- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

সকালে ভর্তি বিকেলে মৃত্যু হচ্ছে করোনা রোগীর!

নিউজ ডেক্স : ‘হ্যালো কে, শুনছেননি আপনার ভাই তো মারা গেছে। অ্যাই আনুমানিক চাইরটার সময়। লাশ বাড়িতে লইয়া যাইতাছি। পারলে যারে যারে পারেন একটু জানাইয়া দিয়েন।’

শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক-২) করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে লাশের পাশে বসে করোনায় স্বামীর মৃত্যু সংবাদ দিচ্ছিলেন এক নারী। শোকে পাথর হয়ে কাঁদতে যেন ভুলে গেছেন তিনি।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে জ্বর। গত রাত থেকে শ্বাসকষ্ট। সকালে ভর্তি করলাম আর বিকেলেই মারা গেল। চিকিৎসার সুযোগটুকুও দিল না।’

পাশেই আরেক মৃত রোগীর স্ত্রী কাঁদছিলেন। তার স্বামী কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। পরবর্তীতে করোনা ধরা পড়ে কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে আজ বিকেলে মারা যান।

jagonews24

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়। একদিকে করোনায় মৃতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ছিলেন আরেক দিকে রোগী ভর্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন করোনা আক্রান্তদের স্বজনরা। কেউ ভর্তি হতে পারছিলেন আবার কাউকে অন্য হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছিল। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। এই মুহূর্তে ঢামেক হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই বলেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

এ দৃশ্য শুধু ঢামেক হাসপাতালেই নয়, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী মৃত্যু ও ভর্তিচ্ছু রোগীর চাপ বেড়েছে। ঢামেক হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালে খরচ কম হওয়ায় রোগীর স্বজনরা প্রথমে সরকারি হাসপাতাল ও পরে শয্যা না পেলে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন। শুধু রাজধানীই নয়, বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকেও রোগীরা চিকিৎসা নিতে রাজধানীতে ছুটে আসছেন।

শনিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৮৬টি। তার মধ্যে শয্যা খালি রয়েছে ৬ হাজার ৭৯৩টি। সারাদেশে আইসিইউ বেড সংখ্যা এক হাজার ১৯৫টি। শয্যা খালি রয়েছে ৪৬৪টি।

jagonews24

রাজধানীর সরকারি ১৬টি ও বেসরকারি ২৮টি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট সাধারণ শয্যা ৫ হাজার ৫৮৯টি। তার মধ্যে খালি রয়েছে ২ হাজার ৮৬১টি। এছাড়া ৮২৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৩৪৫টি।

সরকারি ১৬টি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ৩ হাজার ৮০৭টির মধ্যে খালি ১ হাজার ৮৯৭টি। এছাড়া আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৩৮৪টির মধ্যে খালি ১১৭টি। এছাড়া বেসরকারি ২৮টি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ১ হাজার ৭৮২টির মধ্যে খালি ৯৬৪টি। এছাড়া আইসিইউ ৪৪২টির মধ্যে খালি ২২৮টি।

পরিসংখ্যান দেখলে রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এখনো অর্ধেক শয্যা খালি। তারপরও রোগী নিয়ে গেলে অধিকাংশ হাসপাতালেই নানা অজুহাতে ভর্তি না নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে আইসিইউ শয্যা তো পাওয়াই যাচ্ছে না অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

jagonews24

এদিকে, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের কাছে আইসিইউ ও সাধারণ বেডে কত সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কতজন মারা গেছেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালের ২০টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালের ৭৮০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ৫৫৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আলাপকালে তিনি বলেন, ঢামেকের করোনা আইসিইউতে সব সময়ই রোগী থাকে।

jagonews24

রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, তাদের হাসপাতালে ৫০০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ৪৮৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া ২১২টি আইসিইউয়ের মধ্যে ৯১টিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন।

রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ২৭৫টি সাধারণ শয্যায় অতিরিক্ত ২৬ জন অর্থাৎ ৩০৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ১০ শয্যার আইসিইউয়ের একটিও খালি নেই বলে জানা গেছে। -জাগো নিউজ

কোরআনে আছে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে : প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পবিত্র কোরআনে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা রয়েছে। আমাদের নবী করিম (সা.) বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে। তিনি এই শিক্ষা দিয়েছেন।

শনিবার (৩ জুলাই) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জাগো নিউজ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কোরআন শরিফে বলা হয়েছে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সব ধর্মের মর্যাদা দেয়। কোরআন শরিফে আছে, ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন’ অর্থাৎ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। যার যার মতামত সে সে প্রকাশ করবেন।”

এর আগে সংসদের এই অধিবেশনেই বিএনপির হারুনুর রশিদ কোরআনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা নেই বলে দাবি করেছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকার সমালোচনাও করেন তিনি। হারুন বলেন, ‘সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা রাখা সাংঘর্ষিক।’

বিএনপি নেতা হারুনের বক্তব্যের প্রসঙ্গটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য বলেছেন, কোরআনে না-কি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা নেই। আমি বলব অবশ্যই আছে। আমাদের নবী করিম (সা.) বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে। তিনি এই শিক্ষা দিয়েছেন।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী কোরআনের আয়াত ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন’ পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার যার মতামত সে সে প্রকাশ করবেন। এটা প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতাই আসে। যতই তিনি (এমপি হারুনুর রশিদ) অস্বীকার করুন, যেভাবে তিনি ব্যাখ্যা দেন। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যুগ যুগ ধরে এটা চলছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই নিজের ধর্ম পালনে সব সময় গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল থাকতে হবে। এটা আমাদের শিক্ষা। এটা নবী করিম (সা.) সব সময় বলে গেছেন। কাজেই এ ধরনের কথা সংসদে না বলাটাই ভালো।’

নৌকা ডুবে ভূমধ্যসাগরে তলিয়ে গেছে বাংলাদেশিসহ ৪৩ অভিবাসী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে বাংলাদেশিসহ ৪৩ জন সাগরের পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবারের (৩ জুলাই) এ ঘটনায় আরও ৮৪ জনকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ান নৌবাহিনী।

তিউনিসীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান মোঙ্গি স্লিম (Mongi Slim) এর বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

গত সোমবার রাতে লিবিয়ার উত্তরপশ্চিম উপকূলের জুওয়ারা বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ইউরোপ পৌঁছাতে তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। ইঞ্জিন ভেঙে যাওয়ার পর জাহাজটি উল্টে যায়।

তিউনিসীয় রেড ক্রিসেন্ট জানায় নৌকাটি মিশর, সুদান, ইরিত্রিয়া এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের বহন করছিল। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার রুটে প্রধান পয়েন্ট লিবিয়া। আর ইউরোপ প্রবেশের অন্যতম প্রধান রুট ইতালি।

সম্প্রতি তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে তিউনিসিয়া উপকূলে আরও কয়েকটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশী কয়েক লাখ মানুষ। এদের অধিকাংশই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ। সংঘাত ও দারিদ্র থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এসব মানুষ।

চট্টগ্রামের ৩ নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ক্যান্সারে আক্রান্ত বোনকে কেমোথেরাপি দিতে গিয়ে টাঙ্গাইলে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন চট্টগ্রামের আপন দুই বোন ও এক কন্যা শিশু। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ৩ জন হলেন- ক্যান্সার আক্রান্ত ফরিদা বেগম (৩০), তার বোন ফেরদৌসী বেগম (৩৪) ও ফরিদার ছোট মেয়ে মারিয়া (১৬)। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহসড়কে বিপরিতমুখী একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় অ্যাম্বুল্যান্সটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়।

ফরিদা ও ফেরদৌসী বেগম নগরীর ইপিজেড থানাধীন জবু ফকিরের বাড়ির নজির আহমদের মেয়ে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাগিনা নাসির ইসলাম। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে কেমোথেরাপি দিতে আমার মামি ফরিদা বেগম তার সিডিএ ১ নাম্বার সড়কের বাসা থেকে বোন আর বোনের মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ ক্যান্সার হাসপাতালে উদ্দ্যেশে রওনা দেন। অ্যাম্বুলেন্সটি আজ সকাল ৭টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীরমুখি পিকআপভ্যান সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

ঘটনার ব্যাপারে ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাদের লাশ রবিবার চট্টগ্রামে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ ৪জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আহত হয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজাদী অনলাইন

সাতকানিয়ায় চেম্বারে যাওয়ার সময় ডাক্তারকে ইউএনওর জরিমানা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনায় অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার বন্ধ করে দেয়ায় রোগীরা যখন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঠিক তখনই সাতকানিয়ায় চেম্বারে যাওয়ার সময় এক ডাক্তারকে জরিমানা করল ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার শিকার হওয়া ডাক্তারের নাম ফরহাদ কবির।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রোগী দেখার জন্য মোটরসাইকেলযোগে সাতকানিয়া পৌর এলাকায় চেম্বারে যাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও’র শাস্তি দাবি করেছেন চিকিৎসক নেতারা। তবে ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি অন্যায় কিছু করেননি, সরকারি আইন বাস্তবায়ন করেছেন।

জরিমানার শিকার হওয়া সাতকানিয়ার মির্জারখীল এলাকার বাসিন্দা ডা. ফরহাদ কবির বলেন, “আমি পৌরসভার নাছির ফার্মেসি এবং মক্কা ফার্মেসিতে নিয়মিত চেম্বার করি। ঘটনার দিন আমি চেম্বার শেষ করে ফিরছিলাম। ওই সময় একজন ইমার্জেন্সি রোগী আসার বিষয়ে ফোন পেয়ে মাঝপথ থেকে আবার চেম্বারে যাচ্ছিলাম। তখন সাতকানিয়া পৌরসভার কলেজ রোডের মুখে ইউএনও সাহেবের সাথে দেখা হয়। এসময় ইউএনও’র সাথে থাকা লোকজন সিগন্যাল দিলে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার পরিচয় দিই। ডাক্তার পরিচয় পাওয়ার পর ইউএনও কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, আপনারা লকডাউন দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন। আমরা লকডাউন সফল করতে পারি না বলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আর এখন আপনারা লকডাউন মানছেন না। এরপর ইউএনও’র সাথে থাকা এক লোক আমার কাছ থেকে মোটর সাইকেলের চাবিটি নিয়ে ফেলে।”

তিনি আরো বলেন, “এক পর্যায়ে ইউএনও জানান, আমাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, লকডাউনে বের হয়েছেন এজন্য। তখন আমি উনাকে ডাক্তারদের চেম্বারে যাওয়া-আসায় বিধিনিষেধ না থাকার বিষয়ে বলি। এতে আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে তিনি বলেন, আমি চাইলে আপনাকে জেল দিতে পারি। তা করলাম না, এক হাজার টাকা জরিমানা দেন।”

ডাক্তার ফরহাদ কবির আরো জানান, অনেক লোকের সামনে তিনি ডাক্তারদের সম্পর্কে অনেক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এক পর্যায়ে মামলা লিখে আমার হাতে দিয়ে এক হাজার টাকা দিতে বলেন। তখন আমি টাকা দিয়ে দিই। এরপর ইউএনও বলেন, সাংবাদিকরা ছবি উঠান, ডাক্তারকে যে জরিমানা করছি এটা পত্রিকায় দিতে হবে। পরে অনেকে মোবাইল ফোনে আমার ছবি তুলেছেন। এরকম অপমান আমি জীবনে পাইনি। আমি বুঝতে পারছি না একজন ইউএনও কীভাবে এমন খারাপ আচরণ করতে পারেন?”

ঘটনার বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “উনি যে ডাক্তার সেটাতো আমি বুঝতে পারিনি। উনার সাথে আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হেলমেট ছিল না। তিনি যে অন্যায় করেছেন সেটা নিজে বুঝতে পেরেছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, আমার অন্যায় হয়েছে। আমাকে শাস্তি দেন। পরে আমি এক হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আইন সবার জন্য সমান। সরকার আইন করেছে আমরা বাস্তবায়ন করছি। তিনি চাইলে আপিল করতে পারেন। মূলত সন্ধ্যা ৭টার পর পাওয়াতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকাতে জরিমানা করা হয়েছে।”

ইউএনও ডাক্তারের সাথে পরিচয় পত্র না থাকার কথা বললেও মামলায় ডাক্তার ফরহাদ কবির লেখা হয়েছে। মোটরযান আইনে মামলা দেয়ার কথা বলা হলেও মামলায় অপরাধ হিসেবে দণ্ডবিধি ২৭০ ও ২৭১ উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ধারায় বিদ্বেষপূর্ণ কর্ম যা দ্বারা জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তার লাভের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সঙ্গরোধ সংক্রান্ত নিয়ম অমান্য করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী ডাক্তার আমাকে জানাননি। স্বাচিপ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। উনারা বলেছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” চলমান লকডাউনে ডাক্তারদের চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রশ্নই উঠে না।”

ঘটনার বিষয়ে স্বাচিপ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান জানান, লকডাউনে ডাক্তারদের চলাচলে সরকারিভাবে কোনো ধরনের বাধা নাই। এরপরও একজন ডাক্তার রোগী দেখার জন্য চেম্বারে যাওয়ার সময় ইউএনও’র এমন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসকরা করোনা মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইউএনও’র এমন আচরণ চিকিৎসকদের হতাশ করে ফেলবে। যে চিকিৎসককে জরিমানা করা হয়েছে তার গাড়ির কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকলে মোটরযান আইনে মামলা দিতে পারত কিন্তু তিনি মামলার কাগজে ডাক্তার উল্লেখ করে সংক্রমণ আইনে মামলা দিয়েছেন। এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এছাড়া ইউএনও লোকজনের সামনে ডাক্তারদের নিয়ে অনেক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এজন্য ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান তিনি। -আজাদী অনলাইন

চুনতিতে মহাসড়কে উল্টে গেল রডবাহী ট্রাক

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেছে রডবাহী একটি ট্রাক। শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইউনিয়নের খাঁনদিঘী এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে দূর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, কক্সবাজারমুখী রডবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খালি জমিতে উল্টে যায়। দূর্ঘটনার পর পরই চালক ও সহকারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। দূর্ঘটনায় কেউ আহত কিংবা নিহত হয়নি। দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি ঘটনাস্থলেই রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির মালিক রডবাহী ট্রাকটি উদ্ধার করে নিয়ে যাবে বলে জানান।

আধুনগরে ডলু ও হাতিয়া খালের ভাঙ্গন পরিদর্শনে পাউবো

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার আধুনগরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ডলু ও হাতিয়া খালের ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি টিম। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে ইউনিয়নের একাধিক ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড পটিয়া পৌর উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহিদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী দিবান কৃঞ্চ চৌধুরী, ইউপি সদস্য যথাক্রমে আবুল কালাম, আব্দুল মন্নান, জয়নাল আবেদীন, রাশেদুল ইসলাম, সুজন দাশ ও আবুল হাসান প্রমুখ।

জানা যায়, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি পানির ঢলে ডলু ও হাতিয়া খালের উত্তর হরিণা মিয়া পাড়া, আধুনগর বাজারের উত্তর পাশে সওদাগর পাড়া, মেহের আলী মুন্সি পাড়া, সিপাহী পাড়া, খাচারী পাড়া, সর্দানী পাড়া, আখতায়িা পাড়া, ছাইয়ার পাড়া ও মছদিয়া এলাকাসহ প্রায় ১৩টি স্থানে ছোট-বড় ভাঙ্গন দিয়েছে।

আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, সম্প্রতি বন্যায় ইউনিয়নের ডলু ও হাতিয়া খালের ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি পয়েন্টের টেন্ডার বাস্তবায়ন অবস্থায় আছে। ওইসব স্থানে শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। অন্যান্য ভাঙ্গন স্থান সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে ইউনিয়নের মিয়া পাড়া, মেহের আলী পাড়া মুন্সীর পাড়া, আধুনগর নয়া পাড়া, নজির আহমদ শাহ পাড়া, সাহেব বাড়ি পাড়া, হিন্দু পাড়া, রুস্তমের পাড়া সড়ক, শাহ মজিদিয়া রশিদিয়া সিপাহী পাড়া সড়ক, আকতারিয়া পাড়া, সর্দানী পাড়াসহ ৩০টি গ্রাম পানি বন্দি হয়ে পড়ে। পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে যায় রাস্তাঘাট। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা।

লোহাগাড়ায় লকডাউনের তৃতীয় দিনে ৩১ জনকে জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় লকডাউনের তৃতীয় দিনে ৩১ মামলায় ৪ হাজার ৩৯০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলা সদর বটতলী মোটর স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবীব জিতু। সাথে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১০ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন মুক্তাদির আহমেদ আসিফ, থানার এসআই রুহুল আমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমির চক্রবর্তী।

নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট জানান, চলমান লকডাউন অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করায় সংক্রমণ প্রতিরোধ আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারায় ৩১ জনকে ৪ হাজার ৩৯০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।