- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির অভিযোগ

সাংবাদিক জমির উদ্দিন

নিউজ ডেক্স : তথ্য জানতে চাওয়ায় এক সাংবাদিকের নামে মামলা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষারের বিরুদ্ধে।

রেলওয়ের টিকিট বিক্রির প্রায় ৯৪ হাজার টাকা ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে শনিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জমির উদ্দিন নামে ওই সাংবাদিককে এ হুমকি দেন।

জমির অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। তিনি বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী রুটের ছয়টি স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকার হদিস না পাওয়ার বিষয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সর্বশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সামছ তুষার ক্ষিপ্ত হন। এর এক পর্যায়ে এই রেল কর্মকর্তা আমাকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারি’ বলে হুমকি দেন।

ফোনালাপের রেকর্ড রয়েছে উল্লেখ করে জমির উদ্দিন দাবি করেন, ফোনালাপের শুরুতে তিনি সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি টিকিট বিক্রির টাকা খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইতেই সামছ তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর এক পর্যায়ে সাংবাদিক জমির তদন্ত রিপোর্টের সময়সীমার বিষয়ে জানতে চাইলে আরও রুঢ় ব্যবহার শুরু করেন ওই রেল কর্মকর্তা।

সাংবাদিক জমিরের ভাষ্যমতে, এরপর তিনি (সামছ তুষার) বলেন, ‘এটা কি আপনাদের? আপনি দুই দিন পরপর ফোন করতেছেন। আপনি কিভাবে জানেন এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে? আমার ভেতরের জিনিস আপনি কীভাবে জানলেন? কে দিয়েছে এই তথ্য ? এই যে শোনেন, আপনি যে এই তথ্যটা ইয়ে করছেন, আমি কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল অ্যাক্টে অ্যাকশন নিতে পারি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষার বলেন, ‘আমি হুমকি দেইনি, আমার কাছে কল রেকর্ড আছে।’

চট্টগ্রাম-নোয়াখালী রুটের (নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের) ছয়টি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা চট্টগ্রামে পাঠানোর উদ্দেশে সিন্দুকে সিলগালা করে লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়।

শাহাবুদ্দিন সিন্দুকটি গার্ডের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন। ট্রেনের গার্ড চট্টগ্রাম পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিসে বুঝিয়ে দিতে গেলে দেখা যায় সিন্দুকটির তালা ভাঙা। একই সঙ্গে সিন্দুক থেকে ‘হাওয়া’ হয়ে যায় ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিনকে সিন্দুকের তালা ভাঙার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। এরপরও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সিন্দুকের গায়ে নতুন একটি কার্ড ট্যাগ লাগিয়ে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। জাগো নিউজ