- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা ফেরত দিলেন আদালত

নিউজ ডেক্স : ‘অল দ্য প্রাইম মিনিসটারস মেন’ শিরোনামে তথ্যচিত্র প্রচার করায় কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তফা সোওয়্যাগসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রীয় অনুমোদন না থাকায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আবেদনটি ফেরত দেন। বাংলানিউজ

বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই দেশে মামলা চলতে পারে কিনা—এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে একই আদালতে শুনানি হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিচারক আবেদনটি ফেরত দেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। সেরকম অনুমোদন না থাকায় আবেদনটি ফেরত দেওয়া হলো।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে এই চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।

আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন—সায়ের জুলকারনাইন সামি, তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যান।

মঙ্গলবার এই মামলার আইনগত শুনানিতে আদালত জানতে চান, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই দেশে মামলা চলতে পারে কিনা? জবাবে বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, আমরা দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারা ব্যাখ্যা করে বলেছি, এই মামলা বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চলতে পারে।

দণ্ডবিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন বলে বিচারযোগ্য যেকোনো অপরাধের বিচার দেশের বাইরে হলেও তা দেশীয় আইনে করা যাবে। আর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিককেও এই আইনের আওতায় বিচার করা যাবে।

এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলা আমলে গ্রহণের ক্ষমতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। এরপর আদালত মামলাটি আদেশের জন্য রাখেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, প্রধানমান্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সম্মানহানির বক্তব্য দিয়ে যড়যন্ত্র করেছে। অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল। এসব কারণ দেখিয়ে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১৪৯,/৩৪ ধারায় মামলার আবেদনটি করা হয়।