকৃতভাবে করছে নাকি বাধ্য হয়ে? সব মিলিয়ে এসবের সমাধান প্রয়োজন, তাই এই রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।

মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া আরও জানান, শুধু বাংলাদেশে না, অনেক দেশেই যত্রতত্র থুতু ফেললে শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন সৌদিআরবে রাস্তায় থুতু ফেললে ১০০ থেকে ১৫০ রিয়াল জরিমানা করা হয়। গঙ্গায় বর্জ্য বা থুতু ফেললে তিন বছর কারাদণ্ড বা ১০ হাজার রুপি জরিমানার বিধান রেখে ভারতে ২০১১ সালে আইন করা হয়। আর ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ের রাস্তায় থুতু বা পানের পিক ফেলার দায়ে পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা ও এক থেকে ৫ দিন পর্যন্ত সরকারি দপ্তর ও রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কারের বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের আইন এত কঠোরও নয় তবে আইন প্রয়োগে উদাসীনতা থাকায় এ বিষয়ে জনসচেতনতা তেমন একটা বাড়ছে না। সে জন্য এই রিটটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!