- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

বাঁশখালীর ৬ ট্রলার, ৬ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ

নিউজ ডেক্স : বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার ৪টি ফিশিং ট্রলার ক্ষতিগ্রস্থ এবং ৬ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার প্রায় ১৫/২০টি ফিশিং ট্রলার মাছ ধরার জন্য আজ মঙ্গলবার ভোরে চাম্বলের বাংলা বাজার ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে সকাল ৮টার দিকে হেফাজতুল ইসলামে মালিকানাধীন এফবি মুশফিক, মোহাম্মদ ফারুকের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার, কেফায়েত উল্লাহ মালিকানাধীন আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলার, নন্না মিয়ার মালিকানাধীন আরেকটি ফিশিং ট্রলার, মৌলভী আবুল খায়েরের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার এবং আনিস মাঝির একটি ফিশিং ট্রলার এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি জানায়, এ সময় মাঝি-মাল্লাদের কয়েকজন ফিশিং ট্রলার থেকে পানিতে পড়ে গেলে অন্য ফিশিং ট্রলারের সহযোগিতায় উপকূলে চলে আসতে পারলেও এখনও পর্যন্ত ছয় মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন।

তারা হলেন পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত আহমদ উল্লাহর পুত্র আনিস মাঝি(৪৫), মৃত নুর মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আলী(৩৮), শীলকূপ এলাকার মৃত মফিজের পুত্র মিয়া(৩২), আস্করিয়া পাড়ার আমির হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন, কুতুবদিয়া এলাকার ছৈয়দ আলম(৪৫)।

তবে শীলকূপ এলাকার হোছাইন আহমদের পুত্র আবদুর সবুরকে নোয়াখালীর হাতিয়ার সাঈদ মাঝির মালিকানাধীন ফিশিং বোট দুপুর আড়াইটার দিকে সাগর থেকে উদ্ধার করে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় সাঈদ মাঝি দৈনিক আজাদীকে জানান বর্তমানে আবদুর সবুর তার বাড়িতে অবস্থান করছেন। জানা যায়, ঝড়ের কবলে পড়ে ফিশিং ট্রলারগুলো চাম্বল এলাকার।

চাম্বল বাংলা বাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ সম্পাদক মো. আকতার বলেন, “ঝড়ের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারগুলোর মধ্যে আনিস মাঝির ফিশিং ট্রলার আর নন্না মিয়ার ছেলে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। তাছাড়া আরো কয়েকটি ফিশিং ট্রলারও লোকজনের এখনও খোঁজ মিলছে না।”

তিনি কোস্ট গার্ড-এর সহযোগিতা চান জেলেদের উদ্ধারে। এ ব্যাপারে চাম্বল বাংলা বাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজতুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বলেন, “আমার মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারসহ নন্না মিয়া, আনিস মাঝি, ফারুক, আবুল খায়ের, কেফায়েত উল্লাহর সহ ৬টি ফিশিং বোট ও ৬ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ।”

তিনি আরো জানান সাগরে দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড-এর সাথে তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। কোস্ট গার্ড কোনো খবর পেলে তাদের জানাবেন বলে জানান তিনি।

তাছাড়া গতকাল সোমবার রাতে একরাম নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যে ফিশিং ট্রলারে ছিলেন সেটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান হেফাজতুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকার ৬টি ফিশিং ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।”

জেলেদের কোস্টগার্ড-এর মাধ্যমে উদ্ধারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া সোমবার রাতে এক জেলের মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেন তিনি। আজাদী অনলাইন

ইন্টারনেটের গতিতে উগান্ডারও পেছনে বাংলাদেশ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে আরও দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ পিছিয়ে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশই মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। মোবাইলের চেয়ে দেশের ব্রডব্যান্ডের গতি কিছুটা ভালো।

ইন্টারনেট অ্যাকসেস ও পারফরম্যান্স অ্যানালাইসিস কোম্পানি ওকলার সর্বশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। জাগো নিউজ

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এমনকি উগান্ডাও এগিয়ে। স্পিডটেস্ট ডটনেটে ১৩৭টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেট গতির হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোড স্পিড ১২ দশমিক ৪৮ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস)। আপলোড স্পিড ৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস।

বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভেনিজুয়েলা ও আফগানিস্তান। সর্বশেষ অবস্থানে থাকা আফগানিস্তানের ডাউনলোড স্পিড ৭ দশমিক ৩৭ এমবিপিএস। জুন মাসে বৈশ্বিক গড় ডাউনলোড গতি হচ্ছে ৫৫ দশমিক ৩৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড হচ্ছে ১২ দশমিক ৬৯ এমবিপিএস।

লোহাগাড়ায় ১০ মামলায় ২ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে লোহাগাড়ায় ১০ মামলায় ২ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সমির চৌধুরী ও নয়ন দাশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা ও অযথা ঘুরাঘুরি করায় সংক্রমণ আইনে ২০১৮ এর ২৪ ধারায় ১০ মামলায় ২ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মুফতি ইদ্রিছ রেজভীর মৃত্যুতে ড. নদভী এমপির শোক

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ রজভীয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইদ্রিছ রেজভীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম- ১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, অত্যন্ত অমায়িক স্বভাব, দূর দৃষ্টিসম্পন্ন খোদাভিরু একজন বিদগ্ধ আলেমেদ্বীন ছিলেন মুফতি মুহাম্মদ ইদ্রিছ রেজভী। তীক্ষè মেধা আর উন্নত স্বভাব- চরিত্রের জন্য তিনি বিশেষ সুনাম ও সুখ্যাতির অধিকারী ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে জাতি হারিয়েছে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক আলেমেদ্বীন। ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি মরহুমের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

ড. নদভী এমপির প্রেস সচিব অধ্যাপক শাব্বির আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

লোহাগাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ফজলুর রহিম চৌধুরী (৭২) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কিল্লার আন্দর এলাকার মৃত এনায়েত রহিমের পুত্র ও দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। রোববার (২৫ জুলাই) রাতে আহত শিক্ষকের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৬০) বাদী হয়ে ৬ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, প্রতিপক্ষদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২২ জুলাই বিকেলে প্রতিপক্ষরা ও তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসতঘরে হামলা করে। পরে তাদেরকে বসতঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফজলুর রহিম চৌধুরীর বাম পায়ের হাটুতে গুরতর রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে বাঁচাতে বসতঘর থেকে অন্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর এবং ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্তরা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৫২), সরওয়ার মামুন (৫৬), মিনহাজ (৪৪), সেলিম রেজা (৫৪), হেলাল উদ্দিন (৩০) ও আনিচুর রহমান (৩৪)। ঘটনার ব্যাপারে সরওয়ার মামুন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ও আনিচুর রহমান জানান, ঘটনার সাথে তিনি সম্পৃক্ত না।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তবে উক্ত ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

লেখার জগতে আসার আদি অন্ত

Posted By admin On In শীর্ষ সংবাদ,সাহিত্য পাতা | No Comments

ফিরোজা সামাদ : জন্ম আমার সেই পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে সর্ব দক্ষিণের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অজপাড়াগাঁয়ে। আমার মা ছিলেন একজন বিদুষী জ্ঞানী নারী। মা আমার বেশ ভালোই লেখাপড়া জানতেন। রাতে মায়ের পাশে শুয়ে অনেক ছড়া,কবিতা ও গল্প শুনে শুনে ঘুমিয়ে পড়তাম!

বড়োদের মুখে শুনেছি, সেই ছোট্টবেলা থেকেই নাকি আধো আধো ও তোতলামি কথায় মুখে মুখে ছড়া কাটতাম বলে অামায় নিয়ে সবাই হাসাহাসি করতো। কখনো আবার ছড়া পড়া শেষ করে নিজেই নিজের মাথায় হাত বুলাতাম আর বলতাম সুন্নর ! সুন্নর ! একা একাই হাতে তালি বাজাতাম! এজন্য বোকামির খাতায় আমার নামটি জ্বলজ্বল করতো। সমবয়সী যারা সবাই জোট বেঁধে আমায় ঠকানোর চেষ্টা করতো। আসলে তা ঠকানো বললে ভুল হবে। আমার বোকামি দেখে তারা মজা পেতো। সেই সমবয়সীরাই এখন আমার অতীতের বাল্যবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে চোখের পানি ঝরায় আর তাতে আমি ভীষণ আনন্দিত হই এই ভেবে যে, ভাগ্যিস আমি অত্যন্ত সহজ সরল ও বোকা ছিলাম! নাহলে এই কাহিনি কোনোদিনও জানা হতো না! আমার ছোটবেলা নিয়ে কেউ কোনো গল্পও করতো না। পরম্পরাও ছোট্ট সেই আমার মানবিক আচরণ, সারল্যতার প্রতিদানের কথা কোনোদিনও জানতে পারতো না! আমি মহান অাল্লাহ্ সুবহানাহু তাআ’লার কাছে জানাই শোকর আলহামদুলিল্লাহ্!

আমার নয় বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে এতিমের খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করলেন মহান অাল্লাহ্ । আমার মায়ের বয়স তখন মাত্র বত্রিশ বা তেত্রিশ বছর। আমার মায়ের ব্যক্তিত্ব তখন দারুণ পরিপক্ব। সেই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মানবিক শিক্ষা ও আচরণকে অবলম্বন করে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় আমাদের তিন তিনটি বোনের লেখাপড়া সহ সামাজিক জীবন যাপনের দায়ভার কাঁধে তুলে নিলেন অসীম সাহসের ডানায় ভর করে। সেই দুঃসময়ে আমার মামারা ( মা’য়ের আপন ভাই ) । আমার মা’য়ের ভরসার জায়গা করে দিয়ে বোনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সমীকরণ এই যুগে এসে কোথাও দেখা যাবেনা।

আমার দাদাও ধনাঢ্য ও বিশাল জমির একচ্ছত্র মালিক ছিলেন। তার পাঁচটি ছেলেকেই তিনি পিটি, জিটি পাশ করিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দুই ছেলে ছিলো আদরের নন্দদুলাল। তারা কোনো কাজকর্ম করতেন না। ধুতি-পাঞ্জাবী,চটি ও সৌখিন লাঠি হাতে নিয়ে চষে বেড়াতেন। পরের দুই ছেলে দলিল লেখকের খাতায় নাম লেখালেন। অবশ্য তখন এই পেশাটিকে অভিজাত হিসেবে গন্য করা হতো। বিশাল জমির মালিকানার পর এই দলিল লেখার পেশাটি অন্য একটি স্ট্যাটাস হিসেবে নিয়েছিলেন তারা। আমার আব্বা আর একটু অগ্রসর হয়ে পটুয়াখালী থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডারির এক লাইসেন্স এবং সাথে দলিল লেখকেরও লাইসেন্স করে বেশ নামকরা ভেন্ডার ও মোক্তার বনে গেলেন। তখন দলিল লেখকদের পদমর্যাদা ছিলো মোক্তার।

আমার আব্বার মৃত্যু হয়েছিলো দুরারোগ্য ” ক্যান্সারে! সেই ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গিয়ে আবাদি জমির অনেকটাই বন্ধক দিতে হয়েছিলো। ঢাকার মিটফোর্ড হসপিটালে আব্বার চিকিৎসা চলছিলো সেই ১৯৬৮ ইং সনে।

কিন্তু ; কিছুতেই আব্বা অার ফিরলেন না। চলে গেলেন সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ও তিনটি শিশু কন্যাকে অকূল পাথারে ভাসিয়ে দিয়ে। আমরা এতোই অভাগী ছিলাম আব্বার মৃতদেহটিও দেখার ভাগ্য হয়নি। শুনেছি আব্বাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এখনো মাঝে মাঝে যাই কিস্তু আব্বার কবর কোথায় জানিনা। শুধু মাটি ছুঁয়ে মহান অাল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, হায় অাল্লাহ্ আমি তো জানিনা কোথায় আব্বার কবর! তুমি আমার আব্বার কবরের জায়গাটুকু সাদাকা হিসেবে কবুল করে নাও।

আজ এই পর্যন্ত আবার দেখা হবে পরবর্তী ২য় পর্বে, ততক্ষণে সবাই সতর্কতার সাথে সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকুন!

অনিয়ম করলে ক্ষমা নেই, কঠোর শাস্তি : প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অনিয়ম করলে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমা করা হবে না এবং কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে সর্তক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন এবং ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলানিউজ

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এইটুকু বলবো, ভালো যেমন আপনি পুরস্কার পাবেন আবার কেউ যদি খারাপ কিছু করে তাদের কিন্তু ক্ষমা নেই, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এই শৃঙ্খলাটা থাকতে হবে। সেটা অবশ্যই আমরা করবো। ’

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উদ্দেশে সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করলে আপনারা আরও বেশি জানার সুযোগ পান। মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানতে পারেন। কিভাবে একেকটা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায় সেটা আপনারা সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন। আমি আশা করি সেই ভাবেই আপনারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কিভাবে নেওয়া যায়, কিভাবে মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া যায় সেদিকে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি দেবেন যেন আমরা জাতির স্বপ্ন পূরণ করতে পারি, সেটাই আমরা চাই। ’

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে যে, তারা শাসক নন, সেবক..’ বঙ্গবন্ধু তার এই চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে। সংবিধানের ২১এর (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য। ’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আরেকটি উক্তির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আপনারা তো এই দেশেরই মানুষ। আপনারা তো পাকিস্তান থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। কাজেই এই বাংলাদেশের সব জায়গায়ই তো আপনার আত্মীয়, স্বজন সবাই আছে। কাজেই বাংলাদেশ যত উন্নত হবে আপনার আপনজনরাই তো সুন্দর জীবন পাবেন, ভবিষ্যৎ পাবেন। ’

‘কাজেই সেই কথা চিন্তা করেই দেশের জন্য কাজ করবেন। যাতে আপনাদের পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা বজায় থাকে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি যেন দেশের কাজে লাগে সেটাই আমরা চাই। ’

বাজেট বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাজেট যেন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যেন মান ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করা যায় আর যত্রতত্র যেখানে সেখানে শুধুমাত্র একটা কিছু নির্মাণের জন্য নির্মাণ যেন না হয়। যেটা আদোতে প্রয়োজন দেশের জন্য, মানুষের জন্য সেই রকমই যেন আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পটা হয়, পরিকল্পনাটা হয়। সেভাবে আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল রাখবেন। এটাই আমি চাই। ’

করোনা মহামারি থেকে বাঁচাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে আমাদের যত দ্রুত মুক্ত হওয়া যায়, বাংলাদেশকে মুক্ত করা যায় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। মানুষ যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো মেনে চলে সেই ব্যাপারে তাদের সচেতন করতে হবে। ’

সবাইকে করোনা টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে টানা তিনবারের সরকার প্রধান বলেন, ‘জনগনকে সুরক্ষিত রাখতে করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধক টিকা ব্যাপকভাবে দিতে হবে এবং ভ্যাকসিন কিনতে যত টাকাই লাগুক না কেন সেটা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি করবো যাতে বাংলাদেশের মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়। সেটাই আমরা করবো। ’  
 
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১ কোটি ৮৭ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ টিকা পাওয়ার যাদের বয়স হয়েছে তারা কেউ বাদ যাবে না। আমাদের ছাত্র শিক্ষক থেকে শুরু করে আমরা সকলের জন্য এই টিকা ক্রয় করতে থাকবো, আনতে থাকবো এবং দিতে থাকবো। সেই ব্যবস্থাটাও আমরা অবশ্যই করবো। ’

এ সময় বেতন বৃদ্ধিসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান শুরু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান শুরু হবে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর বিধিনিষেধ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকের পরে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বাংলানিউজ

কবে তুলে নেওয়া হবে বিধিনিষেধ, জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। যা চলবে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

লকডাউনে সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। টানা এই ১৪ দিনের লকডাউনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হলেই করা হচ্ছে জেল জরিমানা। এমতাবস্থায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

আগামী ৫ আগস্টের পর লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ধীরে ধীরে সব খোলা হবে। একবারে না। ধাপে ধাপে সব খোলা হবে। এক সঙ্গে সব খোলা হবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবারই সবার জায়গা থেকে চেষ্টা করা উচিত। আমরা তো এভাবে বাঁচতে পারব না। আমাদের মাস্ক পরতে হবে, কাজও করতে হবে। আমাদের টিকার সংকট কেটে গেছে। এখন সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। তাহলে কি অর্ধেক জনবল নিয়ে প্রথম দিকে অফিস খোলা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ এরকমই।

দুএক দিনের মধ্যে গার্মেন্টস খোলার কোন সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মাসে সম্ভাবনা খুবই কম। সবাইকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে চাচ্ছি। দুই সপ্তাহ পরে গার্মেন্টস খুলে দেব। রপ্তানিমুখী সবগুলো শিল্প কারখানা খুলে দেব। আগামী ১ আগস্ট থেকে খোলা হবে কি না এবিষয়ে বলেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, লকডাউনের বিষয়ে অনেকের অনীহা আছে। কিন্তু অনীহা হলে চলবে না। আগে জীবন বাঁচবে তারপর অর্থনীতি। আগে আপনি বেঁচে থাকুন, তার পর আপনার অর্থনীতি। অর্থনীতি দিয়ে কি করবেন? অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে জীবন বাঁচাতে হবে। জীবন বাঁচাতে হলে আপনাদের লকডাউন মানতে হবে এবং ভ্যাকসিন নিতে হবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, মাস্ক সবাইকে পরতে হবে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি লকডাউন আজ চারদিন চলছে, কিন্তু রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ চলাচল করছে, গাড়ি বের হচ্ছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। তারা লকডাউন ব্রেক করছে। তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের বিকল্প কিছু নাই। লকডাউন মানাতে হবে। লকডাউন বাস্তবায়নে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের আরো কঠোর হতে হবে। জনগণকে একটু সচেতন হতে হবে। বয়স্করা যেন ভ্যাকসিন নেন, টেস্ট করান এটা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে সংক্রমিত হচ্ছে সেখানে যেন বয়স্করা না যায়। সংক্রমণ না কমলে রোগী কমবে না, রোগী না কমলে মৃত্যু কমবে না এবং হাসপাতালে জায়গা হবে না এটিই বাস্তবতা।

লকডাউন না হলে মৃত্যু ছয়শো বা আটশো হত : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

লকডাউন বা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে কার্যকর না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতো বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বাংলাদেশে লকডাউন বা বিধিনিষেধ কার্যকর করার প্রভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা এক জায়গায় থেমে গেছে বলে সরকার মনে করছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আবারও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির মুখে গত এপ্রিল মাসে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকাসহ সারাদেশকে বিধিনিষেধের আওতায় নেওয়া হয়েছিল। ঈদের সময় সাতদিন বাদ দিয়ে আবার ২৩শে জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ এখন চলছে।

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ৫ জনের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে মাটিচাপা পড়ে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। অন্যদিকে একই দিনে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানিতে ডুবে আরও এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। বাংলানিউজ

কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা ছয় জনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল থেকে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।