- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ধুলায় ঢেকেছে সড়ক, নিশ্বাস নেওয়া দায়

নিউজ ডেক্স : নগরে উন্নয়ন যন্ত্রণার কারণে এখন ধুলার রাজত্ব। হেমন্তের বাতাসে সেই ধুলা মাখামাখি করছে পথচারীর শরীরে। নিশ্বাস নেওয়াও যেন দায়।

ধুলার আস্তরণ জমেছে গাছের পাতায়। রাস্তার পাশে থাকা দোকানীদের ব্যবসা উঠেছে লাটে। মাঝিরঘাট, স্ট্যান্ড রোড, অলংকার, নিমতল, নন্দনকানন, আগ্রাবাদ, হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং রোড এলাকায় চলাচল করতে হচ্ছে এই ধুলাকে সঙ্গী করেই।

জানা গেছে, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ যেখানে ১০০ পিপিএম পার হলেই বিপজ্জনক মাত্রা ধরা হয়, সেখানে চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রামের বাতাসে এই পরিমাণ ৩৫০০ পিপিএমের বেশি।

ধুলার দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে, চাকরিজীবী, চালক ও পথচারীদের অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেও স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারছেন না। রাস্তার পাশে থাকা কিছু খাবার দোকানের সামনে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ধুলা আটকানোর চেষ্টা চলছে।   

তারপরও খাবার-দাবারসহ দোকানের জিনিসপত্র হয়ে যাচ্ছে ধুলায় ধূসর। নগরের সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ভাস্কর্য-ম্যুরাল ও ফুটপাতে লাগানো গাছের চারা হয়ে গেছে বিবর্ণ।

ধুলার কারণে ছড়াচ্ছে রোগবালাই। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি ও চোখের সংক্রমণ বাড়ছে। বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। অস্বাভাবিক যে ধুলাবালি সেটা মূলত সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পিডিবি ও সিডিএর উন্নয়ন কাজের কারণেই হচ্ছে বলে দাবি করছেন নগরবাসী।  

সড়কে ধুলার দাপট কমাতে চসিকের আছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার তিনটি সুইপিং গাড়ি। সম্প্রতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাস্তার ধুলাবালি পরিষ্কারে চসিককে আরও তিনটি সুইপিং গাড়ি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গাড়িগুলো উন্নত বিশ্বের মসৃণ সড়কে জমে থাকা হালকা ধুলা পরিষ্কার করার উপযোগী।  

এদিকে নগরে ধুলাবালির প্রকোপ কমাতে ওয়াসার উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যে পানি ছিটানো হয়। এ কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নগরবাসীকে স্বস্তি দিলেও স্থায়ী সমাধান মিলছে না।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী যে কাজ করতে পারবে, তার চেয়েও বেশি পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সক্ষমতা একটি স্যুইপিং গাড়ির। ইতালি থেকে আনা এ গাড়ি দিয়ে অন্তত ১২ কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার করা যাবে। গাড়ির ব্রাশ মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধুলাবালি-বর্জ্য পাইপ দিয়ে তুলে নেবে। এর সঙ্গে আলাদা পানির ট্যাংকও যুক্ত আছে। প্রয়োজনে পানি ছিটিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা যাবে। আবর্জনা সংগ্রহের পর সুবিধাজনক স্থানে তা আনলোড করবে। আবর্জনা আনলোডের পর গাড়ির পানি দিয়ে গাড়িটি ধুয়ে ফেলার সুযোগও রয়েছে। বাংলানিউজ