- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে!

নিউজ ডেক্স : ফরিদপুরে কনের সিদ্ধান্তে এবং তার পরিবারের প্রস্তাবে মাত্র এক টাকা দেনমোহরে এক যুগলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার মেজবান পার্টি সেন্টারে তাদের বিয়ের কাবিন হয় এবং বিয়ে পরবর্তী ভোজের আয়োজন করা হয়।

বিয়ের কনে বিপাশা আজিজ (২৫) মাদারীপুরের সাহেবের চর মহল্লার আজিজুল হক ও নাসরিন সুলতানা দম্পতির একমাত্র মেয়ে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে বর আশীকুজ্জামান চৌধুরী (৩০) ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও তাহমিনা চৌধুরী দম্পতির ছেলে। আশীকুজ্জামান ব্যবসা করেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া তার স্বজনরা জানান, কনে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন তার বিয়ের কাবিনে দেনমোহর হবে এক টাকা। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজী দেনমোহরের জায়গায় দুই লাখ টাকা লেখেন। এ ঘটনা জানার পর কনের মা তার মেয়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক টাকা দেনমোহর লেখান।

এ বিষয়ে ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, সাধারণত দেখা যায় কনে পক্ষই দর কষাকষি করে কাবিনের সময় মোহরের পরিমাণ বাড়িয়ে থাকেন। এটি একটি ব্যতিক্রম এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এক নারীর আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রতীকও বটে।

তবে এক টাকা দেনমোহরে দ্বিমত পোষণ করেছেন নারী নেত্রী শিপ্রা গোস্বামী। তিনি বলেন, মুসলিম বিয়ে একটি চুক্তি। মোহরানা নারীর হক। স্বামীর আর্থিক সংগতি ও নারীর সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে দেনমোহর নির্ধারিত হয়ে থাকে। এখানে আবেগের কোনো স্থান নেই। আবেগের বশে মোহরানায় এক টাকা লেখা যেতে পারে কিন্তু এটি মোটেও বাস্তব সম্মত নয়। তিনি আরও বলেন, ওই নারী বর্তমানে সচ্ছল হতে পারেন কিন্তু আগামীতেও তিনি স্বচ্ছল নাও থাকতে পারেন। জাগো নিউজ

বাবা-মা যখন টাকা বানানোর মেশিন, তখন সন্তান মানুষ হবে কিভাবে?

Posted By admin On In উন্মুক্ত পাতা,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

রাশেদা রওনক খান : যারা কাল থেকে ধর্ষণের এই সংবাদটি নিয়ে কিছু লিখতে বলছেন, তাদের বলি, কি হবে এসব নিয়ে কথা বলে? আমরাই কি দায়ী না সমাজের এসব অস্থিরতা তৈরির জন্য?

আমাদের সাধ্য যা, তারচেয়েও তিনগুন বেশী খরচ করছি বাচ্চাদের পেছনে! ফলে বাবা-মা ছুটছেন টাকার পেছনে কেবল, টাকার মেশিন হয়ে গেলে বাবা-মা হওয়া যায়? ছেলে-মেয়েকে কেবল দেশের নামী এবং দামী স্কুলে পাঠালেই হবে, মানুষ বানানোর দায় নেই? একটা ছেলে কিভাবে বেড়ে উঠছে, তার মনোজগতের সাথে মায়ের কোনো সম্পর্ক তৈরী হয়না! একজন শিক্ষিত মা জানেনই না, তার ছেলে একজন পুরোপুরি ধর্ষক হয়ে বেড়ে উঠছে ঘরের ভেতরে বসেই! বাবা-মা দুজনেই ছুটছেন হয় টাকা বানাতে অথবা টাকা খরচ করতে!

মা-সন্তানের বন্ধন কি টাকা দিয়ে কেনা যায়? সেটা কিনতে হয় গুনগত সময় দিয়ে। লোকমা দিয়ে ভাত মুখে তুলে দেয়াকে কোয়ালিটেটিভ সময় বলে না! গুনগত সময় হলো, সন্তানের সাথে গল্প করা, তাদের গল্পগুলো শোনা, সারাদিন স্কুলে কি করলো, কার কার সাথে মিশে, ইত্যাদি গল্প করে জানা। তার মনোজগতে একটা মানবিক চৈতন্য গড়ে তোলা! তাকে মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা, তাকে জীবনের গল্প বলা, নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবন বোধকে কাছ থেকে দেখানো, তার মনোজগতের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা! বাবা’রা তো আরো দূরে, যেন টাকা উৎপাদন করাই তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য! কেননা, পরিবারের যে ব্যয় বেড়েছে, তা তাকেই উপার্জন করতে হবে! কেন, ব্যয়কে কি সংবরণ করা যায়না? আমাদের বাবা মায়েরা এতো অল্প আয়ের মাঝে পারলে আমরা কেন পারবোনা?

শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন ফিস আর স্কুলের মোটা অংকের ফিস দিয়েই যদি সন্তান মানুষ হয়ে যেতো, তাহলে যারা আজ সমাজে আদর্শ মানুষ তাদের মা বাবার টাকার পাহাড় থাকতো, ব্র্যান্ডের গাড়ি থাকতো, বাড়ি থাকতো! তাদের কাছে এসবের মূল্য ছিলোনা, ছিল কেবল সন্তানের মূল্য! আর আজ আমরা এমন সমাজ তৈরী করেছি, যেখানে ভালো সন্তান তৈরী করার বদলে প্রতিদিন নতুন জামা, শাড়ি, ব্র্যান্ডের শার্ট, ঘড়ি, বাড়ি, গাড়ি, এসবই আমাদের মূল আগ্রহের জায়গা!

আমরা ছুটছি এসব বিলাস বহুল দ্রব্যের পেছনে, কে কত দেখাতে পারি! আমরা ভাবছি, টাকা আয় করি আর ব্যয় করি, এতেই সকল সুখ! কিন্তু এই সুখ যে সুখ নয় একবার ঐশী বুঝিয়েছিল, আজ আবারও প্রমাণিত হলো! এর মাঝে অনেক ঘটনা ঘটেছে, সব হয়তো গণমাধ্যমে আসেও না। এইরকম আরো সংবাদ আসবে ঘরে ঘরে, যেভাবে মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে আমাদের বাচ্চারা! আরো কত আসক্তি তৈরী হবে বাচ্চাদের ভেতরে খোঁজ পাবেন না এই মা বাবারা তাদের টাকা বানানোর নেশার ভিড়ে! এসব খবর আসতে বাধ্য করছেন বাবা মায়েরাই, যাদের কাছে ছেলে-মেয়ে কোন স্কুলে পড়ছে, কোন ব্র্যান্ডের গাড়ি, কাপড়, ঘড়ি কিনছে সেগুলোই স্ট্যাটাস সিম্বলের মূল ইন্ডিকেটর!

সন্তান যা চায়, তাই কিনে দেয়াটাকেই অনেক বাবা মা মনে করেন এটাই আদর, ভালোবাসা! কি তুচ্ছ, কি কৌশলী, কি স্বার্থপর আমরা আজকাল! সন্তানের সাথেও করছি ব্যবসা! তাদেরকে গুনগত সময় দিচ্ছিনা, তাদের সাথে খেলিনা, হাসা-হাসি করিনা, মাসে একটা সিনেমা দেখিনা একসাথে বসে, একটা গল্পের বই নিয়ে আলাপ করিনা, তাদের সাথে আড্ডা দেইনা, বিনিময়ে টাকা বা পণ্য দিচ্ছি, কারণ আমরা তো টাকা উপার্জনে ব্যস্ত, টাকা বানানোর মেশিন হয়েছি! মানুষ হওয়া, মানবিক হওয়ার গল্প যাদের কানে কোনোদিন পৌঁছেনি, তারা কি করে মানবিক হবে!!? সেটা আমরা আশা করি কিভাবে?

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, নৃতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।

ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন না ক্রেতারা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজ। চলছে ভরা মৌসুম। এদিকে, গত সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার পেঁয়াজ পাঠাতে শুরু করেছে ভারত। এতে বিপদে পড়েছেন দেশি কৃষকরা। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে স্বস্তিতে নেই আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। বাজারে এখন খুব বেশি চাহিদা নেই ভারতীয় পেঁয়াজের।

বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, দামও কম। আর তুলনামূলক বেশি দাম হওয়ায় মানুষ ভারতীয় পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। গত বছরের শেষদিকে এসে (২৯ ডিসেম্বর) এ রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি। এরপর চলতি বছরের শুরুতে (২ জানুয়ারি) থেকে অন্যান্য বন্দরের মতো সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়েও ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করে দেশে।

পেঁয়াজের বড় পাইকারি বাজার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজার। সেখানকার আড়তদার মেসার্স সাকিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ টাকায় আর খুচরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা। আর মেহেরপুর জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম আরও কম। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ২০-২২ টাকা ও খুচরা ২৫ টাকা। হল্যান্ডের পেঁয়াজ পাইকারি ১৯-২০ টাকা, খুচরা ২০-২১ টাকা। কিন্তু, ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি ৩৬-৩৭ টাকা ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। এগুলো কিনে আড়তে রেখে লোকসানে পড়েছি। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৯ টাকা দরে কিনে আমি বিক্রি করছি ৩৫ টাকায়। তবুও মানুষ কিনছে না। আড়তে ২০০ বস্তা পেঁয়াজ নিয়ে এখন বিপদে পড়েছি।

ভোমরা সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা আকবার আলী জানান, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২০৪১ দশমিক ৮ মেট্রিক টন। এসব পেঁয়াজে কোনো শুল্ক নেয়া হয়নি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিলে বাংলাদেশ সরকার আমদানিতে শুল্ক ‘ফ্রি’ করে দেয়। সরকারি সেই সিদ্ধান্ত এখনও বহাল রয়েছে।

ভোমার বন্দরের ব্যবসায়ী বিপ্লব ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী রতন বলেন, ‘এ পর্যন্ত পাঁচ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছি। তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। ভারত থেকে কিনে এনে খরচ ধরে বিক্রি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দেশি পেঁয়াজের থেকে কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা বেশি দাম পড়ছে। এতে ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজেই বেশি ঝুঁকছে।’

তিনি আরও বলেন, এখন আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। বর্তমানে প্রতিদিন ১০-১২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস ও দফতর বিষয়ক সম্পাদক জিএম আমির হামজা জানান, ‘চাহিদা না থাকায় আমদানি করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা (বিপণন) সালেহ মো. আব্দুল্লাহ জানান, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা, হল্যান্ডের পেয়াজ ১৮-২০ টাকা ও ভারতীয় পেয়াজ প্রকারভেদে ৩৩-৩৭ টাকা। যখন দাম চড়া ছিল তখন আমদানিকারকরা লাভের আশায় হাজার হাজার টন পেঁয়াজ এলসি করে রেখেছে। এখন তারা পড়েছেন মহাবিপদে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৬২০ হেক্টর জমিতে। গত বছর চাষাবাদ হয়েছিল ৫৫৫ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ বেশি হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে ছয় হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ। চাহিদা রয়েছে ২০-২২ হাজার মেট্রিকটন।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, দেশে যখন সবজি উৎপাদন মৌসুম চলছে ঠিক তখনই আবারও ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ। এতে দেশি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মৌসুম নয় এমন সময় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে কৃষকরা লাভবান হতে পারত। জাগো নিউজ

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীর (১৭) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ু পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা, তার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে কেমিক্যাল পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।’

এর আগে বয়স নির্ধারনের জন্য ওই ছাত্রীর মরদেহের এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়। পরে স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে যান।

ওই স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার ‘বন্ধু’ তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আলামিন। ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, গত রাতে তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) আসামি করে ছাত্রীর বাবা ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন এক তরুণ। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। খবর পেয়ে নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।

এরপর কলাবাগান থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে ওই তরুণের তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরকেও আটক করে। পরে চারজনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে ওই ছাত্রীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এর আগে দিহানের বরাত দিয়ে পুলিশের এসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পরিবারের সবাই বাইরে থাকার সুযোগে পূর্বপরিচিত ওই স্কুলছাত্রীকে তাদের ডলফিন গলির ফ্ল্যাটে নিয়ে যান দিহান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। জাগো নিউজ

গাড়ি চালকদের সামনে নতুন বিপত্তি ডিজিটাল টিভি স্ক্রিন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ফ্লাইওভারে আলো জ্বালানোর খরচ যোগাতে বিলবোর্ড বসাচ্ছে চসিক। তবে ডিজিটাল এ বিলবোর্ডের আলোর ঝলকানিতে রাস্তায় গাড়ি চালানো দুরূহ হয়ে উঠছে। ফ্লাইওভারের নিচে বিলবোর্ডের এই অভিনব সংস্করণে গাড়ি চালকদের সামনে নতুন বিপত্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে ডিজিটাল টিভিস্ক্রিন।গত কয়েকদিন ধরে নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জিইসি থেকে লালখান বাজার অংশের নিচে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ডিজিটাল টিভিস্ক্রিন স্থাপন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গাড়িচালকসহ নগরবাসীর মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে সিটি কর্পোরেশন বলেছে, জনগণের সমস্যা হলে বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জিইসি থেকে লালখান বাজার অংশে আইল্যান্ডের উপর বিশেষ কায়দায় বেশকিছু ফ্রেম বসানো হয়েছে। এসব ফ্রেমে টিভিস্ক্রিন বসিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়। কয়েকটি ফ্রেমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। অন্য ফ্রেমগুলোতে দুইটি টেলিফোন নম্বর দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ফ্লাইওভারের দামপাড়া, ওয়াসা মোড় ও পুনাক ভবনের কয়েকটি ডিজিটাল স্ক্রীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ম্যাক্স গ্রুপ নামের প্রতিষ্ঠান চসিকের সাথে চুক্তির প্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপন প্রচারে ডিজিটাল টিভি স্ক্রীন স্থাপন করেছে। চসিকের নির্দেশনার আলোকেই ফ্রেমগুলো তৈরি করা হয়েছে। এসব বিজ্ঞাপনের আয় থেকেই ফ্লাইওভারের বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি বাগানসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ পরিচালিত হবে। ডিজিটাল ফ্রেমে দেয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বিজ্ঞাপন প্রচারে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। এজন্য চসিককে এককালীন ও বার্ষিক বড় অংকের অর্থ প্রদান করা হয়েছে। ডিজিটাল টিভিস্ক্রিনের আলোর ঝলকানিতে রাতে রাস্তায় গাড়ি চালানো দায় হয়ে উঠেছে। একাধিক চালক জানান, তীব্র আলোর কারণে সামনে কি আছে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

মোহাম্মদ আনোয়ার নামের একজন চালক গতকাল বলেন, আগে বিলবোর্ড উপরে ছিল। আকাশ দেখা যেতো না। নতুন এ বিলবোর্ড রাস্তা দেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ এধরনের অভিযোগ করেনি। আমাদের চালকদের সাথেও কথা বলেছিলাম, তারা তেমন সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে। এরপরও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। এক্সপার্ট দিয়ে বিষয়টা দেখা হবে। প্রয়োজনে চুক্তি রিভিউ করা হবে। তিনি বলেন-ম্যাক্সের সাথে সৌন্দর্যবর্ধন চুক্তি রয়েছে। এর আওতায় তাঁরা ডিজিটাল স্ত্রীন বসাচ্ছে। সেখানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করা হবে, সাথে বাণিজ্যিক বিষয়ও থাকতে পারে। দৈনিক আজাদী

মালবাহী ট্রাকে করে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৩

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার শাহপরীর দ্বীপের ডেল পাড়া এলাকার মৃত সোনা মিয়ার পুত্র এনাম উল্লাহ (৪১), সাতক্ষীরার কোমরপুর এলাকার মৃত অজেত খাঁর পুত্র মো. হাসানুর খাঁ (৩০) ও উখিয়া থানার পালংখালি পূর্ব পারবিল এলাকার মনিরুজ্জামানের পুত্র মো. রায়হান (২০)।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মালবাহী ট্রাকে তল্লাশী করে এনাম উল্লাহ ও হাসানুর খাঁ’র কাছ থেকে পাওয়া যায় ৮ হাজার পিস ইয়াবা। এছাড়া বাসযাত্রী রায়হানকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।

লোহাগাড়া বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির পাল্টা আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি বটতলী মোটর ষ্টেশন প্রদক্ষিণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকারিয়া, উপজেলা যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুসলিম উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন, দিদার আলম, মো. বশর, মনছুর আলম, মো. তৌহিদ, মো. ফারুক, মো. ফোরকান, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মো. ইলিয়াছ, মো. আসিফ, মো. ইয়াছিন, মো. মিনহাজ, হেলাল উদ্দিন ও মো. নাঈম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আওতাধীন সাতটি ইউনিটে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস। এতে লোহাগাড়া উপজেলায় সাজ্জাদুর রহমানকে আহবায়ক ও সালাহ উদ্দিন চৌধুরী সোহেলকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি