এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের রাজঘাটা ও কলাউজানের লক্ষণেরখীল বড়–য়া পাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় টংকাবতী খাল থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একটি প্রভাবশালী মহল ১০ দিন যাবত এস্কেভেটরের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে আসেছে।

তারা আরও জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে নদীর দু’পাড় ধ্বসে যাবে। পার্শ্ববর্তী লোকালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। প্রবাহমান স্রোতে আড়ি বাঁধ দিয়ে চরম্বার রাজঘাটা এলাকা থেকে ও কলাউজানের লক্ষণেরখীল রাস্তা দিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। তাদের মতে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে উত্তোলিত বালি পাচার করায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।

এস্কেভেটরের মালিক খোরশেদ আলম ও দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তারা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এ বালু উত্তোলন করছেন।
অপরদিকে, লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদ্মাসন সিংহ সাংবাদিকদের, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ ফেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের, তিনি ট্রাক চলাচল ও বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জানা যায়, ঘটনাস্থলে দীর্ঘদিন ধরে খালের স্রোত গতি পরিবর্তন করায় লক্ষণেরখীল এলাকায় নদীতে বিরাট বালুচরের সৃষ্টি হয়। রাজঘাটা এলাকার বাঁকে স্রোতের ধাক্কায় কয়েকটি বসতবাড়ি ও ভিটা খালের গর্ভে বিলীণ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংবাদপত্রে লেখালেখি হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আসলাম সাংবাদিকদের জানান, সমস্যাটি তাঁর নজরে আসলে তিনি মূলস্রোতে প্রতিবন্ধক বাঁধ দিয়ে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি খোরশেদ আলমকে দু’লক্ষ টাকার বিনিময়ে চরের উপর দিয়ে খালের প্রবাহ চলাচলের দায়িত্ব দেন।
স্থানীয়রা জানান, খোরশেদ আলম একজন ইটভাটার মালিক। তার মাটি কাটার এস্কেভেটর রয়েছে। খালের গতিপথ পরিবর্তনের পর দু’পাড়ে শক্ত মাটি দিয়ে বেঁড়িবাঁধ দেয়ার কথা। কিন্তু তা না করে উল্টো চরের বালিগুলি কেটে নেয়া হচ্ছে। ফলে স্রোতের গতিপথের দু’পাশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধভাবে বালু তুলে নেয়ায় গর্তের পাশাপাশি খালের মূল স্রোতের পাড়ও তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আসলাম সাংবাদিকদের আরো জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। নদীর গতিপথ জনস্বার্থে পরিবর্তনের পরপরই স্থানীয় চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমানকে তদারকীর দায়িত্ব দিয়ে এসেছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।