মারুফ খান : যখন পিতার লাশ মর্গে তখন মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে। এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ধলিবিলা সাইর পাড়া এলাকায়। হতভাগ্য কন্যার পিতা সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফ (৩৮)। গত ৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার পদুয়া পদ্মবিল এলাকা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি পদুয়া ইউনিয়নের ধলিবিলার সাইর পাড়ার মৃত ফজু মিয়ার পুত্র ও দু’সন্তানের জনক।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় পাবিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। একইদিন লোহাগাড়া থানায় নিহতের স্ত্রী খতিজা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ডিউটি অফিসার এসআই সাগর। অভিযোগে প্রকাশ, ৭ ফেব্রুয়ারী তার স্বামী যথানিয়মে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে পদুয়া থেকে এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কন্যা শরমিন আক্তার (১৬) পদুয়া এসআই চৌধুরী বালিকা বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রে শরমিন তার জীবনের হিসাব মিলানোর সাথে সাথে পিতার মৃত্যুর দোলাচালে বিহবল হয়ে পড়ে। লাশ দাফনের সময় কন্যা ও পরিবারের লোকজনের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, আগামী দিনে কন্যার ভবিষ্যত কি হবে ? নিতান্ত সহায়-সম্বলহীন সিএনজি চালক আবদুল মোনাফ তিল তিল করে কন্যা করে গড়ে তুলছিলেন। নিয়তি তার স্বপ্ন চুরমার করে দিল। কন্যার ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে তারা দানশীল ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, হত্যাকারী যেই হোক তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।