নিউজ ডেক্স : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের সংক্রমণ এখনও রয়েছে। তবে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার শারীরিক অবস্থাও আগের চেয়ে উন্নতির দিকে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে মিন্টু বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকরা ডা. জাফরুল্লাহকে ৪২ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে এবং ভিজিটরদের সঙ্গে দেখা ও কথা না বলতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বলেন, দেশের জনগণের করোনাকালীন সময়ে যে দুরবস্থা তা চিন্তা করলে এক ঘণ্টাও রেস্ট বা কথা না বলে থাকা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা- গলার স্বর নিচু, কাশি আছে। কথা বলেন আস্তে আস্তে। নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না। তার শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ আছে, তবে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করছেন। আগের চেয়ে বেশি হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়ে উন্নতির দিকে। পূর্ণ সুস্থ হতে আরও বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।’
আজ বিকেল ৫টায় সর্বশেষ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার পর গণস্বাস্থ্যের অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের কাছ থেকে তার শারীরিক ও চিকিৎসার সর্বশেষ এ অবস্থা জানতে পারেন জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। তিনি আরও জানান, জাফরুল্লাহ মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত।
ডা. জাফরুল্লাহ বর্তমানে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। তবে গত ১৩ মে তিনি করোনামুক্ত হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ জুন জানা যায়, তার ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হয়েছে। এ জন্য তাকে অক্সিজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছিল। এর আগে টানা বেশ কয়েক দিন অক্সিজেনেই ছিলেন তিনি। এরপর ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও ৩০ জুন আবার কিছুটা অবনতি হয়। জাগো নিউজ