- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

উখিয়ায় গাড়িভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

ukhya
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত গাড়িভাড়া আদায়ে ব্যস্ত গাড়ি চালকরা। অন্যদিকে যাত্রীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি। সারি সারি সিএনজি ও টমটম লাইন।ফলে যাত্রীর জন্যে সিএনজি ও টমটমের কমতি নেই। রাস্তা খারাপ বা বন্যার মতো কোনো ঘটনাও নেই। যাত্রীদের সাথে দর কষাকষি।অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ায় যাত্রী ও চালকের মধ্যে কথা কাটাকাটি প্রতিনিয়ত ঘটছে।উখিয়া ষ্টেশন থেকে কুতুপালং জনপ্রতি ভাড়া ছিল ১০ টাকা  রোহিঙ্গা ও যানযট এবং সময় ক্ষেপনের ওজু হাত দিয়ে চালকরা ১৫ নিত,কিন্তু বর্তমানে চালকরা জোর পূর্বক ২০ টাকা ভাড়া আদায় করছে।এনিয়ে প্রতিনিয়ত চালকদের সাথে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে,তেমনি কোটবাজার থেকে সোনার পাড়া জনপ্রতি ভাড়া ছিল ১০ টাকা বর্তমানে ২০টাকা করে নিচ্ছে।  হলদিয়া পাতাবাড়ি ভাড়া ছিল ১৫০ টাকা।চালক দাবি করছে ৩৫০ টাকা। এভাবে কোটবাজার, কুতুপালং, মরিচ্যা, সোনার পাড়া, থাইংখালীসহ পুরো উপজেলায় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে যে কোন যাত্রীবাহি গাড়িতে চালকেরা এক দফা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার ঈদের অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে আর কমাতে চাচ্ছে না। এতে করে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে যাত্রীদের। উখিয়া ষ্টেশনে গিয়ে চোখে পড়ে এই দৃশ্য। রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়ায় সী লাইন, কক্স লাইন, স্পেশাল বাস, সিএনজি টমটমসহ চাঁদের যাত্রীবাহি গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ।
এখন বসে থাকার সময় নেই চালকদের।যাত্রীদের গাড়ি পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে। সাহাব উদ্দিন নামের এক যাত্রীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি ক্যাম্পে চাকরি করেন। যাবেন হলদিয়া পাতাবাড়ি।ভাড়া কত নিয়েছে জিনতেনতে চাইইলে তার কথায় ক্ষোভ ঝরে পড়ে। আসাব উদ্দিন বলেন, উখিয়া থেকে পাতাবাড়ি সিএনজি রিজাভ ভাড়া ১৫০ টাকা। অথচ ভাড়া ঠিক করেছি ৩৫০ টাকায়। খোরশেদ আলম নামের এক যাত্রী চাঁদের গাড়িতে করে কয়েক বস্তা সিমেন্ট বাড়ি তৈরির কাজে নিয়ে যাবেন থাইংখালীতে। ৩০০ টাকার ভাড়ার স্থলে আমার কাছ থেকে ৯০০ টাকা দাবি করা হচ্ছে। আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শুধু পাতাবাড়ি নয়, কোটবাজার, সোনারপাড়া, ইনানী, কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালীসহ সব যাত্রা পথের ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়েছে। ঈদ উদযাপনে বাড়তি ভাড়া দিয়েই মানুষকে বাড়ি যেতে হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে সিএনজি চালক সরওয়ার বলেন, ঈদে যাত্রীর চাপ কম ছিল তাই ঈদের অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এখন যাত্রীর তো অভাব নেই, কেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুযোগ পেলে সবাই নেয়। আরেক সিএনজি চালক জহিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উখিয়ায় এখন ঢাকা শহরের মতো যানজট লেগেই থাকে।গন্তব্যে যেতে অনেক্ষণ সময় লাগে। জ্বালানির টাকা তোলার জন্য সামান্য কিছু টাকা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে যাবে শহিদুল হক।তিনি সিএনজি চালকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করার কারণ জানতে চাইলে শহিদুল বলেন, উখিয়া থেকে কুতুপালং সিএনজি রিজাভ ভাড়া ৭৫ টাকা ছিল। এখন আমার খেকে ১৫০ টাকা দাবি করেছে। আমি শাশুড় বাড়ি যাচ্ছি তাই বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। উখিয়া থেকে কক্সবাজার সী লাইন ও কক্স লাইন আসনে যাত্রী পুরো হলে যাত্রা করতো। এ কারণে অনেক যাত্রীকে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছে। জাহেদ নামের এক সী লাইনের নিয়মিত যাত্রী বলেন, রোহিঙ্গা আসার আগে এ সব গাড়িতে গাড়ি ছাড়ার জন্য যাত্রীর অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। আর এখন সী লাইন ও কক্স লাইন গাড়ি দাঁড়াতেই যাত্রী ভরে যায়। রোহিঙ্গাদের কারণে এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকের চাকরি হয়েছে। পালংখালী থেকে বালুখালী, কুতুপালং, উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা ও সোনারপাড়া এলাকায় এনজিওদের শত শত গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, যানজট নিরসনে বিকল্প রাস্তা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।