- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

চকরিয়ায় বাসে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

নিউজ ডেক্স : তিন দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৌদিয়া পরিবহনের বাসে ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

তারা হলেন ইয়াহিয়া ওরফে জয়নাল (২৬), ছলিম উল্লাহ (৩৩), ছাবের আহমেদ (২৯), আবুল কালাম (৩০), শাহ আমান ওরফে বাটু (২৮) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৫)।

কক্সবাজার সদর ও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রবিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।

আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের পোকখালী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ডাকাত দলের নেতা ইয়াহিয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছলিম উল্লাহ, ছাবের, কালাম, শাহ আমানকে এবং মহেশখালী উপজেলা থেকে আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তাদের কাছ থেকে ২০টি মোবাইল ফোন, এক জোড়া সোনার কানের দুল, একটি হাতঘড়ি, নগদ দুই হাজার ৫৮০ টাকা, আরব আমিরাতের ২৫৫ মুদ্রা, ওমানের ৩০০ মুদ্রা উদ্ধার করা হয় যেগুলো এ বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতি করা মুদ্রা বলে দাবি র‌্যাবের।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর ভোর রাতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী বেশে একদল ডাকাত হানা দেয়। যাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দুইজনকে গুলি করে ও একজনকে কুপিয়ে জখম করে ডাকাত দল। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় একটি মামলা করা হয়।

বাস যাত্রীরা জানায়, ঘটনার দিন চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস রাত সাড়ে ১২টায় সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাত পৌনে একটার দিকে বাসটিতে শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে লুঙ্গিপরা সাতজন লোক উঠেন। বাসটি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা দুইজনকে গুলি করে এবং এক জনকে কুপিয়ে জখম করে। যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও এলাকায় পৌঁছালে বাস থেকে নেমে যায় ডাকাতরা।

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক জানান, চকরিয়া থানায় মামলা হওয়ার পর র‌্যাব সদস্যরা এর ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, “ঘটনার দিন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চকরিয়ার ফাসিয়া খালি থেকে কক্সাবাজারের ঈদগাঁও পর্যন্ত চালিয়ে যান বলে জানিয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় সাতজন জড়িত। পলাতক একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।”

লে. কর্নেল মশিউরের দাবি, গ্রেপ্তার ছয়জন ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিভিন্ন সময়েই তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ডাকাতি করে থাকে। এই মাসের ৫ ও ১২ তারিখেও একই স্থানে দু’টি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।

ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে আলাদা একটি মামলা করা হবে এবং অপর পাঁচজনকে চকরিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বিডিনিউজ