- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আগ্রহ কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের

নিউজ ডেক্স : দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক বছর ধরে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ছে। গতানুগতিক সিলেবাস, অবকাঠামো ও আবাসন সঙ্কটের কারণে বিদেশিরা আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ চিত্র উল্টো। প্রতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুবিধা ও পরিবেশ নিশ্চিত করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশিরা আসতে আগ্রহী হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ৪৬ তম বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টিতে ৪৮২ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮০৪। অন্যদিকে ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টিতে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৯৪৯ জন। সে তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

ইউজিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকের মধ্যে ২০১০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫৯ জন, ২০১১ সালে ২১০ জন, ২০১২ সালে ৫২৫ জন, ২০১৩ সালে ৩২৬ জন, ২০১৪ সালে ৪৩২ জন, ২০১৫ সালে ৫৯৩ জন, ২০১৬ সালে ৩৫৫ জন, ২০১৭ সালে ৪৬২, ২০১৮ সালে বেড়ে তা ৮০৪ জন ভর্তি হয়েছে। তবে এর পরের বছর ২০১৯ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি প্রায় অর্ধেকে নেমে ৪৮২ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, গত ৫ বছরের হিসাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সব বছর বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। তার মধ্যে ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৪৮ জন, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৯২৭ জন, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৯৭৭ জন, তবে ২০১৮ সালে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সে বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা তুলনামূলক হারে কমে গিয়ে ১ হাজার ৩৮৬ হয়। অবশ্য পরে তা বেড়ে ১ হাজার ৪৬৭ জনে দাঁড়ায়।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের ৪০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশিরা স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে পড়াশোনা করতে আসে। তার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ফিলিপাইন, মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ভারতের শিক্ষার্থী রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে যেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ও বিদেশি ফ্যাকাল্টি মেম্বার থাকাটা অধিক গুরত্বপূর্ণ। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট অনেক বলে আমাদের পক্ষে সেসব সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করলেও শিক্ষার মানের দিকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে আমরা বিশ্ব মানের শিক্ষা বাস্তবায়নে মাত্র যাত্রা শুরু করেছি।’

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘সামগ্রিক সুন্দর পরিবেশ বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়ায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ, আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা আসতে আগ্রহ পারে। এর ফলে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।’

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থী কম থাকায় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে। তারা না আসলে মনে করতে হবে আমরা একঘরে হয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে মনে করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম ক্লাস রুম সঙ্কট রয়েছে। একটি ক্লাসে ১৬০ জন পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের চাপে ক্লাসের পরিবেশ বজায় থাকে না। চরমভাবে আবাসন ও খাবার সঙ্কট রয়েছে। বিদেশিরা এসব মেনে নিতে পারে না। ঢাকা মহানগরে এমন পরিস্থিতি, ঢাকার বাইরে এ সমস্যা আরও বেশি।’

সমাধান হিসেবে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘সেমিস্টার অনূযায়ী স্বল্প সময়ে সিলেবাসের চাপে ভালো ফলাফল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে গবেষণা, লাইব্রেরি ও জার্নাল সম্প্রসারণ ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য মানসম্মত ক্যাফেটোরিয়া তৈরিসহ আধুনিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’

এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার কোর্স-কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখে বাংলাদেশে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, কানাডার মতো উন্নত দেশগুলো থেকেও শিক্ষার্থীরা পড়তে আসছে। সে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও উন্নীত করা প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের এমন আগ্রহের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে কেয়ার করে থাকি। আমাদের ডিগ্রি নিয়ে কেউ বেকার থাকতে হচ্ছে না। এখানে সেশনজট নেই। যারা আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশিরা পড়তে আগ্রহী হচ্ছে। মানসম্মত সিলেবাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নানাবিধ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। নিজ তহবিল থেকে গবেষণায় কার্যক্রমের সুযোগ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।’

অধ্যাপক আতিকুল বলেন, ‘ঢাকায় হলি আর্টিসানের ঘটনার কারণে বিদেশিরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এতে সে বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেলে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির করণে সেই ট্রেন্ড (প্রবণতা) থেকে গেছে। বর্তমান সঙ্কট কেটে গেলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ছে না। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা করে না। এছাড়া যেসব দেশে এক সময় উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না সেসব দেশে এখন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে, ফলে ওইসব দেশ থেকে শিক্ষার্থী আসতে চাচ্ছে না।’

পাশাপাশি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সীমিত ও নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা আসতে চাইতে চাইলেও সুযোগ পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাগো নিউজ

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায়ে বাইসাইকেল পেল ৮ স্কুলছাত্র

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : টানা ৪০ দিন মসজিদে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করাসহ দ্রুত ১০টি সুরা শিখতে পারা আট স্কুলছাত্রকে দেয়া হলো নতুন বাইসাইকেল। সামাজিক অবক্ষয়রোধ আর স্কুলপড়ুয়া ছাত্রদের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টির চেষ্টায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটি ইউনিয়নের কামার নওগাঁ গাছপাড়া গ্রামের যুবসমাজ।

গত ২৩ নভেম্বর বিদ্যালয় পড়ুয়া চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী ২৩ জন ছাত্র ব্যতিক্রমী এই ধর্মীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বাদ জুমা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম কামার নওগাঁ গ্রাম। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম এটি। ফাজিলহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড হলেও উপজেলার প্রত্যন্ত এই গ্রামটিতে রয়েছে চরম শিক্ষাব্যবস্থার অভাব। নেই প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর ফলে গ্রামটিতে রয়েছে সামাজিক অবক্ষয়ের চরম ঝুঁকি। ঝুঁকির শঙ্কা এড়াতে স্কুল পর্যায়ের ছাত্রদের অংশগ্রহণে নেয়া হয়েছে ধর্মীয় চর্চার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) কামার নওগাঁ গ্রামের বায়তুল মামুর জামে মসজিদে শুরু হয় এ প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণ করে ২৯ জন ছাত্র। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাতুল মিয়া। এছাড়া দশম শ্রেণির ছাত্র নাসিম দ্বিতীয়, তাইম মিয়া তৃতীয়, চতুর্থ ইমন মিয়া, পঞ্চম নাজমুল মিয়া, ষষ্ঠ নিরব মিয়া, সপ্তম সিফাত ও অষ্টম হয়েছে সজিব মিয়া।

প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রধান ফয়সাল আহম্মেদ জানান, গ্রামের সামাজিক অবক্ষয়রোধে ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছাত্রদের মোবাইল ও মাদকাসক্ত মুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী দিন (২০ নভেম্বর) শুক্রবার মসজিদে জামাতে ফজর নামাজ আদায় করাসহ টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছাত্রদের নিয়ে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় নামাজ পড়ার পাশাপাশি নেয়া হয় কোরআন শিক্ষা গ্রহণসহ কমপক্ষে ১০টি সুরা মুখন্ত করার নিয়ম।

প্রতিযোগিতার শেষ দিনে টানা ৪০ দিন মসজিদের জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, দ্রুত কোরআন শিক্ষাগ্রহণ করাসহ সর্বোচ্চ সুরা মুখস্তকারী ছাত্রদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় থেকে অষ্টম পর্যন্ত বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।

বিজয়ী প্রতিযোগী আটজনকেই উপহার দেয়া হয়েছে বাইসাইকেল। বিজয়ী আটজনকে বাইসাইকেল দেয়া হলেও ফলাফল অনুসারে নির্ধারণ হয়েছে সাইকেলের দাম ও মান। এছাড়া উৎসাহ ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ছাত্রকেই দেয়া হয় বিভিন্ন ধরনের উপহার। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন আয়োজক প্রধান।

নিয়মিত নিজে নামাজ পড়ার পাশাপাশি অন্যদেরও নামাজ পড়তে উদ্বুদ্ধ করবে বলে জানিয়েছে প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অধিকারী রাতুল মিয়া।

দ্বিতীয়স্থান অধিকারী দশম শ্রেণির ছাত্র নাসিম জানায়, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত নামাজ আদায়ের অভ্যাস হওয়ায় বেজায় খুশি সে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জামাতে নামাজ আদায় করার ইচ্ছে তার।

প্রতিযোগিতার বিচারক ও বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা এখলাস উদ্দিন বলেন, এ উদ্যোগের ফলে মসজিদের জামাতে নামাজ আদায়কারী ছাত্রদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই কোরআন পড়তে শিখেছে। প্রতিযোগিতায় নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কোরআন শিক্ষা, সর্বোচ্চ সুরা মুখস্তকারী নির্ণয়ে নেয়া হয়েছে পরীক্ষা। এর ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ হয়েছে বিজয়ীদের স্থান বলেও জানান তিনি।

ফাজিলহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কামার নওগাঁ গাছপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী বলেন, সামাজিক অবক্ষয়রোধে স্থানীয় যুবসমাজ প্রশংসিত এ উদ্যোগটি গ্রহণ করে। আমরা এতে সহায়তা করি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ফাজিলহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সরকার শহীদ, ফাজিলহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কামার নওগাঁ গাছপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী, বায়তুল মামুর জামে মসজিদের উপদেষ্টা মো. মনিরুল ইসলাম মনিরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। জাগো নিউজ

ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন যারা নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেই ত্যাগী নেতাদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, এ দলে সুযোগসন্ধানীদের কোনো স্থান নেই। যারা দলের জন্য নিবেদিত তারাই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাধান্য যেমন পাবেন, তেমনি দলীয় ভাবেও পদ পদবিতে স্থান পাবেন। আগামীতে কোনো কাউয়ার স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল ফোরকান আহমদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একশ্রেণির লোক আওয়ামী লীগকে ‘নিরাপদ স্থান’ হিসেবে ব্যবহার করতে দলে ঢুকে পড়ছে। যারা অপকর্মে লিপ্ত, যারা অবৈধ আয়ের পথে রয়েছে, যারা অবৈধ আয়ের টাকা রক্ষা করতে মরিয়া মূলত তারাই দলে অনুপ্রবেশকারী। নৌকায় বেশি যাত্রী হলে ডুবে যাবার উপক্রম হয়, তাই আর কোনো যাত্রীর দরকার নেই।  

আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন বিষয়ে নেতাদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর সময় দলের জন্য ত্যাগী, বিশ্বস্তদের নাম পাঠাবেন।দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

কক্সবাজার কেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারের মানুষ ভাবেনি এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিমানবন্দর হবে। স্বপ্নকে হার মানিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে। গৃহহীনকে ঘর দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও কক্সবাজারের এই চিত্র ছিল না। এখানে যেসব উন্নয়নকাজ হচ্ছে তা অকল্পনীয়। দেড়শ’ বছর পর দেশের রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ কক্সবাজারেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে, সেটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর ছেঁড়া কাপড়, খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। গ্রামে-গঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার। তা আওয়ামী লীগের নেতাদের কারণে সম্ভব হয়েছে।  

শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। মতবিনিময় সভায় ১২ বছর আগের উন্নয়ন এবং এখনকার উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরতে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।  বাংলানিউজ

দুর্নীতির অভিযোগে নেদারল্যান্ডস সরকারের পদত্যাগ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : শিশু কল্যাণ তহবিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করলো নেদারল্যান্ড সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বিবিসি।

খবরে বলা হয়, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট রাজার কাছে মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দেন।

নেদারল্যান্ডসের হাজার হাজার পরিবার শিশু কল্যাণ তহবিল থেকে পর্যাপ্ত অর্থ না পেয়ে আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে বেশি সমস্যায় পড়েছেন অভিবাসী পরিবারগুলো।

নেদারল্যান্ডসে সরকারের পদত্যাগের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০০২ সালেও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তৎকালীন সরকার পদত্যাগ করেছিল।

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৩৪

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ শ’ মানুষ।

শুক্রবারের (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে এ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। এ সময় আতঙ্কিত লোকজন ভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানের দিকে ছোটেন। খবর: সিএনএন।

সুলাওয়েসি দ্বীপের মাজেনি শহরের ছয় কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ১০ কিলোমিটার গভীরে এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা প্রাথমিকভাবে এ তথ্য দিয়েছে।

দেশটির স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আলী রহমান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।  

শপথের আগেই বাইডেনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। শপথ নেওয়ার আগেই ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই প্যাকেজে বেকারভাতা, করোনায় গৃহহীন হওয়া মানুষদের জন্য সহায়তা ও খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আরও বেশি সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

২০২০ সালের শেষ পর্বেই এক দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেটে সম্মতি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে সেই বিলে সই করতে রাজি না হলেও পরে তা করে দেন। ট্রাম্প সই করলেও এই ফান্ডের পরিকল্পনা করেছেন বাইডেন এবং পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই তারা প্রথম বৈঠক করেছিলেন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সে বিষয়ে। এবার সেই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতেই পরিকল্পনা। বাইডেন ইতোমধ্যে এক দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক প্যাকেজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে তার পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার ৩ লাখ কোটি ডলারের প্রথম নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজটি ঘোষণা করে গত বছরের মার্চে। এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে ৯০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিতীয় প্যাকেজটি ঘোষণা করা হয়।

এবার বাইডেন যে প্যাকেজটি ঘোষণা করলেন, তাতে আগের দুই প্যাকেজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেওয়া সরকারি সহায়তার পরিসর ও পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

চসিক নির্বাচনী প্রচারণায় ছুরিকাহত ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরের দেওয়ানবাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ছুরিকাঘাতে আহত আশিকুর রহমান রোহিত (২২) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। নিহত রোহিত নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে। তিনি বাকলিয়া থানাধীন ডিসি রোডের বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর দিন ৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি রোহিতের ভাই জাহিদুর রহমান বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় তিনজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- মহিউদ্দিন, বাবু এবং সাবু।

ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন মহিউদ্দিন, বাবু এবং সাবু। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাকলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসির আরাফাত।

এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আশিকুর রহমান রোহিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চকবাজার গুলজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তারা অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া যুবলীগ নেতা সাকিবুর রহমান বলেন, আশিকুর রহমান রোহিতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রোহিতের হত্যাকারী মহিউদ্দিন, বাবু এবং সাবু এখনও গ্রেফতার হলোনা কেন? তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সড়ক ওপর থেকে সরিয়ে দিতে আসে টহল পুলিশ। এ সময় টহল পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। বাংলানিউজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কওমি মাদ্রাসা বাদে দেশের অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল। সেই সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে আরও এক দফা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা এলো।

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়নি সরকার। তবে শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

আর গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হবে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে। বিডিনিউজ

বড়হাতিয়ায় যুবক খুনের ঘটনায় মামলা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়ায় মো. সাইফুল (৩০) নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে নিহতের মা কুলসুমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত স্থানীয় আবু তাহেরের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে ২১ ডিসেম্বর একই এলাকায় স্থানীয় তৌহিদ গ্রুপের হাতে মোজাম্মেল হক (৩০) নামে এক যুবক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছিল। নিহত সাইফুল ওই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন। তৌহিদুল ইসলাম জেল থেকে জামিনে বের হবার পর থেকে ওই মামলার স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি দুপুরে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা কালিনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুর্বৃত্তের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরতর আহত হন মো. সাইফুল নামে এক যুবক। একইদিন রাত ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত যুবক সাইফুল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কুমিরাঘোনা হারিমুন পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র।

লোহাগাড়ায় দুই ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া সদরের বটতলী মোটর ষ্টেশনে দুই ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় এক ট্রাক চালক আহত হয়েছেন। তবে তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজারমুখী লম্বা পিলার বোঝাই ট্রাকের পেছনে একইমুখী মাল বোঝাই ট্রাক (চট্টমেট্রো-ট-১১-৬৩৫৪) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে মাল বোঝাই ট্রাকের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হয় ওই ট্রাকের চালক। দূর্ঘটনার পর পরই পিলার বোঝাই ট্রাক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা আহত চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুর রউফ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দূর্ঘটনা কবলিত মাল বোঝাই ট্রাক হাইওয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।