- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

সাতকানিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞা হত্যার রহস্য উম্মোচন

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞা হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। মূলত বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলার সময় গালি দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির কর্মচারী জমির উদ্দিন তাকে হত্যা করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর নিহতের বাড়ির কর্মচারী ও বাঁশখালী পৌরসভার জলদি খলিশ্বা পাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে জমির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি ক্রোবার, ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ১টি ছুরি, আসামীর ব্যবহৃত ২টি ও নিহত আবদুল হক মিঞার ১টি মোবাইল ফোন সেট সেচ দিয়ে পুকুরের পানি শুকিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু।

এসময় সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) সুজন কুমার দে, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আহসান হাবীব ও হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ মো. সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত আসামী ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে নিজ বসতঘরের শয়নকক্ষ থেকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া চেয়ারম্যান পাড়ার উকিল বাড়ির মৃত এডভোকেট কাছিম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহত আবদুল হক মিঞার বড় ছেলে শিল্পপতি নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এএসপি জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, গত রবিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে যেকোনো সময়ে কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞাকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার দিন সকালে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল হক মিঞার বাড়ির কর্মচারী জমির উদ্দিনকে পুলিশ নজরদারিতে আনে।পরে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ জমির উদ্দিনকে থানায় ডেকে নেয়। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জমির উদ্দিন নিজেকে বাঁচানোর জন্য একেক সময় একেক রকম তথ্য দেয়।

তার দেয়া তথ্যের সত্যতা না পাওয়ায় পুলিশ তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় কর্মচারী জমির উদ্দিন নিজে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞাকে হত্যা করার কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করে।

আসামী জমির উদ্দিনের বরাত দিয়ে এএসপি জাকারিয়া রহমান জিকু আরো জানান, ঘটনার দিন রাতে কর্মচারী জমির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞাকে তার বেতন বৃদ্ধি করতে বলে। তখন আবদুল হক মিঞা তাকে গালি দিয়ে কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারী জমির তার কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ভোর রাতে জমির উদ্দিনের ঘুম ভাঙলে আবদুল হক মিঞার দেয়া গালির কথা মনে পড়ে।

এরপর জমির চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞার শয়ন কক্ষে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় কোরাবারি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আবদুল হকের ঘুম ভেঙে যায় এবং আঘাতের যন্ত্রণায় কাতরানোর আওয়াজ হয়। এসময় কাতরানোর আওয়াজ বাইরে না যাওয়ার জন্য মুখে বালিশ চাপা দেয় জমির। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্রোবার দিয়ে আঘাত করে। এতেই আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হকের মৃত্যু হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য জমির ছুরি দিয়ে নিজের পায়ে সামান্য করে কেটে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া রহমান আরো জানান, আবদুল হক মিঞার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘাতক জমির হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্রোবারটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেয় এবং তার ব্যবহৃত ২টি ও নিহত আবদুল হক মিঞার ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন সেট চেয়ারম্যানের বাড়ির পেছনে থাকা পুকুরের পানিতে ছুঁড়ে মারে। জমিরের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়ার পর সেচ পাম্প দিয়ে বাড়ির পেছনে থাকা পুকুরের পানি শুকিয়ে ফেলা হয়।

পরে পুলিশ জমিরকে সাথে নিয়ে আবদুল হক মিঞার বাড়িতে গেলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম চৌধুরী, সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম ও এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্রোবারটি, ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ১টি ছুরি, পুকুর থেকে আসামীর ব্যবহৃত ২টি ও নিহতের ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জমির উদ্দিনসহ মোট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জমির উদ্দিন ছাড়া অন্যান্যদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে আপাতত বাদির জিম্মায় দেয়ায় হয়েছে।

এদিকে, সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী জমির উদ্দিনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় জমির উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আজাদী অনলাইন

কক্সবাজারে গ্রেফতার তিন পুলিশ ২ দিনের রিমান্ডে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার এক এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে আজ বুধবার (৩ মার্চ) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এছাড়া এই ঘটনায় পুলিশ হেড কোয়াটার্স-এর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যগণও কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় মামলার বাদী রোজিনা খাতুনসহ আরো কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীরুল গীয়াস এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কক্সবাজারে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তদন্তে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে কমিটির সদস্যগণ কক্সবাজার মডেল থানায় এসে রিমান্ডে থাকা তিন পুলিশ সদস্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর হুদা ছিদ্দিকী, কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন ও কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী নারী রোজিনা খাতুন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান রোজিনার স্বজনরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ার রিয়াজ আহমদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন গ্যাসের দোকান করার জন্য তার আত্মীয়-স্বজন থেকে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পর ৫/৬ জন সাদা পোশাক পরা লোক সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তার বসতবাড়িতে এসে তাকে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে টাকা দাবি করে। রোজিনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করে তার কাছে থাকা তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা।

পরে রোজিনার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে অটোরিকশা থেকে একজনকে ধরে ফেলে এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।তারপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। সোমবার রাতে অভিযুক্ত ৩ পুলিশ সদস্যকে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। আজাদী অনলাইন

লোহাগাড়ায় খামারের মালবাহী গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পুটিবিলায় খামারের মালবাহী গাড়ির ধাক্কায় মোহাম্মদ আবদুল (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পহরচান্দা এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই এলাকার সামশুল আলমের পুত্র।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাফফর আহমদ জানান, ঘটনারদিন খামারে গাড়িতে (পাওয়ার ট্রলি) করে মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে শিশুটি গাড়ির পেছনে ঝুলতে থাকে। এক পর্যায়ে গাড়ি ব্রেক করলে শিশুটি রাস্তায় পড়ে যায় এবং গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লোহাগাড়ায় গোয়ালঘরের তালা কেটে কৃষকের ৪ গরু চুরি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় গোয়ালঘরের তালা কেটে কৃষকের ৪টি গরু নিয়ে গেছে চোরেরা। বুধবার (৩ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রশিদের পাড়ার আকবর আলী মুন্সি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি ওই এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম লিটন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে গরুগুলো গোয়াল ঘরে রেখে তালাবদ্ধ করে ঘুমাতে যান। ভোররাতে চোরের দল গোয়ালঘরের দরজার তালা কেটে গরু ৪টি নিয়ে যায়। সকালে গোয়ালঘরের তালা কাটা ও গরু দেখতে না পেয়ে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। চুরি হওয়া গরু ৪টির আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ টাকা।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গরু চুরির ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কর্ণফুলীতে নিখোঁজ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কর্ণফুলী নদীতে পাথর বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালারপুল এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তির নাম মো. আবুল কালাম মুন্সি। বয়স ৫০ বছর। তিনি নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার সৈয়দ আহমদের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে কর্ণফুলী নদীর কালারপুল এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রীজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাথর বোঝাই একটি ট্রলার ডুবে যায়। এসময় দুইজন নিখোঁজ হয়।  

পটিয়া ফায়ার স্টেশনের লিডার মনি ত্রিপুরা বলেন, নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই ব্যক্তি পাথর বোঝাই ট্রলারের শ্রমিক। বাংলানিউজ

দেশের থানাগুলোতে ৫ বছরে সাড়ে ২৬ হাজার ধর্ষণ মামলা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সারা দেশের থানাগুলোতে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পুলিশের দেওয়া এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

এছাড়া আরেকটি প্রতিবেদনে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার বিচারের সময়সীমা নিয়ে বিধান পালনে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে একটি মনিটরিং টিম গঠনের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এসব প্রতিবেদন দেওয়ার পর বুধবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য ২৩ মে দিন রেখেছেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনায় অর্থের বিনিময়ে বা অন্য কারণে সালিশে মীমাংসা করার উদ্যোগ প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাই কোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় গত পাঁচ বছরে সারা দেশে থানা/আদালত/ ট্রাইব্যুনালে কতগুলো মামলা হয়েছে তার তথ্য জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়।  

এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচারের সমসয়সীমা পালনে ইতোপূর্বে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ ও রায় বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এ আদেশ অনুসারে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশের থানাগুলোতে বিগত ৫ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩৩১টি, ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৬৮৩টি, ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৬৯৫টি, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৭৬৬টি ও ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৬ হাজার ২২০টি মামলা দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের প্রতিবেদেনে বলা হয়, হাই কোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল (৪৪১৭/২০১৬) মামলার রায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩১(ক) ধারা বিধান অনুসারে দাখিল করা প্রতিবেদনগুলো সমন্বয় করে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনার আলোকে মনিটরিং সেল গঠন করা হলো।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সভাপতি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়) এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তার প্রতিনিধিকে (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়) সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০ (৩) ধারায় বলা হয়, বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকাজ শেষ করবে।

৩১ক (১) ধরায় বলা হয়েছে, কোনো মামলা ধারা ২০ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইবার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালকে উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নিকট দাখিল করিতে হইবে, যাহার একটি অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(২) অনুরূপ ক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকেও উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট দাখিল করিতে হইবে, যাহার একটি অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টে প্রেরণ করিতে হইবে।

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন পেশকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। বাংলানিউজ

দেশের ইতিহাসে মাদক মামলায় প্রথম ফাঁসির আদেশ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : গাইবান্ধায় মাদক মামলায় রবি দাস (২৫) নামে এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। বাংলাদেশে মাদক মামলায় এটাই প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায়।

বুধবার দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রবি দাসের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত বেচুরাম দাসের ছেলে। রায় প্রদানের সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। যুগান্তর

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস থেকে রবি দাসকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ৪৩০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় পরদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় মামলা করেন ডিবি পুলিশের এসআই সাজু মিয়া। 

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স জানান, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাদক মামলায় এই প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হলো। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মাসুদার রহমান বিশ্বাস।

জিন সম্পর্কে বিস্ময়কর ১০ তথ্য

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

মুফতি সাআদ আহমাদ : জিন-পরি নিয়ে আছে হাজারো কৌতূহল। কেউ কেউ অতি আবেগে এ ব্যাপারে বিভিন্ন অবাস্তব ঘটনার অবতারণা ঘটায়। আবার কেউ পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের উদ্দেশে এ বিষয়ে অনেক সত্যও অস্বীকার করে বসে। তবে এই লেখা থেকে জিনদের সম্পর্কে এমন ১০টি তথ্য পাওয়া যাবে, যা পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত।

সত্যি কি জিন-পরি বলতে কিছু নেই!
জিন-পরি বলতে কিছু নেই—এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা থেকে জিন সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ২৭)

এ ছাড়া ‘সুরা জিন’ নামের কোরআনে পাকের একটি স্বতন্ত্র সুরার নামকরণ হয়েছে। ছোট-বড় প্রায় ৫৭টি আয়াতে এ সম্পর্কিত বহু বিস্ময়কর তথ্য রয়েছে, যা নিশ্চিতরূপে জিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে।

অভিশপ্ত শয়তান জিনের বংশোদ্ভূত:
কোরআনের ভাষ্য মতে, ইবলিশ শয়তান আদম (আ.)-এর সামনে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। তাই তাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সে ছিল জিনদের বংশোদ্ভূত। (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৫০)

এ ছাড়া পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় শয়তান শব্দ দ্বারা জিনদের কথা বোঝানো হয়েছে।

জিনের আকৃতি কেমন:
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জিনের আকৃতিবিষয়ক যেসব বর্ণনা এসেছে, তা মৌলিকভাবে তিন প্রকার। দৃশ্যমান : অর্থাৎ জিনের প্রকৃত আকৃতি মানব চোখে অবলোকনযোগ্য। (তাবরানি : ৫৭৩) অদৃশ্যমান : অর্থাৎ জিনের আকৃতিবিহীন শুধু শারীরিক উপস্থিতি অনুভূত হওয়া। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৩) বিকৃত আকৃতি : মানুষ, পশু-পাখি কিংবা বৃক্ষলতার আকৃতি ধারণ করা। (তাবরানি : ৪০১২)

জিনরা কী খায়:
মানুষসহ অন্য প্রাণীরা যেমন খাওয়াদাওয়া করে, তদ্রূপ জিনরাও খাওয়াদাওয়াসহ অন্য প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করে থাকে। আল্লাহর নামে জবাইকৃত পশুর হাড়-হাড্ডিই হলো জিনের খাবার। একদা জিনের একটি দল নবীজি (সা.)-কে তাদের এলাকায় নিয়ে গেল। সেখানে নবীজি তাদের কোরআন তিলাওয়াত করে শোনালেন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, আমাদের হালাল খাবার কী? নবীজি (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক ওই পশুর হাড়, যা আল্লাহর নামে জবাই করা হয় (সেগুলোই জিনদের খাবার)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৫৮)

জিনদের বিয়েশাদি এবং সন্তান প্রজনন:
মহান আল্লাহ নিজ প্রজ্ঞাগুণে প্রতিটি বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তাই জিন জাতির মধ্যেও রয়েছে নর-নারীর জোড়া। মানুষের মতো তাদেরও রয়েছে বিয়েশাদি ও বাচ্চা প্রজননের নির্ধারিত প্রক্রিয়া। পবিত্র কোরআনে জান্নাতি রমণীদের কুমারীত্বের বর্ণনায় এসেছে যে তাদের কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি। (সুরা : আর রহমান, আয়াত : ৫৬)

অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কি আল্লাহকে ছেড়ে শয়তান ও তার বংশধরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছ?’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৫০)

এই দুই আয়াত থেকে জিনদের যৌনাকাঙ্ক্ষা ও বংশ প্রজননের বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

জিনদের ধর্ম কী?
জিন জাতি আল্লাহর মাখলুকের মধ্য থেকে একটি মাখলুক। মহান আল্লাহ তাদের রব। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ ও জিন, তোমরা তোমাদের রবের কোনো অবদানকে অস্বীকার করতে পারবে?’

আর প্রত্যেক নবী নির্দিষ্ট অঞ্চলের তৎকালীন মানুষ এবং জিনদের হেদায়েতের বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘ওহে মানুষ ও জিন, আমি কি যুগে যুগে তোমাদের কাছে নবী প্রেরণ করিনি…?’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৩০)

যেহেতু মহানবী (সা.) কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বজগতের জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন, তাই বর্তমান জিনদের জন্য শরিয়তে মোহাম্মদী তাদের ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

জিনদের ধর্মীয় বিধি-বিধান:
মানুষের মতো জিনদের ক্ষেত্রেও ধর্মীয় অনুশাসনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাদের ইহকালীন কৃতকর্মের জন্য হাশরের ময়দানে নিজ নিজ কর্মের হিসাব দিতে হবে। সৎকর্মশীলদের জন্য জান্নাত এবং মন্দ কর্মের জন্য অপরাধীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৪)

মানবদেহে জিনের অনুপ্রবেশ!
আশ্চর্য হলেও সত্য যে জিনরা মানবদেহের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করতে পারে। এমনকি মানুষের জ্ঞানবুদ্ধির ওপরও প্রভাব ফেলে তাকে বিকারগ্রস্তও করে ফেলতে পারে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সুদ খায় তারা কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় দণ্ডায়মান হবে, যেমন শয়তানের আছর (কুপ্রভাব) কাউকে বিকারগ্রস্ত করে ফেলে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)

তদ্রূপ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘শয়তান তোমাদের দেহে অনুরূপ বিচরণ করে, যেমন রক্ত দেহের সর্বত্র প্রবাহিত হয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৮২)

জিনরা কি অদৃশ্য বিষয়ে জানে?
আসমান ও জমিনের কোনো অদৃশ্যের সংবাদ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। তবে অনেক দৃশ্যমান বিষয় জিনরা অদৃশ্য থেকে অবলোকন করে তা বর্ণনা করে, যা অনেকে অদৃশ্যের খবর বলে মনে করে থাকে। এটা নিছক ভুল ধারণা।

সৎকর্মশীলদের ওপর জিনের কুপ্রভাব পড়ে না:
জিন মানবদেহে প্রভাব বিস্তার করতে পারলেও নেককার মুসলমানদের ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা নিষ্ফল হয়। পবিত্র কালামে পাকে জিন ও শয়তানের উদ্দেশে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা আমার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদের প্রতি তোমার কোনো প্রভাব কার্যকর হবে না।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৪৩)

তাই দেখা যায়, ধর্মীয় ব্যাপারে উদাসীন লোকেরাই জিন ও শয়তানের কুপ্রভাব ও কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকে। হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে, টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পাঠ না করলে দুষ্ট জিনরা তার গোপনাঙ্গ নিয়ে খেলা করে। অনুরূপ খাদ্য গ্রহণের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ না পড়লে খারাপ জিন তার খাদ্যে অংশগ্রহণ করে।

মহান আল্লাহ আমাদের জিন ও শয়তানের কুপ্রভাব থেকে হেফাজত করুন। আমিন।লেখক: শিক্ষক, ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া মাদরাসা, ফুলবাড়ীগেট, খুলনা।

পশ্চিম রশিদের পাড়া নূরীয়া হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা মহিলা মাদ্রাসার বার্ষিক সভা ১২ মার্চ

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম রশিদের পাড়া আকবর আলী মুন্সি মহল্লায় অবস্থিত নূরীয়া হযরত আয়েশা ছিদ্দিকী (রা.) মহিলা মাদ্রাসার ৮ম বার্ষিক সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ১২ মার্চ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল ৮টা হতে মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য সভায় সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নুরুল আবছার।

দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ফোরকান উল্লাহ চৌধুরী প্রধান অতিথি, দক্ষিণ সুখছড়ি খালেকিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা অহিদ আহমদ বিশেষ অতিথি, কাঞ্চনা আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মন্নান শামসী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ওয়াজ করবেন আমিরাবাদ সুফিয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা আব্দুস সোবহান, লোহাগাড়া কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের খতিব আব্দুল মন্নান আল কাদেরী ও চরম্বা দারুল আরকাম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মাসুক উদ্দিন।

অনুষ্ঠিতব্য সভায় দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহবান জানিয়েছেন মাদরাসার সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি