এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে পদুয়ার নিজ এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন জানান, পশ্চিম পদুয়ার বিধাব খদিজাতুল কোবরার ছেলে আবদুল্লাহ আল সাইমন দীর্ঘদিন থেকে আমার বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখাশুনা করতো। ফলে তার সাথে আমার পারিবারিক ও সামাজিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে বিভিন্ন সময় সাইমনের মা খদিজাতু কোবরা নগদ ও গৃহ সামগ্রী বাবদ দেড় লক্ষাধিক টাকা ধার নেন। ধারের টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। এব্যাপারে আমি উপায়হীন হয়ে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল আদালতে খদিজাতুল কোবরা, আবদুল্লাহ আল সাইমনসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে বিবাদী করে একখানা মামলা দায়ের করি। যার নং- ১৭৩/২০২০ইং। এরপর থেকে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিনের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন। চেয়ারম্যানের সাথে আমার দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় তিনিও এ সুযোগে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এতে আমার সম্মানহানী হওয়ায় আমি খদিজাতুল কোবরাসহ ৬ জনকে বিবাদী বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে সিআর মামলা নং-২০১/২০২০ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত খদিজাতুল কোবরা মেম্বারকে সব কিছুর জন্য দায়ী করে বিস্তারিত বলতে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন জানান, আনোয়ার হোসেন মেম্বারের বিরুদ্ধে খদিজাতুল কোবরা নামের এক মহিলা অভিযোগ নিয়ে আসলে এ ব্যাপারে তাকে সর্তকতামূলক ধমক দেই। তার সাথে আমার জায়গা-জমি নিয়ে কোন বিরোধ নাই।