- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

আলোর বন্যা

547

শুভ্রা নীলাঞ্জন : অনেকদিন পর পুস্পিতার মনের সবকটা দরজা ধাম ধাম করে খুলতে খুলতে মনের প্রধান ফটকটিও খুলে গেল। মনের বন্ধ ঘরে হঠাৎ করে রাশি রাশি আলো লুটিয়ে পড়ল আনাচে কানাচে, মনেরবারান্দায়, জানালায়, ঘুলঘুলিতে চারিদিকে শুধু আলোর নাচন, আলোর প্লাবন, আলোর বন্যাধারা।

পুস্পিতা এতদিন এই সুবর্ণ আলোর হাতছানি থেকে নিজেকে যোজন যোজন মাইল দূরে সরিয়ে রেখেছিল কার জন্যে ? কিসের জন্যে? মিথ্যে অভিমানে ? কারো জিবন থেকে কেউ চলে গেলে কি সব আলোর রেখা বন্ধ করে দিতে হয় ? না দিতে হয় না কারো জন্য কারো জিবন থেমে থাকে না । মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায় ,মরে গেলে মাটির সাথে মিশে যায়।

কোথাকার কে বদলে গেল তারজন্যে নিজের জিবনের সব আলো নিভিয়ে অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে হবে? পুস্পিতা অনেকদিন পর নিগুর সত্যটা উপলব্ধি করতে পারল । কেউ একজন অন্ধকারে বসিয়ে রেখে চলে গেল নিজের জিবনের আলোর খুঁজে । সেই দুঃখে অন্ধকারেই বসে থাকতে হবে দুঃখের প্রদীপ জ্বালিয়ে তা মোটেই সুবুদ্ধির পরিচয় বহন করে না । বুঝে শুনে নির্বুদ্ধিতা যে করে ঈশ্বর তাদের সহায় থাকেন না। সততা আর বিশ্বাসের সাথেই পুস্পিতার চিরকালের মেলবন্ধন। পুস্পিতার দৃড় বিশ্বাস সবকিছু সে নিজের মত করে গড়ে নিতে পারবে।

পুস্পিতা নিজেকে বদলে দিল। সে নিজেই এখন আলোর পাখি ,ভোরের পাখি , সুখের পাখি, আনন্দের পাখি, সে একাধারে এখন প্রদীপের স্নিগ্ধ আলো, মোমের নরম আলো, সূর্যের প্রখর আলো। পুস্পিতা নিজের ভিতর সম্ভাবনাময় এক আলোর খনি আবিস্কার করল । যার বর্ণময় ছটায় সে নিজেই আলোকিত। একদিন হয়ত সেই আলোর ছটা পুস্পিতার আশে পাশেও ছড়িয়ে পরবে।। প্রতীক্ষায়।