ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড় স্থানীয় সরকারে

ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড় স্থানীয় সরকারে

নিউজ ডেক্স : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সারাদেশে সব নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ২১ মার্চ। তবে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমার কারণে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী মার্চে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

নির্বাচন কমিশন বলছে, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে সব নির্বাচন যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা চেয়ে দেশের সব জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২১ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে দেশে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ভাইরাসটির প্রকোপ থাকা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানায় কমিশন।

করোনা ভাইরাসের কারণে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। একইসঙ্গে স্থগিত হয়ে যায় বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনও। তবে আগামী মার্চে দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ অধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলোর তথ্য জানতে চেয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হবার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন মাসে ছয় ধাপে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, সেই অনুযায়ী ২০২১ সালের মার্চ থেকে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের পর্যায়ক্রমে মেয়াদপূর্তি হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নামের তালিকা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছক মোতাবেক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নাম, সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ, প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ, নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিন শুরু হওয়ার তারিখ, নির্বাচনের তারিখ থেকে মেয়াদ শেষের তারিখ (নির্বাচনের তারিখ থেকে ৫ বছর) এবং সীমানা বা মামলা সংক্রান্ত অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ বাহক মারফত প্রয়োজনীয় তথ্যের হার্ডকপি এবং পেনড্রাইভে সফট কপি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তারা আগামী নভেম্বর থেকে সব ধরনের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!