- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

বিএনপির অগণতান্ত্রিক আচরণই দেশে গণতন্ত্র বিকাশে প্রধান বাধা : সেতু মন্ত্রী

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : বিএনপির অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে প্রধান বাধা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি মনে করেন, দেশে-বিদেশে এখনো গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি সক্রিয়, এ অপশক্তি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত গণতন্ত্র সূচক-২০২০ প্রতিবেদনে গত একবছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও চার ধাপ এগিয়েছে বলা হয়েছে, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন গণতন্ত্রের পরিসর সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি শেখ হাসিনা সরকারের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার বৈশ্বিক স্বীকৃতি। নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে এ প্রতিবেদনে করোনাকালে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অব্যাহত উত্তরণকেই বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।

এ স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার গতিকে আরও বেগবান করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি প্রায়শই বলে সরকার নাকি দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে জনগণ বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবেই দেখতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করলেও অরাজনৈতিক ভাষায় সরকারের সমালোচনা করছেন এবং অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছেন। বিদেশে বসে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার আর কল্পিত অভিযোগ সম্বলিত কথামালার চাতুরী ছাড়া কিছুই নয় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি নিজেদের অতীত ভুলে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেই এখন উন্মত্ত। অন্ধকারে অলি গলি খুঁজে ব্যর্থ হয়ে কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে তারা এখন আবোল তাবোল বকছে।

সরকার নাকি দুর্নীতি, গুম, হত্যা, দখলবাজীকে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ করতে পরিকল্পনা নিয়েছে, বিএনপি নেতাদের এমন অবাস্তব বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে রাজনীতিতে যা কিছু জনবিরোধী এবং অকল্যাণকর তার সবকিছুই বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চলমান চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন যেসব এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে সেসব এলাকা ছাড়া এর বাইরের সাংগঠনিক এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, যে সব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, এবং ওয়ার্ডে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সেসব ইউনিটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের পরেই শুরু হবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, সবাইকে এখন থেকেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের জন্য দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিটকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

প্রথম সেঞ্চুরি মিরাজের, বাংলাদেশ ৪৩০ রানে অলআউট

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : আন্তর্জাতিক তো দূরে থাক, ঘরোয়া ক্রিকেটেও কখনও তিন অঙ্কের ঘরে যাওয়া হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। সেই তিনিই লম্বা বিরতির পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকরা করেছে ৪৩০ রান।

জোমেল ওয়ারিকানের বলে ২ রান নিয়েই সেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করতে লেগেছে তার ১৬০ বল। স্মরণীয় ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৩ বাউন্ডারিতে।

২০১৮ সালের নভেম্বরের পর টেস্টে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। সর্বশেষ ফিফটিটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তার ব্যাটে রান আসে। এর পর ১২ ইনিংসে মিরাজের ব্যাট কথাই বলেই। তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮।

আর আজ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উদার হয়ে উঠেছে এ অফ-ব্রেক বোলারের ব্যাট। ওয়ারিক্যান-কর্নওয়ালদের অসহায় বানিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। ১৬২ বলে এ শতকের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ১৩ বাউন্ডারিতে এ শতক সাজিয়েছেন মিরাজ।

মিরাজের এ সেঞ্চুরিতে অবদান রয়েছে টেলএন্ডার তাইজুল ও নাঈম হাসান। ৭২ বল খেলে মিরাজকে রান বাড়িয়ে নিতে সাহায্য করেছেন তাইজুল। তিনি নিজেও স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৮ রান। ১১৭ বলে মিরাজ-তাইজুল জুটিতে এসেছে ৪৪ রান।

শ্যানন গ্যাব্রিয়ালের বলে আউট হওয়ার পর মিরাজকে সঙ্গ দেন ২০ বছর বয়সী নাঈম হাসান। অনভিজ্ঞ নাঈমের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে ফেললেন তিনি।

এর আগে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চমৎকার জুটি গড়েন মিরাজ। প্রথম দিন লিটনের পর মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়েন সাকিব। ১৫০ বলে ৬৮ রান করে কর্নওয়ালের বলে আউট হন সাকিব।

কর্ণফুলি নদীতে বিপন্ন শুশুকের বিচরণ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কর্ণফুলি নদীর মোহনার কাছাকাছি ইছানগর  ও ডাঙ্গার চরের মধ্যবর্তী এলাকা এখন ডলফিনের একটি প্রজাতি শুশুকের বিচরণক্ষেত্র। শুশুক স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণি।

এখন এটি বিপন্ন প্রাণি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে দুই ধরনের শুশুক পাওয়া যায়। একটির বৈজ্ঞানিক নাম Orcaella brevirostris এবং অপরটি Neophocaena phocaenoides.

এই শুশুক শিশু বা শিশু মাছ, হউম মাছ, হুছুম মাছ ইত্যাদি নামেও নদীর পারের মানুষের কাছে পরিচিত। একসময় কর্ণফুলি নদীতে প্রায়ই দেখা যেতো শুশুকের ডুব সাঁতার আর লাফিয়ে বেড়ানোর দৃশ্য।  

কিন্তু এখন নদীতে বেড়েছে বড় বড় পণ্যবাহী জাহাজ, অসংখ্য লাইটারেজ জাহাজ আর ছোট-বড় হাজারের অধিক মাছ ধরার ট্রলারের আনাগোনা। ফলে কমছে তাদের সংখ্যা।

স্থানীয় সাম্পান মাঝিরা জানান, মাছ শিকারের আশায় নদীতে এরা ঘুরে ফিরে আর লাফিয়ে বেড়ায় সারাদিন। তবে জোয়ার ও ভাটার সন্ধিক্ষণে এদের চলাচল বেড়ে যায়।

এই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ প্রবেশ ও বাহির হতে থাকে। জাহাজের ঘূর্ণায়মান পাখার আঘাতে কাটা পরে শুশুক। পরে মৃত শুশুক পানিতে ভেসে ওঠে।  

কর্ণফুলি নদীতে সাধারণত মিঠা পানির শুশুকের বিচরণ দেখা যায়। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের লাল তালিকায় প্রাণিটি এখন বিপন্ন। কর্ণফুলি ছাড়া হালদা নদীতেও কিছু সংখ্যক শুশুকের দেখা মিলে।

ছোট ও মাঝারি আকারের মাছই এদের প্রধান খাদ্য। নদীতে শুশুক থাকা মানে ওই স্থানে পর্যাপ্ত মাছ আছে, পানির গুণাগুণ আর জলীয় অবস্থা ভালো। শুশুক এমন সব প্রজাতির মাছ খায়, যেগুলো অন্যান্য মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কারণে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর অনেক জায়গায় পলি পড়ে গেছে।  ফলে শুশুকরা এখানে চলে এসে বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাদের জীবন।  অনেক প্রাণীর বিচরণক্ষেত্রও ছোট হয়ে গেছে।  নদী গভীর হলে হারিয়ে যাওয়া অনেক বিপন্ন প্রাণি আবার ফিরে আসবে, করবে বংশবৃদ্ধি। বাংলানিউজ

গবেষকদের প্রণোদনা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : গবেষকদের প্রণোদনা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কীভাবে গবেষকদের প্রণোদনা দেওয়া যায় সে কৌশল ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রকাশিত ‘১০০ কৃষি প্রযুক্তি এটলাস’- এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ চান তিনি। সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষকদের কীভাবে আমরা প্রণোদনা দিতে পারি বা গবেষকরা যেন তাদের গবেষণার ফসল না পাওয়া পর্যন্ত থাকতে পারেন, সেটা আমরা কীভাবে করতে পারি। বহুবার এটা নিয়ে চিন্তা করা হয়েছে। একবার একটা ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা গেলো যে গবেষকদের জন্য যে সুযোগটা দিতে চাই, তারা সেখানে যারা কাজ করেন সবাই সেই সম সুযোগ পেতে চান। এ হিসেবে সেই অফিসের পিয়ন, আর্দালী দারোয়ান থেকে শুরু করে কেউ আর বাদ যায় না। এটাতো হয় না, এটাতো সম্ভব না। এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের সমস্যা। ‘

বিজ্ঞানীদের যত ধরনের সহযোগিতা লাগবে সরকার তা দেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা গবেষণা করবেন তারা যেন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে গবেষণাটা করতে পারেন আর গবেষণায় যেন লিপ্ত থাকতে পারেন। সেটা কীভাবে করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে, সেখানে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের ইনস্টিটিউটগুলোতে প্রণোদনা কীভাবে দিতে পারি সেই পরামর্শ চাই। আমি চাচ্ছি আমাদের যারা গবেষক, কৃষি গবেষক তাদের আরও সুযোগ দিতে। ’

অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষাগার নির্মাণের তাগিদ
এলাকাভিত্তিক ফসল উৎপাদন সম্ভবনা নিয়ে জোনম্যাপ এবং অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষাগার নির্মাণের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এইটুকু বলবো আমাদের কৃষিপণ্য যাতে মানসম্মত হয়, তার জন্য আরো পরীক্ষাগার তৈরি করা দরকার। সেইসঙ্গে আমাদের অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষাগার নির্মাণ প্রয়োজন। দেশের মাটির ঊর্বরতা এবং পরিবেশ বিবেচনা করে আমাদের কোন অঞ্চলে কোন ফসল সব থেকে ভালো এবং বেশি উৎপাদন এবং উন্নতমানের উৎপাদন হতে পারে তারও একটা জোনম্যাপ করা দরকার। এ ম্যাপিংটা খুব বেশি প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটা ব-দ্বীপ। কিন্তু আমরা দেখেছি একেক অঞ্চলে কিন্তু একেকটা জিনিস ভালো হতে পারে। আমরা অল্প খরচে অধিক মাত্রায় ফসল উৎপাদন কীভাবে করতে পারি সেইগুলো বিবেচনায় এনে আলাদা আলাদা জোন ভাগ করে দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের পণ্য উৎপান বাড়াতে হবে। আমাদের কাছে যেমন দেশীয় বাজার আছে আবার বিদেশি বাজারও আছে, যেন আমরা রপ্তানি করতে পারি সে কথা মাথায় রেখে আমাদের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।

কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি শুধু আমার দেশে না, সারাবিশ্বে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কৃষির বাজার কখনও সংকুচিত হবে না। তাই খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, মানসম্মত করা এবং বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন তার সঙ্গে সামঞ্জস্য করা। ’

বাংলাদেশে কৃষি গবেষকদের সাফল্য এবং গবেষণা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জাত আবিষ্কারের বিকল্প নেই। এজন্য গবেষণা অধিকতর গুরুত্বপূ্র্ণ।

বৈচিত্রময় কৃষিপণ্য উৎপাদন, প্রকিয়াজাতকরণ ও রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর। আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। আমরা এ কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। নতুন নতুন কৃষি পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাত করে নিজেদের বাজার ধরে রাখতে হবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি করতে হবে।

খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চয়তার জন্য কৃষি পণ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংস উৎপাদনে সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনায় বলেছিলাম, আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্যে যাতে সংকট না হয়, পাশাপাশি আমরা যেনো অন্যকেও সহায়তা করতে পারি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সফল কৃষক রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষিসচিব মেসবাউল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি : তারেক রহমানের ২ বছরের কারাদণ্ড

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে এক মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ রায় দেন। জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট সঞ্জিব কুমার বসু মামলার রায়ের বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।-বাংলানিউজ

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে আদালত এ আদেশ দেন। আসামি গ্রেফতারের পর থেকে এ রায় কার্যকর। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে তারেক জিয়া ইংল্যান্ডের ইস্ট লন্ডনের এন্ট্রিয়াম ব্যাংকওয়েট হলে যুক্তরাজ্যে বিএনপির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাজাহান বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।