- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

কানাডার শেষ অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটিও ধসে পড়ল, অশনি সংকেত দেখছেন বিজ্ঞানীরা

ছবি: ২০১৪ সালে নাসার তোলা কানাডিয়ান আর্টটিকের এললেসেমি দ্বীপের মেরু-তুষার প্রাচীর।

আন্তর্জাতিক ডেক্স : বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রতি বছরই ভাঙছে মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফের পাহাড়৷ এসব বরফের পাহাড়ের আকৃতি কয়েক মাইল থেকে শুরু করে কয়েকশ মাইল পর্যন্ত। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর জলবায়ুতে। তেমনই ভয়ংকর এক কাণ্ড ঘটেছে কানাডীয় সুমেরু সাগরে, শেষ অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটিও ভেঙে পড়েছে, গলতে শুরু করেছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাত্র দুদিনের মধ্যেই অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটির প্রায় ৪০ শতাংশ গলে গেছে।

বৃহস্পতিবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। ‘দ্য কানাডিয়ান আইস সার্ভিস’ টুইট করে জানিয়েছে, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রার ফলে এবং বাতাস ও খোলা পানি থাকায় হিমবাহটি ভেঙে গেছে।’ এলসমেয়ার দ্বীপের কাছে অবস্থিত ছিল এই ‘মিলনে আইসশেলফ’ নামের বিশাল এই তুষার প্রাচীরটি।

মিলনে আইসশেলফের উপর গবেষণা চালানো কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দল জানিয়েছে, ‘গোটা শহরের মতো সাইজের এক একটা বরফের টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে মেরু-তুষার প্রাচীরটি।’ প্রায় ৮০ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভেসে ছিল ওই মেরু-তুষার প্রাচীরটি। এটাই বিশ্বের শেষ এত বড় মেরু-তুষার প্রাচীর ছিল, যা বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে ভেঙে পড়ল। গত ৩০ বছরের চেয়ে বেশি দ্রুত গতিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই মেরু-তুষার প্রাচীরটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে যে হিমবাহ গলতে শুরু করেছে, সে তথ্য অনেক আগেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বরফ গলে সমুদ্রের পৃষ্টের উচ্চতা বাড়লে ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কাও বেশ কয়েক বছর ধরেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেই আশঙ্কায় নতুন মাত্রা যোগ করল সুমেরুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। সেখানের সবচেয়ে পুরোনো, পুরু বরফের স্তরেও এ বার ফাটল ধরতে আরম্ভ করেছে। প্রবল বাতাসে গ্রিনল্যান্ডের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মাঝ সমুদ্র পর্যন্ত ভেসে চলেছে সেই বরফের ভেঙে পড়া স্তূপ। আর এটাকেই অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।