- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

চট্টগ্রামে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নবায়ন-নতুন লাইসেন্স পেতে ৭৬৯ আবেদন

নিউজ ডেক্স : মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স পেতে ৭৬৯টি আবদেন জমা পড়েছে। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে এসব আবেদন জমা পড়েছে বলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এতদিন মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ছিল ৫৩৪টি। তবে ২০১৮ সালের শেষ দিকে এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নবায়নের পাশাপাশি নতুন লাইসেন্স প্রদানেও অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়।

গত ২৩ আগস্ট পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স ও নবায়নের ক্ষেত্রে এ আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। এ সময়সীমার মধ্যে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মোট ৭৬৯টি আবেদন জমা পড়েছে অনলাইনে। যদিও একই প্রতিষ্ঠান একাধিক আবেদন করায় আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছয়শ’র কিছু কম-বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- অনলাইনে আবেদনের পর নতুন লাইসেন্স পাওয়া কিংবা নবায়নে আরো বেশ কয়টি ধাপ বা প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। যেমন- সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ অনলাইনে আবেদনের পরপরই আবেদনগুলো আবেদিত হিসেবে দেখানো হয়। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই পূর্বক কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকা আবেদনগুলো ‘ওয়েটিং ফর ইন্সফেকশন (পরিদর্শন প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা)’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভূক্ত করা হয়। এবং প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন পূর্বক প্রতিবেদন প্রদানে সিভিল সার্জন কার্যালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়। আর পরিদর্শনের জন্য নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত বাকি আবেদনগুলো দেখানো হয় ‘পেন্ডিং’ হিসেবে।

যাচাই-বাছাইয়ের পর ডকুমেন্ট বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক দিতে না পারা আবেদনগুলোকে ‘অসম্পূর্ণ’ হিসেবে দেখায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই ক্যাটাগরিতে যথাযথ ভাবে আবেদন করতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্ত হয়। আর এই ক্যাটাগরির আবেদনগুলো অনেকটা রিজেক্টেড হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পরিদর্শন সম্পন্ন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনসমূহ তালিকাভূক্ত করা হয় ‘পরিদর্শন সম্পন্ন’ (ইন্সফেকশন ডান) ক্যাটাগরিতে। আর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিদর্শন প্রতিবেদন পাওয়ার পর সর্বশেষ ধাপে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স (নতুন বা নবায়ন) অনুমোদন দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়- ৭৬৯টি আবেদনের মধ্যে গতকাল (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের। আরো ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। ৭৯টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ‘ওয়েটিং ফর ইন্সফেকশন’ পর্যায়ে রয়েছে। পেন্ডিং হিসেবে রয়েছে ২০৬টি। আর এখনো আবেদিত পর্যায়ে রয়েছে ১৬৭টি আবেদন। অন্যদিকে মোট আবেদনের মধ্যে ১৮১টি অসম্পূর্ণ হিসেবে ‘রিজেক্টেড’ পর্যায়ে রয়েছে।

অসম্পূর্ণ ও পেন্ডিং থাকা আবেদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সময় দেয়া হবে কী না, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে। অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদনের বিষয়টি আগে স্থানীয় পর্যায়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে থাকলেও কয়েকবছর আগে সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ভাবে কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদন দিয়ে আসছে। দৈনিক আজাদী