- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ওসি পরিচয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩

নিউজ ডেক্স : নগরের কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিচয়ে আসাদগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন (২৭), মো. আরিফ হোসেন (৩০) ও  মো. তারেক (২২)। বাংলানিউজ

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসাদগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমানের কাছে কল করে কোতোয়ালী থানার ওসি বলে পরিচয় দেয় মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন। ব্যবসায়ীকে কারখানা চালানোর বিষয়ে আয়কর না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। আয়করের টাকা বাবদ এবং কোতোয়ালী থানা এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে দেবে না বলে হুমকি দেন। মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন ২ ঘণ্টা পর তার কাছ থেকে পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একটি নগদ নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা বলে অন্যথায় জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। মো. আরিফ হোসেনের নগদ নম্বরে ১ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশে পাঠান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর   সকাল ১১টার দিকে মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন পুনরায় নগদে টাকা পাঠাতে বললে তিনি বিষয়টি টহল পুলিশকে অবহিত করেন।

ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে আসাদগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজনই কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও  ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। বিভিন্ন মোবাইল নম্বরের ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোতোয়ালী থানা, পাঁচলাইশ থানা, পতেঙ্গা থানার এসআই মিজান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করেন। তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল সেট জব্দ করে।  

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা কখনো রিকশাচালক, কখনো দিনমজুর হিসেবে কাজ করে। তারা বিভিন্ন সময়ে সেবাপ্রার্থী সেজে বিভিন্ন থানায় গিয়ে থানার ওসি, তদন্ত ও অফিসারদের নাম সংগ্রহ করে ও থানায় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়। তাৎক্ষণিক উক্ত ঘটনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের নাম ব্যবহার করে আসল বাদী, বিবাদীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। আবার কখনো থানার ওসি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। কেউ কেউ টাকা দেয় আবার কেউ মোবাইল বন্ধ করে রাখে।