- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

কলাউজানে স্কুল ছাত্রী অপহরণ : মামলা রুজুর পর অপহৃতা উদ্ধার, আটক ১

image-30744

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বলজুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত ১৮ অক্টোবর অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও পূর্ব কলাউজান আদারচর গ্রামের মৃত মোস্তফিজুর রহমানের কন্যা। এ ব্যাপারে গত ৭ নভেম্বর অপহৃতার মা মছুদা বেগম বাদী হয়ে  ৫ জন এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে লোহাগাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেছেন। মামলা রুজুর পর অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। আটককৃত সাইফুল ইসলাম (২৬) উপজেলার কলাউজান আদারচর দর্জিপাড়া এলাকার কামরুল ইসলামের পুত্র।

অভিযোগে প্রকাশ, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কলাউজান নাথ পাড়ায় শিমুল স্যারের কাছ থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির নিকটে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অপহরণকারীরা ২টি সিএনজি অটোরিক্সায় করে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সম্ভাব্যস্থানে খোঁজাখুজি করেও অপহৃতাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হই। এছাড়াও অপহরণের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে হুমকী-ধমকী ও আইনের আশ্রয় নিলে অপহৃতাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে।  অভিযোগে আরো প্রকাশ, দীঘদিন যাবত আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার পথে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম কু-প্রস্তাবসহ প্রেমের প্রস্তাব ও অশ্লীল কথাবার্তা ও ইভটিজিং করে অসছিল। বিষয়টি তার অভিভাকদের অবহতি করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকী  প্রদান করে।

অপরদিকে, অভিযোগ দায়ের পর একইদিন লোহাগাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে। এরপর অপহরণ দলের অন্যান্যরা বিভিন্ন মোবাইল থেকে ফোন করে নানা ভয়-ভীতি ও মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে আসছে। এছাড়াও পুণরায় তার মেয়েকে অপহরণ করার হুমকী দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মছুদা বেগম।

এ ব্যাপারে কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মুজিবুর রহমান দুলু জানান, মেয়েটি কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর জে.এস.সি পরীর্ক্ষাথী। পি,এস,সি সনদ, ভর্তি রেজিষ্টার ও জে,এস,সি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড মতে তার জন্ম তারিখ-১৪-০৩-২০০৩ইং, বয়স ১৫। তাকে অপহরণের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে মানব বন্ধন করে।

চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ জানান, কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এব জে.এস.সি পরীর্ক্ষাথীকে অপহরণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা হওয়ার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুস্থ বিচার না হলে এলাকায় উত্তেজনা বাড়বে। এলাকায় শির্ক্ষাথী উত্তক্তকারীদের ব্যাপারে সকলের সোচছার হওয়া দরকার।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক জে.এস.সি পরীর্ক্ষাথীকে অপহরণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা হওয়ার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এতে করে তার শিক্ষা জীবন বিপন্ন হলো। একটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন বিপন্নকারীদের সুস্থ বিচার হওয়া চাই।

লোহাগাড়া থানার ওসি মোঃ শাহজাহান পিপিএম বার বলেন, কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক জে.এস.সি পরীর্ক্ষাথীর মা মছুদা বেগম বাদী হয়ে অপহরণও অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্ধি দেয়। জবান বন্ধি অনুসারে পূর্বে উল্লেখিত অসাামীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন লোক সহযোগে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাযোগে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায় এবং চট্টগ্রাম শহরের একটি বাসায় আটক রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও কয়েকটি খালি কাগজে দস্তখত নেয়। এ মামলার নিবিড় তদন্ত চলছে। বর্তমানে অপহৃতা মা’র জিম্মায় রয়েছে।

অপরদিকে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে না পরায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।