নিউজ ডেক্স : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে বিএনপিতে নারীসহ সাত মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেতে ১০ বছর মাঠ ছেড়ে থাকা বিএনপি নেতারা এখন নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বিএনপিতে ৭ জন মনোনয়ন ফরম নিলেও এলাকায় প্রচারণায় রয়েছেন চার প্রার্থী। এরা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাজমুল মোস্তফা আমিন।
ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এখানেও কোন্দল কম নয়। এই আসনে তিন ধারায় বিভক্ত বিএনপি। তবে আসনটি জামায়াতের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের কারাবন্দি দুনেতাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফরম নিয়েছেন এখান থেকে।
এ ঘটনায় শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরীর মধ্যে দ্ব›দ্ব প্রকাশ পেয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত প্রার্থীকে আসনটি ছেড়ে দেবে কি না বিএনপি, তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সুকোমল বড়–য়া, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নেতা ওসমান চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুর নাঈম চৌধুরী।
সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. নেওয়াজ হোসাইন নিশাদ বলেন, এ আসনটি জামায়াতের দুর্গ বলা হলেও বাস্তবে এখানে বেশি ভোট রয়েছে বিএনপির। জামায়াত প্রার্থী হলেও বিএনপির ভোট তারা পাবেন না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী এখানে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে।