- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

টানা বর্ষণে বান্দরবানে সড়ক ধসে বিচ্ছিন্ন নাইক্ষ্যংছড়ি

নিউজ ডেক্স : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আজ বুধবারও (২৮ জুলাই) বন্যার পানিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী, ঘুমধুম, সোনাইছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় ধস হয়েছে এবং সড়ক ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলাটির সাথে।

অপরদিকে, আলীকদম-চকরিয়া-লামা সড়কের শীলেরতোয়া সহ কয়েকটি স্থানে বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় আলীকদম উপজেলার সাথেও দ্বিতীয়দিনের মতো সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে, অব্যাহত ভারী বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু, মাতামুহুরী, বাকখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া সহ আশপাশের এলাকা এবং বান্দরবান সদরের পুশ্চিম বালাঘাটা, ইসলামপুর’সহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কোনাক খালের পানিতে ডুবে গেছে মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া ঘুমধুমের তুমব্রু কোনাপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রও।

অপরদিকে, নদী ও খালের পানির স্রোতে ভেঙ্গে ভেসে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের বহু ঘরবাড়িও। নদী তীরবর্তী লোকজনেরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

বাইশারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনিমং মারমা জানান, বৃষ্টিতে পাহাড় ধস এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সড়কের। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলার সাথে। বাইশারী-ঈদগা সড়কের পানেরছড়া নামকস্থানে সড়কের বিশাল একটি অংশ ধসে গেছে বন্যার পানিতে।

অপরদিকে, অব্যাহত বৃষ্টিতে বান্দরবান জেলা সদর সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ষণে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি এবং সদর উপজেলার অভ্যন্তরিন সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মীরা পাহাড় ধসের মাটি সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড় ধসের ঝুকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসন এবং বান্দরবান ও লামা পৌরসভার পক্ষ থেকে।

বান্দরবান মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাতের পরিমান বুধবার সকালের পর থেকে আরও বেড়েছে। বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গতচব্বিশ ঘন্টায় জেলা সদরে বৃষ্টিপাতের পনিমাণ ছিলো ৪৫ মিলি মিটার। তবে উপজেলা গুলোতে বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি হওয়ায় নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কাও বাড়ছে।

এদিকে, বুধবার বান্দরবানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সভা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। জেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করেছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বৃষ্টিতে উপজেলাগুলোতে পাহাড় ধসে সড়ক, ঘরবাড়ি এবং বৃষ্টিতে সড়ক ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। প্রাণহানি ঠেকাতে পাহাড় ধসের ঝুকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগকারীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে খুলে দেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।” -আজাদী অনলাইন

বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে শঙ্খের পানি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : টানা কয়েকদিনের বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে শঙ্খনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আজ বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি উপচে বন্যা হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। এছাড়া বন্যা হলে পুকুর, মৎস্য খামার ডুবে মাছ ভেসে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলার বরুমতি, গুইল্লাছড়ি, যতখালসহ প্রায় খালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপচে পড়ছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ২টি পৌরসভা দোহাজারী ও চন্দনাইশ এবং ৮ ইউনিয়ন সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, বরমা, বরকল, হাশিমপুর, ধোপাছড়ি, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি নির্মাণ করার কারণে পানি প্রবাহিত হতে না পেরে গ্রামীণ রাস্তাঘাটেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। অনেক এলাকায় রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। বরুমতি খাল খননের পর থেকে বিভিন্ন অংশে ভাঙনের কারণে বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।

এদিকে, শঙ্খনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরে উৎপাদিত কৃষকের অধিকাংশ সবজি ক্ষেত পানির নি তলিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সাতবাড়িয়া যতরমুখ এলাকার মাহাবুবুল আলম রিপু জানান, বৃষ্টি না থামলে তার ২টি পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে যাবে।

শঙ্খচরের কৃষক মোজাম্মেল জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচের সারিতে চাষকৃত মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঝিঙা, চিচিংগা, ঢেঢ়শ, বরবটি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে রাতের মধ্যেই শঙ্খনদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে বন্যার আশংকা করছেন কৃষকরা। -আজাদী অনলাইন

কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন ৫ লাখ প্রবাসী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : করোনা মহামারির প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য। আর তাতে বিশ্বব্যাপী কাজ হারিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এর মধ্যে বেকার হয়ে দেশে ফিরেছেন প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক।

এসব শ্রমিকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসা পাঁচ লাখ শ্রমিকের মধ্যে প্রাথমিকভাবে দুই লাখ শ্রমিককে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে।

বুধবার (২৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্প’ অনুমোদন দেয়া হয়। জাগো নিউজ

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী শ্রমিক বেকার হয়ে দেশে ফিরেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিক কষ্টে তাদের জীবন কাটছে। ফেরত আসা এসব প্রবাসীদের পুনর্বাসনে সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে। এর মাধ্যমে দুই লাখ শ্রমিককে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া পুনরায় বিদেশে যাওয়ার সুযোগ, দেশে কাজের সংস্থান, ব্যবসার পুঁজি জোগান-এমন নানা সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে প্রকল্পটি সহায়ক হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় ফেরত আসা দুই লাখ শ্রমিককে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হবে। ফেরত শ্রমিকদের মধ্যে দক্ষ ২৩ হাজার ৫০০ কর্মী বাছাই করে সরকারের বিভিন্ন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের সনদের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে দেশে-বিদেশে চাকরিতে তারা বিশেষ সুবিধা পায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনার কারণে প্রবাসীদের অনেকেই চাকরি হারিয়ে দেশে এসেছেন। এতদিন তারা আমাদের দিয়েছেন। এবার আমরা তাদের দেব। যারা চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।’

কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও বানে ভেসে প্রাণ গেল ২০ জনের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার জেলাজুড়ে টানা ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। অতি বর্ষণে পাহাড় ধস ও বানে ভেসে গত দুদিনে ছয় রোহিঙ্গাসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে পাহাড় ধসে টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ের পাদদেশে একই পরিবারের পাঁচজন, হোয়াইক্যং এলাকায় একজন, উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুটি পরিবারে পাঁচজন ও একজন স্থানীয়, মহেশখালীর দুজন এবং বানের পানিতে তলিয়ে ঈদগাঁওয়ের তিনজনসহ সাতজন মারা যান। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। জাগো নিউজ

অন্যদিকে, গত তিনদিনের অব্যাহত বৃষ্টির ফলে জেলার নয় উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলকায় পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর ঢলের তোড়ে ধসে গেছে বাণিজ্যিক সড়কের প্রায় ১০০ ফুট এলাকা।

টেকনাফ : বুধবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়ার সৈয়দ আলমের বাড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া সৈয়দ আলমের পাঁচ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

নিহতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি গ্রাম ভিলেজার পাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের ছেলে আব্দু শুক্কুর (১৬), মোহাম্মদ জুবাইর (১২), আবদুর রহিম (৫), মেয়ে কহিনুর আক্তার (৯) ও জয়নবা আক্তার (৭)।

এদিকে, মঙ্গলবার পাহাড় ধ্বসে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় রকিম আলী (৪৭) নামে একজন নিহত হন। তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরঘোনা গ্রামের মৃত আলী আহমদের ছেলে।

উখিয়া: ভারী বর্ষণে বুধবার ও মঙ্গলবার কক্সবাজারে উখিয়ায় পাহাড় ধসে এবং পানিতে ডুবে শিশুসহ ছয়জন রোহিঙ্গা ও তিনজন স্থানীয় নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত আরও পাঁচজন।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চোরাখোলা এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহমান (৪৫), ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৩৭ ব্লকের নুর মোহাম্মদের মেয়ে নুর নাহার (৩০), শাহা আলমের ছেলে শফিউল আলম (১২), জি-৩৮ ব্লকের ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৪) ও তাদের দুসন্তান আব্দুর রহমান (৪) ও আয়েশা ছিদ্দিকা (২)। এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধইল্যাঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আলী আকবর (৩৫), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালিয়ারকুল এলাকার মো. ইসলামের ছেলে মো. রুবেল (২২) ও বাহার।

মহেশখালী: দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে পৃথক দুটি ইউনিয়নে এক বৃদ্ধ এবং এক কিশোরী পাহাড় ধসে নিহত হয়েছেন। এরা হলেন- হোয়ানক ইউনিয়নে রাজুয়ার ঘোনার বাসিন্দা আলী হোসেন (৬৮) ও মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া এলাকার আনসার হোসেনের মেয়ে মোর্শেদা বেগম (১৪)।

এদিকে, ঈদগাঁও উপজেলায় ঢলের পানিতে নিমজ্জিত দরগাহপাড়া এলাকায় স্রোতের মাঝে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ মিলেছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আনু মিয়া সিকদারের ইটভাটার পাশের খালে তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করে দমকল বাহিনী ও নিখোঁজের স্বজনরা।

নিহতরা হলেন- দরগাহপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ শাহাজাহানের দুই ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (২৬) ও দেলোয়ার হোসেন (১৫) এবং আবছার কামালের ছেলে মোহাম্মদ মোরশেদ (১৪)।

ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম জানান, ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর ঢলে ডুবে থাকা দরগাহপাড়া-ভাদিতলা মুক্তিযোদ্ধা ছুরুত আলম সড়কের কাঠের সাঁকো এলাকায় তিনজন নিখোঁজ হন। স্থানীয়দের পাশাপাশি দমকল বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজে যোগ দেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় খালে পৃথক জায়গা থেকে তাদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রামু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়াও এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকার আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান জানান, মঙ্গলবারের মতো বুধবারও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সোমবার ১২টা থেকে বুধবার ১২টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টায় কক্সবাজার জেলায় ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকালও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবত থাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ জানান, শ্রাবণের অতিবর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ঢল নেমেছে ঈদগাঁওর ফুলেশ্বরী, চকরিয়ার মাতামুহুরি ও রামুর বাঁকখালীতে। জলমগ্ন হয়েছে জেলার নয় উপজেলার সমতলও। শত শত বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। জেনেছি রান্নাও বন্ধ রয়েছে অনেক পরিবারে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে কাজ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডিসি আরও জানান, টেকনাফ-উখিয়া ও মহেশখালীতে পাহাড় ধ্বসে নিহত সবার পরিবারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধ্বসে এবং বানের পানিতে ভেসে এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং ও অভিযান চলছে।

‘লকডাউনে’ সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে চলছে কঠোর ‘লকডাউন’। আর এ কঠোর ‘লকডাউনে’ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

একদিকে যেমন শিল্প কারখানা বন্ধ, তেমনি যানবাহনও নেই সড়কে। ‘লকডাউনে’র ফলে মানুষ ঘর থেকেও বের হচ্ছেন কম। এমন অবস্থায় এ কঠোর ‘লকডাউনে’ যেন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন।

বুধবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তেমন চিত্রই। দেখা যায়, রাজধানীতে ভাসমান দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের সংখ্যা কম নয়। তাদের বেশির ভাগেরই ঘর বলতে কিছু নেই। আবার যাদের ঘর আছে, তারাও এ পরিস্থিতিতে হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। বাংলানিউজ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আদরী খাতুন নামে এক গৃহকর্মী বলেন, বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি, এ ‘লকডাউনে’ কাজ করতে পারি না। আমার স্বামীও অসুস্থ। সে খেলনা বিক্রি করতো, এখন সেটাও পারে না ‘লকডাউনে’র কারণে। দুই সন্তান নিয়ে টাকার অভাবে একদিকে যেমন খাদ্য সংকট, তেমনি স্বামীর চিকিৎসাও করাতে পারছি না। করোনাতে নয়, অবস্থা যা, তাতে আমরা ‘লকডাউনে’ই মরে যাব।

কাজ না হারালেও রাজধানীতে যারা রিকশা চালান, তাদের অবস্থাও অনেক করুন। বিশেষ করে ‘লকডাউনে’ রাস্তায় কিছু রিকশা দেখা গেলেও প্যাসেঞ্জার তেমন মে‌লে না বলেই মত তাদের। ফলে তারাও আছেন বিপাকে।

কারওয়ান বাজারের রিকশাচালক মো. সমির বলেন, ‘লকডাউনে’র কথা আর কি বলব ভাই, এখন কোনো খ্যাপ (ভাড়া) নাই। আগে তো মানুষ রাস্তায় বের হলেই ভাড়া মিলতো। এখন মানুষও রাস্তায় কম, আবার বাজার বন্ধ থাকায় মালামাল টানার কাজও নাই। দুই-একজন প্যাসেঞ্জার যা মেলে, তাও অনেক কষ্টে।

রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষের এক বিশাল অংশ- রিকশাচালক, দিনমজুর, হোটেল শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হকার, কুলি, গৃহকর্মীসহ অন্যান্য অসংখ্য পেশার মানুষ। তারা দিন এনে দিন খান। এসব মানুষের বসবাস বস্তিতে অথবা খোলা রাস্তার ধারে। কঠোর এ ‘লকডাউনে’র সব চেয়ে খারাপ প্রভাব যেন তাদের ওপরেই পড়েছে।

শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ছিল বিএনপির আমলে : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বিএনপির আমলেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সরকারি বাসভবন থেকে বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস ইনস্টিটিউট আয়োজিত সেরা অটোমেটেড আর্থিক প্রতিবেদন পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সরকার দলীয়করণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-দলাদলির কথা যদি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে যে কী পরিমাণ সন্ত্রাস হয়েছে, তা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মারামারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী সনির মৃত্যু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির নিয়োগ করা ভিসির রাতের বেলা অফিস দখল করা থেকেই বোধগম্য। মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেছেন, সেগুলো তাদের বেলাতেই প্রযোজ্য।

প্রকৃতপক্ষে গত সাড়ে ১২ বছরে শিক্ষাঙ্গনে সেশনজট অনেক কমে গেছে, একেবারে নেই বললেই চলে আর বিএনপি-জাতীয় পার্টির আমলে চার বছরের কোর্স শেষ করতে সাত বছর লেগে যেতো, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। একসময় নকল করে পরীক্ষা দেওয়া একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল, এখন সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে ঠিক শিক্ষা লাভ করে ঠিক সময়ে বেরিয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে সরকার অত্যন্ত যত্নবান এবং এ বিষয়ে অনেক সফলতা এসেছে।

এর আগে চার্টার্ড একাউন্টস ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনে অটোমেশন পদ্ধতি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দেশকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশিস বোস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়াও ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলানিউজকে

তিনি বলেন, সোমবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে। মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দিয়েছেন আদালত।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

চট্টগ্রামে নারীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ষাটোর্ধ্ব ওই নারী গত চারদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার উপসর্গগুলো দেখে চিকিৎসকরা তাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে ধারণা করছেন।

তারা বলছেন, এখনও এই সন্দেহটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়। ওই নারী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কি-না, সেটি নিশ্চিত হতে আরও ৩ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

তবে ওই নারীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্তের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত না করলেও রোগীর চিকিৎসায় যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে তা একমাত্র ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীকেই দেওয়া হয়। এদিকে চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও রোগীর ছেলে তা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলে জানিয়েছেন।

জানা যায়, গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন ষাটোর্ধ্ব গৃহিনী ফেরদৌস বেগম। চলতি মাসের ৩ তারিখ তিনি কোভিড টেস্টে পজিটিভ হন। ১৫ জুলাই কোভিড নেগেটিভ হলেও উনার নানা শারিরীক অসুবিধা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই রোগীর শরীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে ধারণা করছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা সুযত পাল বলেন, রোগীর অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি ‘মিউকরমাইকোসিস’ রোগে আক্রান্ত। এটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি-না, তা এখনো নিশ্চিত নই। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।

এই নারীর চিকিৎসায় এমপোটেরিসিন-বি ইনজেকশন প্রতিদিন ৫ ভায়াল করে মোট ১৪ দিন প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মাকে বাঁচাতে ব্যয়বহুল এই ওষুধ এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন সন্তানরা। কিন্তু তা এখনও পাওয়া যায়নি। আক্রান্ত এই নারীর স্বামী পাঁচদিন আগে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন।

রোগীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘পাঁচদিন আগে আমি আব্বাকে হারিয়েছি। এখন আমার মা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার জন্য এমপোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি খুঁজছি। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। প্লিজ আপনারা এই ওষুধের সন্ধান দিন। যত টাকা লাগে আমরা দিব। আমার মাকে বাঁচাতে চাই।’

বিরল এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই হাতেগোনা। তাই সরকারিভাবে আপাতত এই পরামর্শ মতো ইনজেকশন যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রোগী বাড়লে সরকারি নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা.সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এই রোগে যে ইনজেকশন প্রয়োজন তা এখনও দেশে নেই। ঢাকায় এক রোগীকে যে ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়েছিল তা কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।’

চিকিৎসকরা বলছেন, খুব কাছাকাছি দীর্ঘ সময় ধরে সংস্পর্শে না গেলে এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম। মূলত কোভিড আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। তবে শুরু থেকেই এই রোগে চিকিৎসা করা জরুরি।

চমেক হাসপাতলের মেডিসিন বিভাগ সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. আমির হোসাইন বলেন, ‘এটা খুব দুর্লভ একটা রোগ। সাধারণ এই রোগের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তবে এই রোগ কারো শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হবার কথা না। তবে যদি কেউ ক্লোজ কন্টাক্টে থাকে তাহলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারে।’ -জয়নিউজ

লোহাগাড়ায় ১২ মামলায় ৪ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে লোহাগাড়ায় ১২ মামলায় ৪ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৮ জুলাই) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সমির চৌধুরী ও নয়ন দাশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা ও অযথা ঘুরাঘুরি করায় সংক্রমণ আইনে ২০১৮ এর ২৪ ধারায় ১২ মামলায় ৪ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

লোহাগাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে লোহাগাড়ায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে চুনতি বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. নোমান (২০) উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের চাকফিরানী দুর্লভের পাড়ার আবদুল কুদ্দুসের পুত্র। এ সময় জব্দ করা হয়েছে তার ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও সিম কার্ড।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদের ছবি ব্যবহার করে গউ অতঅউ অতঅউ নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারক নোমান। সেখানে ১৮ বছর বয়সী এইচএসসি পাস শিক্ষাগত যোগ্যতার একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি দেখে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের রুদ্র পাড়ার অপু রুদ্রের পুত্র অসীম রুদ্র ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে ম্যাসেঞ্জারে কল করলে অসীম রুদ্রকে তিনি ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলে জানায়। এছাড়া চাকুরী পেতে কৌশলে বিকাশে ৫ হাজার ৫৭৫ টাকা দাবি ও টাকা পাঠানোর জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করেন। সন্দেহজনক হওয়ায় অসীম রুদ্র বিষয়টি সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান জিকুকে অবহিত করেন। তিনি ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন কেউ ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করছেন। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক নোমানকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তারের পর তিনি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, প্রতারক নোমানের বিরুদ্ধে অসীম রুদ্র বাদী হয়ে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করেছেন। বুধবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।