এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা সদর বটতলী মোটর স্টেশনের উপসড়ক চৌধুরী সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে জমে যায় হাঁটু পরিমাণ পানি। এতে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। রোববার (২৩ মে) সন্ধ্যায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে জমে গেছে পানি।
সরেজমিন দেখা যায়, বটতলী মোটর স্টেশন থেকে এই সড়কে দিয়ে পার্বত্য লামা সদর, কেয়াজুপাড়া, উপজেলার কলাউজান, চরম্বা ও পুটিবিলা ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করেন। বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য রয়েছে সিএনজি অটোরিক্সার স্ট্যান্ড। সামান্য বৃষ্টি হলে মহাসড়ক থেকে আধা কিলোমিটার সড়কে পানি জমে যায়। এতে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য যাত্রী ও পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সড়কের দুই পাশে রয়েছে আবাসিক ভবন।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়ক দিয়ে মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। সামান্য বৃষ্টি হলে জমে যাওয়া হাঁটু পরিমাণ ময়লা পানিতে কাপড়-চোপড় নষ্ট ও পিছলে পড়ে যাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞা রয়েছে অনেকের। এছাড়া স্থানীয়দের এই সড়ক ছাড়া চলাচলের কোন বিকল্প পথ নেই। সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতিতে ভোগতে হয় বলে জানান।
সিএনজি চালক ধনা শীল জানান, এই সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। এতে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নারীযাত্রী নিয়ে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। অনেক সময় বৃষ্টির পানি ঢুকে গাড়ির যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়ে যায়।
ব্যবসায়ী অভি দাশ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে থাকার কারণে ব্যবসা পরিচালনা করতে অনেক কস্ট হয়। অনেক সময় রাস্তায় জমে থাকা পানি গাড়ি চলাচল করার সময় দোকানে ঢুকে পড়ে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। এই সড়কের দূর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইশরাত বিন মুনীর জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। তিনি সম্প্রতি লোহাগাড়ায় যোগদান করেছেন। সড়কটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।