- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

তিনি কখনও উপ-সচিব, কখনও সাংবাদিক

নিউজ ডেক্স : মোজাম্মেল হক (৪৩)। কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকার হাজী আব্দুল হকের ছেলে। থাকেন নগরের আলকরণ এলাকায়। তিনি নিজেকে কখনও বিসিএস অফিসার, কখনও সাংবাদিক পরিচয় দেন। এসব পরিচয়ে প্রতারণা করে বেড়ান নগর জুড়ে।  

গত ২১ জানুয়ারি এক ছাত্রকে সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর ও সিলযুক্ত ভুয়া সুপারিশপত্র সরবরাহ করে প্রতারণা করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।  

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রতারক মোজাম্মেল হককে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে ভুয়া ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে।  

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, গত ২১ জানুয়ারি এক ছাত্রকে সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর ও সিলযুক্ত ভুয়া সুপারিশপত্র সরবরাহ করে প্রতারণা করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, মোজাম্মেল হক নিজেকে কখনও বিসিএস অফিসার, কখনও সাংবাদিক পরিচয় দেন। এসব পরিচয়ে প্রতারণা করে বেড়ান নগর জুড়ে।  

কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আইয়ুব উদ্দিন বলেন, মর্জিনা আক্তার নামে এক নারীকে তার ছেলেকে সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নেন মোজাম্মেল হক ও তার সহযোগী জামাল। গত ২ ফেব্রুয়ারি জামালকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জামালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। ওইদিনের পর থেকে পলাতক ছিলেন মোজাম্মেল হক।  

তিনি বলেন, মোজাম্মেল হক সরকারি বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহ করে নাম-পদবি সব ঠিক রেখে শুধু মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে একই ধরনের ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে। এই কার্ড দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলানিউজ