- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গৃহবধু হত্যা মামলা

45949444_1827342490703466_2830143329327382528_n-600x337

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার পূর্ব কলাউজান মিয়াজি পাড়া (অল্ল্যার মা’র পাড়া) এলাকায় গৃহবধু জান্নাতুল ফেরদৌস হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং- ২ এ এই মামলা দায়ের করেন গৃহবধুর পিতা পশ্চিম কলাউজান বাংলা বাজার এলাকার মৃত মোহাম্মদ এমদাদের পুত্র হাফেজ হোছাইন আহমদ।

মামলার আসামীরা হলেন মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, আবদুল গফুর, ছমুদা খাতুন, আবদুল ওয়াহেদ, মোঃ আইয়ুব, মোঃ ফেরদৌস ও হুমায়ুন। এছাড়াও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। মামলা নং- ১৬৯৪/২০১৮। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশ (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার ১নং আসামী নিহত গৃহবধু জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, ২নং আসামী গৃহবধুর শ্বশুর আবদুল গফুর, ৩নং আসামী গৃহবধুর শ্বাশুড়ী ছমুদা খাতুন, ৪ নং আসামী আবদুল ওয়াহেদ, ৫নং আসামী মোঃ আইয়ুব ও ৭নং আসামী হুমায়ুন ১নং আসামীর বশীয় লোক এবং ৬নং আসামী মোঃ ফেরদৌস ১নং আসামীর বন্ধু।

অভিযোগে সূত্রে আরো জানা যায়, গত ২৭ জুলাই ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের সাথে জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস না যেতেই গত ৫ আগষ্ট বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। বিষয়টি জান্নাতুল ফেরদৌস তার মা-বাবাকে জানালে তারা যৌতুক দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে আসামী পক্ষ জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার মা-বাবার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং গৃহবধুকে নানাভাবে মানষিক নির্যাতন করে। গত ১৬ আগষ্ট রাতে ভিকটিমের পিতা মেয়ের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য ফোন করলে শ্বাশুড়ী ফোন রিসিভ করে। ভিকটিম ঘুমাচ্ছে বলে লাইনকেটে ফোন বন্ধ করে দেয়। এতে ভিকটিমের পিতার সন্দেহ হয়। পরদিন ১৭ আগষ্ট সকাল ১১টায় ভিকটিমের স্বামী, ভিকটিমের মাকে ফোন করে বলে তার মেয়ে মরা গেছে। আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিমকে তড়িগড়ি করে দাফনের চেস্টা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।

ভিকটিমের পিতা প্রতিতবন্ধী হাফেজ হোসাইন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়ে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত। স্বামীর বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে মামলার পর ১নং আসামী স্বামী কুতুব উদ্দিন বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

মামলায় কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে তড়িগড়ি করে ভিকটিমের লাশ দাফনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।