- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

আমি বাংলাদেশের আইজিপি, পার্লামেন্ট সদস্য নই

নিউজ ডেক্স : আলোচিত ঢাকা বোট ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশের আইজিপি, পার্লামেন্ট সদস্য নই। পার্লামেন্ট নিয়ে কি আমার কথা বলা ঠিক হবে?

গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ আলোচিত বোট ক্লাব সরকারের অনুমোদন নিয়ে গড়ে উঠেছে কি না এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সরকারের অনুমতি নিয়ে এ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কি না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান।

বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করে এমপি হারুন বলেন, বোট ক্লাবে নিয়মিত মদ্যপান করা হয়, তাস খেলা হয়, জুয়া খেলা হয়। এ রকম একটি ক্লাবে পুলিশপ্রধান সভাপতি কোনো আইনে থাকতে পারেন কি না।

ওই বক্তব্যের পর রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা ঢাকা বোট ক্লাব প্রসঙ্গে সংসদে এমপি হারুনের বক্তব্য নিয়ে আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমি তো পার্লামেন্ট মেম্বার না, পার্লামেন্ট নিয়ে কি আমার কথা বলা ঠিক হবে? যেগুলো পার্লামেন্টে আলোচনা হয়, সেগুলো পার্লামেন্টের ভেতরেই থাকে। আপনার ব্যক্তিগত কৌতূহল থাকলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পাল্টা উত্তর আইজিপি দেবে না। আমি বাংলাদেশের আইজিপি, পার্লামেন্ট সদস্য নই। এ কারণে এটা শোভন নয়, যৌক্তিক নয়, আইনসম্মত নয়।

ওইদিন বোট ক্লাবে আইজিপির সম্পৃক্ততা নিয়ে সংসদে এমপি হারুন তার বক্তব্যে আরও বলেছিলেন, আমার জানা নাই, ৫০ বছরের ইতিহাসে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এই রকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংসদে বিএনপির এমপির এ বক্তব্য গণমাধ্যমে এলে, এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি চিত্রনায়িকা পরীমনির মাদককাণ্ড ও তাকে ধর্ষণচেষ্টাসহ বেশকিছু ঘটনায় ঢাকা বোট ক্লাবের নাম ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। জাগো নিউজ

সারাদেশে র‍্যাবের অভিযানে ৫০০ দালালকে জেল-জরিমানা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সারাদেশে একযোগে বিভিন্ন সরকারি অফিসের সামনে সক্রিয় দালাল চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে আটক দালাল চক্রের প্রায় পাঁচশ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র‍্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জাগো নিউজ

jagonews24

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাত, পরিবহনখাত, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সেক্টরে দালাল চক্রের সক্রিয়তা ও আধিপত্য নিয়ে বেশকিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব দালাল চক্রের অত্যাচারে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক সময় প্রত্যাশিত সেবা পেতে নির্ধারিত মূল্যের থেকে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হয়। আবার অনেকেই অধিক অর্থ ব্যয় করেও প্রত্যাশিত সেবা পান না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব সারাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী দালাল চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযান চালায়।

jagonews24

অভিযানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস এলাকাসহ পরিচালিত ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ২৪৮ জন দালালকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ২৪৯ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দালাল চক্রের সদস্যরা তাদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও র‍্যাবের নজরদারি ও জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে বেড়েছে। এক্ষেত্রে অনেক ভুক্তভোগী বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়ে র‍্যাবের কাছে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি র‍্যাব সাইবার মনিটরিং সেলের মাধ্যমেও বিভিন্ন সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমরা দেখেছি, এ সংক্রান্ত ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। এছাড়া র‍্যাব সদরদপ্তর পরিচালিত ফেসবুক পেজ ‘র‍্যাব অনলাইন মিডিয়া সেলে’ অনেক ভুক্তভোগী প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাবের সব ব্যাটালিয়ন একযোগে দেশব্যাপী দালালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে আমাদের সঙ্গে ছিল র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাসহ সিভিল প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা। আমরা দেশব্যাপী ৫০টির বেশি সরকারি সংস্থার সামনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাঁচ শতাধিক দালালকে আটক করতে সক্ষম হই। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

পর্নোগ্রাফি আর টিকটকেই শেষ দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহারও বাড়ছে। কিন্তু সব ইন্টারনেট কি উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে? উত্তর হচ্ছে, না।ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থা বলছে, পর্নোগ্রাফি, টিকটক, ফ্রি-ফায়ার কিংবা পাবজির পেছনে চলে যাচ্ছে দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট।  

জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক। বাংলানিউজ

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ২৬শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকই ব্যয় হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল গেম, টিকটক, লাইকি ও পর্নোগ্রাফি দেখার পেছনে।

তিনি বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটই ব্যবহার হচ্ছে পর্নো, গেমিং বুলিংয়ে। ফ্রি-ফায়ার-পাবজির পর, টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এছাড়া নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে।  
 
ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেইম কিশোর-তরুণদের আগ্রাসী করতে তুলছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পর সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজারের বেশি পর্নো সাইট আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি গ্রাহক।

পানশিরে শত শত তালেবান সদস্য আটক!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : আফগানিস্তানে আয়তনে ছোট প্রদেশগুলোর মধ্যে পানশির অন্যতম। পানশির ছাড়া অন্য ৩৩টি প্রদেশ এখন তালেবানের দখলে।বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে দুর্গম পানশির দখলে অভিযান শুরু করেছে তালেবান সদস্যরা। কিন্তু অন্য প্রদেশগুলোর মতো সহজে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছেন না তারা।

পানশির দখলে রেখেছে আহমাদ মাসুদের ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)। তারা মূলত তালেবান বিরোধী। এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হওযার কারণে তালেবান সদস্যরা সেখানে সুবিধা করতে পারছেন না। দুই পক্ষ থেকেই প্রদেশটি দখলের বিষয়ে দাবি তোলা হলেও সেখানে প্রকৃতপক্ষে কোন অবস্থা বিরাজ করছে, তাও পরিষ্কার নয়।  

রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) জানা গেছে, এক হাজারের বেশি তালেবান সদস্যকে হত্যা, আহত অথবা বন্দী করা হয়েছে। তাদের পেছনে যাওয়ার পথও বন্ধ রয়েছে।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১ হাজার ৫০০ তালেবান সদস্যকে আটকের দাবি করেছে পানশির প্রদেশের নেতা আহমাদ মাসুদ এবং আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট এনআরএফ। কার্যত ওই তালেবান সদস্যদের ঘিরে রাখা হয়েছিল। তবে তারা ওই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

আহমাদ মাসউদের অনুগত গোষ্ঠী বলছে, তারা খাওয়াক পাসে ‘হাজার হাজার সন্ত্রাসীদের’ ঘিরে রেখেছে। তাদের অস্ত্র ও গাড়ি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, তালেবান মুখপাত্র বেলাল করিমি রোববার টুইট বার্তায় বলেন, তার বাহিনী পানশির প্রদেশের সাতটি জেলার মধ্যে পাঁচটির দখল নিয়েছে। এখন প্রদেশটির কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান সদস্যরা।  

যুদ্ধ চাই না, তবে প্রস্তুত থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশকে রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদার পররাষ্ট্রনীতি এবং যুদ্ধ নয় শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১-এ ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা সেনানিবাসের নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সরকারপ্রধান। বাংলানিউজ

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে একটি কথা স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। ’

টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কারণ শান্তি ছাড়া কোনো দেশের উন্নতি করা সম্ভব নয়। যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে আনে, আমরা ধ্বংসের পথে যেতে চাই না। কিন্তু কেউ যদি আক্রমণ করে, বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার সব রকম প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে। ’ 

তিনি বলেন, ‘সব সময় প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জামাদি সবদিক থেকে আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আছে তার মধ্যে দিয়ে আমাদের সেভাবে প্রশিক্ষণও অব্যহত রাখতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হতে হবে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে আমরা চলতে পারি, সেই প্রস্তুতিও আমাদের থাকতে হবে। ’

বাংলাদেশ দক্ষতা নিয়ে প্রতিটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমি এইটুকু বলতে পারি, আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। ’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে যার কাছ থেকে যতটুকু সহযোগিতা নেওয়া দরকার বা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী যারা হবে সকলের সঙ্গে একটা ভালো সদ্ভাব রেখে, ভালো সম্পর্ক রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’

দক্ষদের পদোন্নতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা পদোন্নতির জন্য যে পদ্ধতিগুলো নিয়েছেন টিআরএসিই-ট্রেস (টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) আমি মনে করি, এটা একটা আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ভিত্তিতেই আপনাদেও জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আপনারা নির্বাচনী পর্ষদ আগামী দিনে যারা দক্ষতার সঙ্গে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী পরিচালনা করবে তাদের নির্বাচিত করবেন। ’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দক্ষ যারা, তারা প্রমোশন পেয়ে প্রত্যেকটি বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব পাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ চলবে এবং বাংলাদেশ হবে ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটাও বলব যে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে কর্তব্য পালনে অনেক দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে। কাজে তারাও যেন অবহেলিত না হয় সেদিকটাও আপনারা বিবেচনা করবেন।’ অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন।

আইএসপিআর জানায়, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে নৌবাহিনী সদর দপ্তরে আয়োজিত নৌবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন থেকে কমডোর, কমান্ডার থেকে ক্যাপ্টেন, লে. কমান্ডার থেকে কমান্ডার পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন থেকে এয়ার কমডোর, উইং কমান্ডার থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লিডার থেকে উইং কমান্ডার পদে যোগ্য প্রার্থীদের পদোন্নতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চরম্বায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইট বোঝাই ট্রাক খাদে, চালক আহত

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চরম্বায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইট বোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে উল্টে গেছে। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ইউনিয়নের টংকাবতী সড়কের জামছড়ি ব্রীজ এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাক চালক নুরুল আলম (৩৫) আহত হয়েছেন। তিনি পদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, চরম্বার ইটভাটা থেকে ইট বোঝাই করে ট্রাকটি পদুয়া অভিমুখে যাচ্ছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনাস্থলে জামছড়ি খালের উপর নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলছে। বিকল্প ব্রীজ দিয়ে যানবাহন যাতায়াত করে। হয়তো অতিরিক্ত মালামাল পরিবহণের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার শফিকুর রহমান ইট বোঝাই ট্রাক উল্টে খাদের পড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভাইরাল ভিডিও রিমুভ না করে বিটিআরসি উপভোগ করে: হাইকোর্ট

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে ব্যক্তিগত, বিশেষ করে নারী চরিত্র সম্পর্কিত প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি প্রচার-প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নটপ্রেস রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এসময় কলেজছাত্রী মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে এমন সব ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন সরানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এসব অবজেকশনাবেল ভিডিও রিমুভ করার ক্ষমতা বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের আছে। কিন্তু তারা তা না করে বসে বসে এসব উপভোগ করছেন।

শুনানিতে আদালত আরও বলেন, বিটিআরসি কি করে? তাদের কি প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিয়ে এসব (ভাইরাল ভিডিও) বন্ধ করতে হবে? এতে কি বিটিআরসি আনন্দ অনুভব করে? দেখতে ভালো লাগে? আমাদের পরিবার আছে না? সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় কেন?’

ভাইরাল এসব ভিডিও বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে পারে বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত। আদালত বলেন, তারা (বিটিআরসি) এসব উপভোগ করে। সবাই আসেন আমাদের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে গুলি করার জন্য, যে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। কেন দেব? আল-জাজিরার মামলায় পরিষ্কারভাবে বলেছি, এসব বন্ধ করার সব ক্ষমতা বিটিআরসির আছে। তারপরও একটা একটা করে (রিট) নিয়ে আসা হচ্ছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে উপস্থিত হতে বলি যে, কেন এগুলো করছেন, আপনি ওখানে কি জন্য বসে আছেন? তাদের ক্ষমতা আছে এসব নিয়ন্ত্রণ করার, তাও তারা করে না। হাইকোর্টের নির্দেশনা না হলে পরে কেউ এগুলো পাত্তা দেয় না। আদালত আরও বলেন, আমরা সুনির্দিষ্টভাবে একটি গাইডলাইন করে দিয়েছি। আমরা কি প্রতিদিন তাদের (বিটিআরসি) নির্দেশনা দেব?

২৫ আগস্ট (বুধবার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসমিয়া নুহাইয়া আহমেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই রিট করেন। রিটে চিত্রনায়িকা পরীমনি, ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির চরিত্রহনন করে ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে নির্দেশনা চাওয়া হয় পরীমনি ও এডিসি সাকলাইনসহ এরই মধ্যে যাদের নিয়ে প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রকাশ-প্রচার হয়েছে তা অপসারণের। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিটের বিষয়টি ওইদিন নিশ্চিত করেন আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ। তিনি বলেন, সব মাধ্যম থেকে চরিত্রহানিকর রিপোর্ট, ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। জাগো নিউজ

এসএসসি-এইচএসসি-পিইসি শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিদিন

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ২০২১ সালে যারা এসএসসি-এইচএসসি ও পিইসি পরীক্ষা দেবে তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিকেল সোয়া ৩টায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। সভাশেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ বৈঠকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাগো নিউজ

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র‌্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

jagonews24

তিনি বলেন, স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। অভিভাবকরা যখন তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন তখন তার পরিবারের কেউ কিংবা শিক্ষার্থীর করোনার উপসর্গ নেই তা নিশ্চিত করবেন। তার সন্তানের মাধ্যমে যেন অন্য কোনো শিক্ষার্থী সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে সে ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে তখন করোনা সম্পর্কিত যত ধরনের গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) যা যা হালনাগাদ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে শিক্ষক ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিনের শারীরিক তাপমাত্রা মাপা, কারও কোনো উপসর্গ আছে কি-না তা পরীক্ষা করা এবং শ্রেণিকক্ষে সবার মুখে মাস্ক পরা আছে কি-না তা নিয়মিত পরীক্ষা করবেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মুখে মাস্ক পরিয়ে ক্লাসে পাঠাবেন।

সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে যত দ্রুত সম্ভব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় অনুদান বাড়লো, কমলো সহায়তার পরিধি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সরকারি হাট-বাজারের ইজারার আয়ের অর্থ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসায় অনুদানের পরিমাণ বাড়লো। তবে এ অর্থ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার আওতা কমেছে।

নতুন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারি হাট-বাজারের ইজারার আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় নীতিমালা, ২০২১’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ নীতিমালা প্রণয়ন করে।

বাস্তবতার নীরিখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে। বেশির ভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধাই এখন বয়োবৃদ্ধ। তাদের সহায়তার ক্ষেত্রে এখন চিকিৎসার ওপরই আমরা জোর দিচ্ছি। এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। 

নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি হাসপাতালে জটিল ও সাধারণ চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা অনুদান পাবেন। একই সঙ্গে জটিল রোগের ক্ষেত্রে আরও বেশি অর্থ খরচ হলে অতিরিক্ত হিসেবে এককালীন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দেয়া হবে।

আগের নীতিমালা অনুযায়ী এ খাত থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হতো। ওই নীতিমালা অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহনির্মাণ বা সংস্কার, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কন্যাসন্তানের বিয়ে- এই পাঁচটি খাতে সহায়তা দেয়া হতো। নতুন নীতিমালায় চিকিৎসা ও প্রাকৃতিক দুযোগে ক্ষতিগ্রস্ত- শুধু এই দুটি খাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেয়া যাবে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বলেন, ‘বাস্তবতার নীরিখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে। বেশির ভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধাই এখন বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তাদের সহায়তার ক্ষেত্রে এখন চিকিৎসার ওপরই আমরা জোর দিচ্ছি। এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনায় এককালীন এক লাখ টাকা দেয়ারও সুযোগ রাখা হয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘সহায়তার ক্ষেত্রে তার পারিবারিক অবস্থা, আয়, রোগের ধরন, চিকিৎসা পদ্ধতি বিবেচনায় নেয়া হবে। যদি প্রয়োজন হবে আরও সহায়তা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সহায়তার ক্ষেত্রগুলো কমিয়ে আনা হয়েছে। যৌক্তিকভাবে যাচাই করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেমন- আমরা দেখেছি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারে অবিবাহিত মেয়ে সেভাবে নেই। এখন নাতি-নাতনি নিয়ে তাদের জীবন। তাই মেয়ে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তাটি আমরা বাদ দিয়েছি।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি হাট-বাজারের ব্যবস্থাপনা ইজারা পদ্ধতি ও এ থেকে প্রাপ্ত আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালা এবং একই বিভাগের ২০১২ সালের ৭ মে’র পরিপত্র অনুযায়ী দেশের সরকারি হাট-বাজারের ইজারার আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার স্ত্রী বা স্বামীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকার আর্থিক চিকিৎসা অনুদান দিতে পারবে।

মন্ত্রণালয় বরাদ্দ করা অর্থ দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যয়, চিকিৎসাসেবার মান, আয়ন-ব্যয়ন এবং ব্যয় যাচাইসহ সার্বিকভাবে চিকিৎসা বাবদ বরাদ্দ অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় হওয়ার বিষয়টি পদ্ধতিগতভাবে সুনির্দিষ্ট আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করবে। সরকারি হাসপাতালের প্রধান বা তত্ত্বাবধায়ক এবং বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক বা অধ্যক্ষ, আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার একাধিক স্ত্রী থাকলে চিকিৎসায় সব স্ত্রী একত্রে মোট সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পাবেন।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, সরকারি ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা নিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কোনো আবেদন করতে হবে না। তবে চিকিৎসা সুবিধা পেতে মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ বা মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচিতিমূলক দলিলপত্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এমআইএস তালিকা বা শহীদ গেজেট বা খেতাবপ্রাপ্ত বা যুদ্ধাহত গেজেটের সঙ্গে যাচাই করবে।

কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার স্ত্রী বা স্বামী কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হলে এবং ওই রোগের চিকিৎসায় দেশে বা বিদেশে সীমার বেশি অর্থ ব্যয় হলে অতিরিক্ত হিসাবে সরকারের কাছ থেকে এককালীন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার আর্থিক অনুদান পাবেন বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার স্ত্রী বা স্বামী বিশেষ চিকিৎসা অনুদান জীবদ্দশায় একবারের বেশি পাবেন না।

জটিল রোগের চিকিৎসা অনুদানবিষয়ক জেলা বাছাই কমিটি থাকবে। সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন হবেন এ কমিটির সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন) নেতৃত্বে হবে জটিল রোগের চিকিৎসা অনুদানবিষয়ক কেন্দ্রীয় মঞ্জুরি কমিটি।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণে সহায়তা ৫০ হাজার টাকা

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য জীবিত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) (মহানগরের ক্ষেত্রে) কাছে আবেদন করবেন। আবেদনের সঙ্গে ক্ষয়-ক্ষতির ছবি সংযুক্ত করতে হবে।

অনুদান মঞ্জুরি বাছাই কমিটি আবেদন বাছাইয়ের পর ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে অনুদান মঞ্জুরের জন্য সুপারিশসহ প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠাবেন। মন্ত্রণালয় থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার অনুকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার সহায়তা হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া যাবে বলে নীতিমালায় উল্লেথ করা হয়েছে।

আগের নীতিমালা অনুযায়ী এ সহায়তার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য এ অনুদান প্রযোজ্য হবে এবং জীবদ্দশায় একবারের বেশি তারা এ অনুদান পাবেন না বলে নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) নেতৃত্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনুদান মঞ্জুরি মহানগর বাছাই কমিটি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে হবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনুদান মঞ্জুরি উপজেলা বাছাই কমিটি। জাগো নিউজ

লোহাগাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্য কারাগারে

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চরম্বায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় ওসমান গণি (৪২) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার পূর্বক কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও বিবিবিলা পশ্চিম পাড়ার মৃত আবদুল আলমের পুত্র। মারধরের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম অতীন্দ্র লাল নাথ (৭০)। তিনি একই ওয়ার্ডের পূর্ব নাথ পাড়ার মৃত শ্যামা চরণ নাথের পুত্র।

এ ঘটনায় একইদিন রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অতীন্দ্র লাল নাথ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য ওসমান গণি, কায়ছার হামিদ, মোস্তাক মিয়া, আদিল, আবদুল করিম, অনিল নাথ ও জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা রুজু করেন।

জানা যায়, এলাকায় চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইউপি সদস্য ওসমান গণি এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অতীন্দ্র লাল নাথের উপর চড়াও হয়। ঘটনারদিন সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকার চা দোকানে দেখলে ইউপি সদস্য ওসমান গণির নেতৃত্বে গালাগাল ও মারধর করেন। এতে তিনি গুরতর আহত হন। এ ঘটনায় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতীন্দ্র লাল নাথকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য ওসমান গণিকে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।