- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ট্রাফিক সার্জেন্টের লাথিতে লুটিয়ে পড়লেন রিকশাচালক

নিউজ ডেক্স : ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট তেড়ে এসে রিকশাচালককে মারলেন পরপর তিনটি লাথি। তাতে লুটিয়ে পড়লেন রিকশাচালক জামাল মিয়া। সড়কের পাশে ফুটপাতে কিছুক্ষণ গড়াগড়ি করলেন, অঝোরে ঝরালেন চোখের পানি।

সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম নগরের ২ নম্বর গেট মোড় এলাকায়। জাগো নিউজ

মারধরের শিকার রিকশাচালকের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়। তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করেন। তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক বলে জানান।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ফারুক। তিনি নগর ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সার্জেন্ট পদে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার আগে রিকশাচালক জামাল মিয়া দুজন যাত্রী নিয়ে বহদ্দারহাট থেকে কসমোপলিটন আবাসিকের দিকে যাচ্ছিলেন। রিকশায় থাকা যাত্রীরা ২ নম্বর গেট মোড়ের কয়েকগজ আগে এসএ পরিবহনে রিকশা দাঁড় করান। এরপর সেখান থেকে মোড়ের দিকে আসতে কয়েকগজ পথ উল্টো চালান ওই চালক। সেটি দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে সার্জেন্ট ফারুক পরপর তিনটি লাথি দেন। এতে রিকশাচালক জামাল লুটিয়ে পড়েন৷ পরে ফুটপাতে বসেই কাঁদতে থাকেন।

রিকশায় থাকা এক যাত্রী বলেন, ‘আমি ওই সার্জেন্টকে নিষেধ করেছি। তা নাহলে তিনি আরও মারতেন। এভাবে তো একজন রিকশাচালককে মারা যায় না। তিনি অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতো।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিকশাচালক জামাল মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমরা লেখাপড়া করতে পারিনি বিধায় রিকশা চালাচ্ছি। এখন আমাকে যেভাবে মারছে, আমি আগামীকাল রিকশাও চালাতে পারবো না।’ এ ঘটনার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা এসে রিকশাচালককে কিছু ওষুধ কিনে দেন এবং নাস্তা করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারাদিন সড়কে চাপের মধ্যে থাকি। মেজাজ অনেক সময় ঠিক থাকে না। মোড়ের মধ্যে এমনিতে যানজট লেগে আছে। কিছু রিকশাচালক প্রায় সময় উল্টো পথে আসেন। এদের তো মামলা দেওয়া যায় না। বিষয়টি বুঝতে পেরে এ ধরনের অপরাধ তারা বেশি করেন।’

জানতে চাইলে ট্রাফিক উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আলী হোসেন বলেন, ‘ওই রিকশাচালককে আমার কাছে একটা অভিযোগ দিতে বলেন৷ আমি অভিযুক্ত সার্জেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’