- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির অভিযোগ

সাংবাদিক জমির উদ্দিন

নিউজ ডেক্স : তথ্য জানতে চাওয়ায় এক সাংবাদিকের নামে মামলা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষারের বিরুদ্ধে।

রেলওয়ের টিকিট বিক্রির প্রায় ৯৪ হাজার টাকা ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে শনিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জমির উদ্দিন নামে ওই সাংবাদিককে এ হুমকি দেন।

জমির অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। তিনি বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী রুটের ছয়টি স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকার হদিস না পাওয়ার বিষয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সর্বশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সামছ তুষার ক্ষিপ্ত হন। এর এক পর্যায়ে এই রেল কর্মকর্তা আমাকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারি’ বলে হুমকি দেন।

ফোনালাপের রেকর্ড রয়েছে উল্লেখ করে জমির উদ্দিন দাবি করেন, ফোনালাপের শুরুতে তিনি সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি টিকিট বিক্রির টাকা খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইতেই সামছ তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর এক পর্যায়ে সাংবাদিক জমির তদন্ত রিপোর্টের সময়সীমার বিষয়ে জানতে চাইলে আরও রুঢ় ব্যবহার শুরু করেন ওই রেল কর্মকর্তা।

সাংবাদিক জমিরের ভাষ্যমতে, এরপর তিনি (সামছ তুষার) বলেন, ‘এটা কি আপনাদের? আপনি দুই দিন পরপর ফোন করতেছেন। আপনি কিভাবে জানেন এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে? আমার ভেতরের জিনিস আপনি কীভাবে জানলেন? কে দিয়েছে এই তথ্য ? এই যে শোনেন, আপনি যে এই তথ্যটা ইয়ে করছেন, আমি কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল অ্যাক্টে অ্যাকশন নিতে পারি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষার বলেন, ‘আমি হুমকি দেইনি, আমার কাছে কল রেকর্ড আছে।’

চট্টগ্রাম-নোয়াখালী রুটের (নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের) ছয়টি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা চট্টগ্রামে পাঠানোর উদ্দেশে সিন্দুকে সিলগালা করে লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়।

শাহাবুদ্দিন সিন্দুকটি গার্ডের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন। ট্রেনের গার্ড চট্টগ্রাম পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিসে বুঝিয়ে দিতে গেলে দেখা যায় সিন্দুকটির তালা ভাঙা। একই সঙ্গে সিন্দুক থেকে ‘হাওয়া’ হয়ে যায় ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিনকে সিন্দুকের তালা ভাঙার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। এরপরও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সিন্দুকের গায়ে নতুন একটি কার্ড ট্যাগ লাগিয়ে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। জাগো নিউজ

২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ নিয়ে কারো যদি তদন্তাধীন কোনো বিষয় থাকে তাহলে সেগুলো বাদ থাকবে। পরবর্তীকালে তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হলে তালিকায় নাম যুক্ত হবে।

শনিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর কালাকৈর এলাকায় সামিট গ্রুপের অর্থায়নে ৩৮নং কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা ভবন উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করে ৩০ দিন সময় দেয়া হবে। এ বিষয়ে কারও আপত্তি আছে কি-না তা দেখা হবে। আপত্তি না থাকলে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবো। আর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ মার্চ।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সেটিকে সামিটের অর্থায়নে তিনতলা ভবন করা হয়েছে। আমরা এখন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় উন্নীত করবো। সামিটের মতো অন্যদেরও এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করা উচিত।

jagonews24

নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সামিট গাজীপুর-২ পাওয়ার এবং এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, সামিট গ্রুপের অর্থায়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে শূন্য দশমিক ৮ একর জমির উপর নতুন তিনতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে আগে ৩০৪ বর্গফুটের চারটি শ্রেণিকক্ষ ছিল। এখন ৫৪০ বর্গফুটের দশটি শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে।

সায়েন্স ল্যাব ও কম্পিউটার ল্যাবের জন্য নির্ধারিত কক্ষ করা হয়েছে। একটি গ্রন্থাগার করা হয়েছে। স্কুলে অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার, শিক্ষকদের কক্ষ দুটি, একটি সভাকক্ষসহ পুরো স্কুলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখ, সামিট বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদানকারী। দেশের হসপিটালিটি শিল্প, ফাইবার অপটিক্স, টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার, হাইটেক পার্ক, বন্ধর ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন খাতে সামিট ব্যবসা পরিচালনা করে।

দেশে যে কারণে শীতে গরমের অনুভূতি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশের সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারি হলেও এবার চিত্র পুরো উল্টো। গত ১২ থেকে ১৫ দিন ধরে ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়ছে। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩০ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নেই শৈত্যপ্রবাহের দেখা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারিতে এমন তাপমাত্রা অস্বাভাবিক। ভারতীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘোর শীতের মধ্যেও এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়ার এ আচরণের ব্যাখ্যা দিয়ে শনিবার (৯ জানুয়ারি) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। দিনের তাপমাত্রা ঢাকাতে ৫ ডিগ্রি বেশি, আর রাতের তাপমাত্রা বেশি হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এটা অস্বাভাবিক, মানে গরমের মতো হয়ে গেছে। শুধু এখানে (ঢাকা) না, পুরো দেশেই এই অবস্থা ।’

জলবায়ুগত পরিবর্তনের প্রভাবে এমনটা হচ্ছে উল্লেখ করে এ আবহাওয়াবিদ বলন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। ২০২০ সালে প্রকাশিত উপমহাদেশের জলবায়ু পবির্বতন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পড়লাম। ওখানে দিল্লি থেকে বা হিমালয় পাহাড়ের নিচ থেকে পুরো বাংলাদেশকে হিন্দুকোষ বলা হয়েছে। হিন্দুকোষের ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তাপমাত্রা বেড়ে গেছে প্রায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মানে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এর প্রভাবই এখন পড়ছে। এ বছর হঠাৎ গরম পড়ে গেছে। আবার কোনো কোনো বছর এমন ঠাণ্ডা যাবে যে…। মানে তীব্র ঘটনাগুলো বেশি ঘটবে।’

এবার জানুয়ারি এতটা গরম হওয়ার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে বজলুর রশিদ বলেন, ‘শীতের যে ক্রাইটেরিয়া (নির্ণায়ক) স্বাভাবিকভাবে সেটাকে আমরা বলি উচ্চচাপ বলয়। অনেক উপর থেকে হিমেল বাতাস নিচের দিকে ঢোকে, বা উপর থেকে ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে ঢোকে। কোনো কারণে পশ্চিমা লঘুচাপ থাকলে শীতে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয় বা গরম আবহাওয়া বিরাজ করে। শীতে মাঝে মাঝে পশ্চিমা লঘুচাপ এসে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বা তাপমাত্রা বাড়ে। পশ্চিমা লঘুচাপ প্রধানত উৎপন্ন হয় ভূ-মধ্যসাগর থেকে। সেখান থেকে লঘুচাপ পূর্ব দিকে এসে কাজাখস্তান, ইরান, আফগানিস্তানে এসে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর একটা হিমালয় পাহাড়ের উত্তর দিয়ে চলে যায়, আর একটা দিল্লি হয়ে উত্তরপ্রদেশ হয়ে বিহার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর পশ্চিমা লঘুচাপ আসার পরে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অঞ্চলে এসে আর নড়াচড়া করছে না। এর প্রধান কারণ আরবিয়ান সাগর থেকে জলীয়বাষ্প পেয়েছে, যে কারণে সেটা ওখানে অবস্থান করছে। অবস্থান করার কারণে সেটা ওখান থেকে ব্লক করে দিয়েছে। ফলে দিল্লিতে অনেক ঠান্ডা। দিল্লির পরে উত্তরপ্রদেশ থেকে আর ঠান্ডা নেই। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলাদেশে গরম। ওখানে যেহেতু ব্লক হয়ে গেছে, ওটা না ছাড়ার কারণে ঠান্ডা বাতাস আর ঢুকতে পারছে না। শীতকালে জলীয়বাষ্প আসলে সাধারণত সেটা তিন থেকে চারদিন থাকে। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে প্রায় ১৫ দিন এরকম হয়ে গেছে। আশা করা যায় আরও দুই দিন লাগবে ওটা কাটতে।’

বজলুর রশিদ বলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে উইন্ড (বাতাস) প্যাটার্ন পরিবর্তন হয়ে গেছে। সাধারণত বাতাসটা এ সময় উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসে। পশ্চিমা লঘুচাপ যদি আরব সাগর থেকে জলীয়বাষ্প পেলে ওখানে স্থির হয়ে থাকে। যেহেতু বাতাসের ধরন পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাই সেটা দীর্ঘসময় সেখানে অবস্থান করছে। সেজন্য সারাদেশের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে।’ জাগো নিউজ

ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানের সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটির সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গেছে। উদ্ধারকর্মীরা পানিতে কিছু ধ্বংসাবশেষ পেয়েছেন, যা নিখোঁজ বিমানটির বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বাসারনাস অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা আগুস হারয়োনোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

হারয়োনো বলেন, ধ্বংসাবশেষগুলো নিখোঁজ বিমান শ্রিয়িজায়া এয়ার ফ্লাইট এসজে১৮২-এরই কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, ‘আমরা পানিতে কিছু ক্যাবল, জিন্সের টুকরা ও ধাতব টুকরা পেয়েছি।’

বিবিসি জানায়, অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বিমানটি শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে জাকার্তা থেকে উড্ডয়ন করেছিল। উড্ডয়নের মাত্র দেড় মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ১০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রেজিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, বোয়িং ৭৩৭-৫০০ বিমানটির বয়স ২৭ বছর। এটি জার্কাতার শ্রিয়িজায়া এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন। শ্রিয়িজায়া জানিয়েছে, তারা বিমানটির তথ্য সংগ্রহে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি ও প্রার্থনা করছেন।

২০১৮ সালেও ইন্দোনেশিয়ায় আরেকটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দেশটির ‘লায়ন এয়ার’ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ১২ মিনিট পর সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ১৮৯ যাত্রী প্রাণ হারান।

আমিরাবাদে শীতবস্ত্র ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল ‘দশে মিলে করি কাজ’

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

বিজয়ের ৫০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ মল্লিক ছোবহান হাজির পাড়ার সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন শতাধিক দুঃস্থদের মাঝে ‘দশে মিলে করি কাজ’ শীতবস্ত্র ও কোভিড সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় সিদ্দিক-এ-আকবর (রা.) তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক এম. সাইফুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক আবদুল বাকী চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাজির পাড়া হামেদিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলহাজ¦ ইঞ্জিনিয়ার সেলিম উল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নুরুল কবির চৌধুরী, খোরশেদ আলম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান চৌধুরী, আবদুল কাদের চৌধুরী, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, নুরুল আলম চৌধুরী ও মো. আরিফুল ইসলাম ফয়সাল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অসহায় শীতার্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা আমাদের সকলের দায়িত্ব। নিজেরা ভালো থাকার মধ্যেই সুখ ও সাফল্য অনুভব করা যায় না। নিজেদেও পাশাপাশি সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করার মধ্যেই প্রকৃত সুখ অনুভব করা যায়।

বক্তারা আরো বলেন, তীব্র শীতে অনেক অসহায় দুঃস্থ মেহনতি মানুষ শীতবস্ত্রেও অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসলে ইনশাআল্লাহ দুঃস্থ শীতার্থ মানুষের কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে। পারস্পরিক সহযোগিতা সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যরে মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ পুর্ণতা পায়।

শীতবস্ত্র ও কোভিড সুরক্ষা সমাগ্রী বিতরণকালে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক এম. সাইফুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানবতার জন্য হাত বাড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময় সত্যিকারের অসহায় শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের সবার উচিত বিশে^র এই ক্রান্তিকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ কষ্টের ভাগীদার হওয়া। অতীতে যে কোন দূর্যোগে সরকারের পাশাপাশি এই সংগঠন অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেওে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। পরিশেষে বিশে^ও এই ক্রান্তিকালে আমার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশ-বিদেশের কিছু সাদা মনের মানুষ আর্থিক অনুদান, শ্রম, পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে প্রবাসী মুজিবুর রহমানের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমি সকলের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

এই কার্যক্রম সম্পাদনে যারা কঠোর শ্রম দিয়েছেন তারা হলেন, মো. ফোরকান, মো. সেলিম উদ্দিন, মো. মাঈনুদ্দিন হাসান, মো. মহসিন, মো. মহিন, মো. রবিন, মো. সাজিদ ও মো. জিহাদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি