নিউজ ডেক্স : সীতাকুণ্ড আসনের এমপি দিদারুল আলম দিদারের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালন করা হবে বলে শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ডের এমপি দিদার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও নগরীর অলঙ্কার মোড় থেকে সীতাকুণ্ড রুটে চলাচলকারী ৮ নং রুটের মালিক সমিতির নেতাদের বাসায় ডাকেন। এ সময় অলঙ্কার থেকে সীতাকুণ্ড রুটে গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তার কাছে ছেড়ে দিতে বলেন। মালিক ও শ্রমিক নেতারা জানান, ট্রেড ইউনিয়নের আইন ও শ্রমিকদের অর্পিত দায়িত্ব শ্রমিকের মতামত ছাড়া ছেড়ে দেয়া সম্ভব নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও অভিযোগ করা হয়, তাদের এ কথার জবাবে এমপি তাদের বলেন, তাকে প্রতিমাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাতে সম্মত না হওয়ায় এমপি দিদার একপর্যায়ে ৮ নং রুটের মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে মারধর শুরু করেন। এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে এমপি দিদার উত্তেজিত হয়ে শ্রমিক নেতা অলি আহমদকেও মারধর করেন। পরে তাদের ঘর থেকে জোর করে বের করে দেন।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে সংগঠনের এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। এতে আগামীকাল সোমবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৪৮ ঘণ্টা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এমপি দিদার চাঁদার জন্য চাপ সৃষ্টি ও মারধরের অভিযোগে সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম-৪) আসনের এমপি দিদারুল আলম বলেন, ‘তারা যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিটি গাড়ি থেকে মাসে ৩ হাজার টাকা, দৈনিক ৩৮০ টাকা এবং ভর্তি ফি হিসেবে ২২ হাজার টাকা আদায় করে। এ রুটে ২৬২টি গাড়ি আছে। যারা চাঁদা তোলে, তারা সবাই বিএনপির রাজনীতি করে। তাই বলেছি বিএনপির লোকদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে তা নিতে হবে। আর চাঁদার পরিমাণ কমাতে হবে। এটা বলায় আমার সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।’