- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

এক স্ত্রী নিয়ে দুই স্বামীর ‘দ্বন্দ্বের’ অবসান

শেষ পর্যন্ত কাজল মিয়া জয়ী হলেন। অবসান হলো এক স্ত্রী দুই স্বামী দ্বন্দ্বের।

শেষ পর্যন্ত কাজল মিয়া জয়ী হলেন। অবসান হলো এক স্ত্রী দুই স্বামী দ্বন্দ্বের।

নিউজ ডেক্স : বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে এক স্ত্রী নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি শুক্রবার রাতে মীমাংসা করে থানা হেফাজত থেকে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামের আফিজার রহমানের মেয়ে রুমানা খাতুন লিমা (১৮)। প্রেমের সম্পর্ক থেকে প্রায় ৫ মাস আগে লিমা একই এলাকার বিলচাপড়ি গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কাজল মিয়াকে (২২) গোপনে বিয়ে করে। কিন্ত লিমার পরিবারের লোকজন এই বিয়ের বিষয়টি জানতেন না। এ ছাড়া লিমাও তার বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেনি।

এ অবস্থায় লিমাকে তার পরিবারের লোকজন প্রায় দুই মাস আগে একই এলাকার নবিনগর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জুয়েল রানার (২৬) সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর নববধূ লিমা স্বামী জুয়েল রানার সাথে এক মাস ঘর-সংসার করে। পরবর্তীতে লিমা বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে জুয়েল রানার সাথে সংসার করতে রাজি হয়নি। তবে লিমাকে নিজের বাড়িতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন জুয়েল রানা।

এ অবস্থায় শুক্রবার বিকেলের দিকে লিমাকে তার প্রেমিক ও প্রথম স্বামী কাজল মিয়ার হাত ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বেড়াতে দেখে জুয়েল রানা। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে জুয়েল রানা। এ সময় লিমাকে স্ত্রী দাবিদার কাজল ও জুয়েল রানার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে লিমাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে জুয়েল রানা। এ সময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রীসহ স্বামীর দাবিদার দুই যুবককে ধরে থানায় সোপর্দ করে।

ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেয়েটি কাজলের সাথে ঘর-সংসার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারের সাথে আলোচনা করে নিজ নিজ স্বজনদের জিম্মার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জুয়েল রানা স্ত্রীর দাবি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে।