- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

আজ শুভ মহালয়া

1c9e81ffea93f6a29e5fb40b5b5caf2c-59c08858486f2

নিউজ ডেক্স : আজ শুভ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু এদিন থেকেই। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে। আজ প্রত্যুষে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। মহালয়া উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা পূজা পরিষদ, মহানগরী পূজাপরিষদসহ বিভিন্ন মণ্ডপে দিনব্যাপী মাঙ্গলিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। এর পরদিন মহাসপ্তমী। মূলত দুর্গোৎসব শুরু এ দিন থেকেই। ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। পূজা কমিটিগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে ১৭৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে নগরীতে ২৬৬টি এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৫২১টি। পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন নৌকায় চড়ে, আর বিদায় নেবেন ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, যদি বুধবারে দেবী দুর্গার আগমন হয়, তাহলে তার মাধ্যম হবে নৌকা ণ্ড ফল ‘শস্যবৃদ্ধিস্তুথাজলম’। অর্থাৎ দেবীর নৌকায় আগমন ধরে রেখেছে শুভ, অশুভ দুই ঘটনাকেই। নৌকায় এলে বর্ষা–বৃষ্টি হয়। পাশাপাশি কৃষি–সমৃদ্ধিও দেখা দেয়। শনিবারে দেবী বিদায় নিলে বাহন হবে ঘোটক। এর ফল হবে– ‘ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে’। অর্থাৎ পৃথিবীর উপর দিয়ে ঝড়–ঝাপটা বয়ে যাবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা বাড়বে।

বলা হয়ে থাকে, মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে তাই মহালয়া – পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। অন্য দিকে ‘মহালয়া’ বলতে ‘পিতৃলোককে’ও বোঝায়, যেখানে বিদেহী পিতৃপুরুষ অবস্থান করছেন। সে অনুযায়ী, পিতৃলোককে স্মরণের অনুষ্ঠানই মহালয়া। কেননা পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার সীমানা ডিঙিয়ে যখন আলোকময় দেবীপক্ষের আগমনকে প্রত্যক্ষ করা হয়, তখনই সেই মহালগ্নটি মহালয়ার বার্তা বহন করে আনে। বলা হয়, এক্ষেত্রে স্বয়ং দেবীই হচ্ছেন সেই মহান আশ্রয়, তাই উত্তরণের লগ্নটির নাম মহালয়া।

আজ হিন্দু সম্প্রদায়েরলোকজন প্রয়াত পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করবেন।

তর্পন মানে হল খুশি করা। মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে– ‘ময়া দত্তেন তোয়েন তৃপ্যান্ত ভুবনত্রয়ম, আব্রহ্ম স্তম্ভ পর্যন্তং তৃপ্যন্তু’– এই মন্ত্র উচ্চারণ করে জল অঞ্জলি দিয়ে স্মরণ করা হয় বিদেহী পূর্বপুরুষকে।