- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ডিসির দরজা সবার জন্য খোলা রেখেছি : ইলিয়াস হোসেন

নিউজ ডেক্স : সবার জন্য সব সময় সেবার দরজা খোলা রেখে দায়িত্ব পালন করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।  দুই বছর দশ মাস চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা জানান।

মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, দায়িত্ব নিয়েই সংশ্লিষ্টদের ডেকে বলেছিলাম- ডিসির দরজা যেন সবার জন্য খোলা থাকে। একজন ভিক্ষুকও যেন আমার সঙ্গে দেখা করতে পারে। আমি যতই ব্যস্ত থাকি- কাউকে যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে না হয়।

কেউ বলতে পারবেন না, আমার কাছে এসে সেবা না নিয়ে ফিরে গেছেন। দাফতরিক ফাইল দেখার পাশাপাশি আমি সবার কথা শুনেছি। নিয়মের মধ্যে প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জনসেবায় জনপ্রশাসন- এই নীতি মেনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সবাইকে সেবা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, লাল ফিতার দৌরাত্ম- এসব বন্ধ করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছি। স্মার্ট আর্মস লাইসেন্স, স্মার্ট ডিলিং লাইসেন্স চালু করেছি। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা ডিজিটাল করেছি। ফাইল আটকে রাখার দিনকে বিদায় দিয়েছি।

দিনরাত কাজ করেছি, মানুষের পাশে থেকেছি 

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, করোনার শুরুতে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং দিনমজুররা কষ্টে পড়ে যান। চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের অভাব দেখা দেয়। করোনার কারণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা সবার ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিই। প্রায় ১ লাখ পরিবারকে বাড়িতেই ত্রাণ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, অনেকে ত্রাণের জন্য রাত ১২টায় ফোন দিয়েছেন। কেউ পরিচয় গোপন রেখে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন। কাউকে ফিরিয়ে দিইনি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম চালু করেছি। সারাদিন সেখানে ত্রাণ চেয়ে যত ফোন আসতো- রাতে আমাদের কর্মকর্তারা ফোনে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে ত্রাণ দিয়ে আসতেন।

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, আক্রান্তদের ঘরে রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। ইউএনও, এসিল্যান্ড, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবার সহায়তায় সেটি নিশ্চিত করে।  

তিনি বলেন, করোনাকালে কাজ করতে গিয়ে নিজে আক্রান্ত হয়েছি। আমাদের অনেক সহকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আমরা সরকারি দায়িত্ব পালনে পিছ পা হইনি। এক সেকেন্ডের জন্য জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। দিনরাত কাজ করেছি। মানুষের পাশে থেকেছি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

হ-য-ব-র-ল স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর চট্টগ্রামে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা, আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন, স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়। তবে সবার সহযোগিতায় আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর পর বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতালে ছুটেও রোগী ভর্তি করানো যায়নি। স্বাস্থ্যখাতে হ-য-ব-র-ল দেখা দেয়। তবে প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের কারণে সেখানে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়। সব তথ্য নিয়ে আমরা ‘হসপিটাল ফাইন্ডার’ চালু করি।

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়ে রাজনীতিক, শিল্পপতি থেকে শুরু করে সবার সহযোগিতায় করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সংগ্রহ, পর্যাপ্ত অক্সিজিন সিলিন্ডার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। শুরুর দিকে যেখানে ১টি হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলার জন্য হাহাকার ছিলো- সেখানে এখন ৩০০টির বেশি ক্যানোলা আছে চট্টগ্রামে।  

তিনি বলেন, জরুরি ওষুধ এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম নিয়ে যে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়ে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সেটি নিয়ন্ত্রণে এনেছি আমরা। চট্টগ্রামে এখন কোথাও ওষুধ আর অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পাহাড় ধস হয়েছে, মানুষ মারা যায়নি

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, পাহাড় আর সাগরে ঘেরা চট্টগ্রামে প্রতিবছর পাহাড়ধসে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটত। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেদিকে বিশেষ নজর দিই। সব পাহাড়ে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিছু পাহাড় ব্যক্তি মালিকানার হওয়ায় সেখানে ফের বসতি গড়ে উঠলেও বর্ষায় তাদের সরিয়ে দিই আমরা।

তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পাহাড়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছি। তাদের জন্য সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছি। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এতে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পেরেছে। ফলে বর্ষায় বৃষ্টিতে পাহাড় ধস হলেও গত কয়েকবছরে কেউ মারা যায়নি।  

হত্যার হুমকি পেয়েছি, অভিযান বন্ধ করিনি

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটা কমিটমেন্ট ছিলো। কর্ণফুলী নদী রক্ষায় দুই তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা। এ কাজে বরাদ্দ চেয়ে কয়েকবার চিঠি দিয়েও সাড়া পাইনি। দখলদারদের কাছ থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি। তবে কমিটমেন্ট থেকে সরে আসিনি। কর্ণফুলীর দুই তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ একর জায়গা দখলমুক্ত করেছি।

তিনি বলেন, বন্দর আইন অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরের। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাকি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে। আমরা সাহস নিয়ে শুরু করেছি। আশা করি- তারা এর শেষ করবে। কর্ণফুলীর সব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে কর্ণফুলীকে দখলমুক্ত করবে।

প্রাথমিকে সুবিধা বেড়েছে শিক্ষার্থীদের 

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, শিশুরা আগামীর কর্ণধার। তাদের সুশিক্ষিত করার বিকল্প নেই। এ জন্য জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন শুরু করি। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজে ক্লাস নিয়েছি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে দিয়েছি। শিক্ষা উপকরণ দিয়েছি। মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করেছি। এখন প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সুবিধা বেড়েছে। অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন।

হালদা নদী এখন বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেশের অন্যসব নদীর চেয়ে হালদা আলাদা। তাই হালদার মা মাছ রক্ষায় আমরা নানা উদ্যোগ নিই। হালদা থেকে ১৮টি বালুমহাল উচ্ছেদ করা হয়।  সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হালদায় এ বছর রেকর্ড মা মাছের ডিম পাওয়া গেছে। হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে হালদা মা মাছের স্বর্গরাজ্য হবে।  

বদলে যাবে চট্টগ্রাম, ভালো লাগবে দেখে

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে দুই হাত ভরে দিয়েছেন। এখানে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। সিটি আউটার রিং রোড় হচ্ছে। লিংক রোড় হচ্ছে। বে-টার্মিনাল হচ্ছে। ৬ লেনের সড়ক হচ্ছে। মিরসরাইয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এসব প্রকল্পে বদলে যাবে চট্টগ্রাম।

তিনি বলেন, কয়েক বছর পর আকাশপথে চট্টগ্রাম এলে বিমানবন্দর থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ২০ মিনিটে সার্কিট হাউজে আসতে পারবো। সড়ক পথে শহরের যানজট মাড়িয়ে সিটি আউটার রিং রোড় দিয়ে সাগর পাড়ে গাড়ি ড্রাইভ করে টানেল দিয়ে দ্রুত কক্সবাজারে যেতে পারবো।  

তখন চট্টগ্রামের বদলে যাওয়া এই দৃশ্য দেখে সবচেয়ে বেশি খুশি হবো আমি। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে নানান কাজে সম্পৃক্ত থেকে এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করতে পারায় আমার ভালো লাগার পরিমাণটা বেশি থাকবে। অন্যরকম সুখ পাবো।

চ্যালেঞ্জ ছিলো, মোকাবিলা করেছি

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে একটি মহানগরের পাশাপাশি ১৫টি উপজেলা আছে। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের সবচেয়ে বড় বন্দর। চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেক সমৃদ্ধ। সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে এখানে। তাই স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করা চ্যালেঞ্জের ছিলো।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের রুটিন কাজের বাইরে গত কয়েক বছরে অনেক সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে কাজ করতে হয়েছে। সব কাজ করেছি। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। বাংলানিউজ

দু’হাজার একুশ এর প্রথম সূর্যোদয় !!

Posted By admin On In শীর্ষ সংবাদ,সাহিত্য পাতা | No Comments

______ ফিরোজা সামাদ______
ভোরের আকাশ ভরলে তুমি রেশমি লাল আভায়
ওগো সূর্য এই ভোর প্রভাতে তোমায় চেনা দায় ||

শুধু কি অালোর ঝলক পড়েনা চোখের পলক
শুধু কি অালোর ঝলক পড়েনা চোখের পলক
রক্তজবা অার সূর্যমুখী একই রঙ ছড়ায়
রক্তজবা অার সূর্যমুখী একই রঙ ছড়ায়
ওগো সূর্য এই ভোর প্রভাতে তোমায় চেনা দায় ||

অালোর ওই ঝলকানিতে পাখি হারায় কাকলিতে
অালোর ওই ঝলকানিতে পাখি হারায় কাকলিতে
সাগরের ঢেউ হেসে হায় পড়েছে পাড়ের পায়
সাগরের ঢেউ হেসে হায় পড়েছে পাড়ের পায়
ওগো সূর্য এই ভোর প্রভাতে তোমায় চেনা দায় ||

অামার এই হৃদয় মাঝে তোলপাড় হয় কি যে
অামার এই হৃদয় মাঝে তোলপাড় হয় কি যে
কতো যে ভালোলাগা অাকাশ পানে ধায়
কতো যে ভালোলাগা অাকাশ পানে ধায়
ওগো সূর্য এই ভোর প্রভাতে তোমায় চেনা দায় ||

ভোরের অাকাশ ভরলে তুমি রেশমি লাল অাভায়
ওগো সূর্য এই ভোর প্রভাতে তোমায় চেনা দায়
ওগো সূর্য……… ||

নাস্তিক-মুরতাদ ধ্বংস করতে প্রয়োজনে শহীদ হব : বাবুনগরী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকতে বাংলাদেশকে স্পেন হতে দেব না বলে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা সচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

তিনি আজ শুক্রবার (১জানুয়ারি) জুমার নামাজের পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাবুনগরী আরো বলেন, যত ষড়যন্ত্র করা হোক কওমি মাদরাসা বন্ধ করতে পারবে না। কেয়ামত পর্যন্ত কওমি মাদরাসা চালু থাকবে। হাটহাজারী মাদরাসা জনগণের (কওম) মাদরাসা, আমরা তাদের চাকর, এ মাদরাসা কওমের (জনগণের) সহযোগিতায় চলে। কোন বিদেশি দেশি ষড়যন্ত্র কওমি মাদরাসা বন্ধ করতে পারবে না। দেশের হক্কানী আলেম ওলামা সম্মানের পাত্র ওলামায়েকেরাম আল্লাহর অলি। আলেম-ওলামাদের সাথে বেয়দবি কখনো সহ্য করা হবে না। নাস্তিক-মুরতাদ অপশক্তির ধ্বংস করতে প্রয়োজনে শহীদ হব।

তিনি বলেন, সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়, মৃত ব্যাক্তিদের লাশ দাফনের জন্য কেহ এগিয়ে আসতো না। লাশ ফেলে রেখে স্বজনরা পালিয়ে যেত। তখন ওলামায়ে কেরাম করোনায় মৃতদের লাশ দাফন কাফনের মতো বিশাল সেবামূলক কাজ করেছেন। ওলামায়ে কেরাম না থাকলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের লাশ কুকুর শেয়ালে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেত। আল্লামা শাহ জমির উদ্দিন রহ. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, আল মারকাজুল ইসলামি এবং তাকওয়া ফাউন্ডেশন করোনাকালীন সময়ে সেবামূলক বহু কাজ করেছেন। সুতরাং ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে বিষোদগার করলে এদেশের তৌহিদি জনতা বরদাশত করবে না।

মাহফিলের শেষ অধিবেশন ছিল সমাবর্তন তথা দাওরা হাদীস (মাস্টার্স) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা পাগড়ি প্রদান। শিক্ষার্থীরা আবেগঘন পরিবেশে পাগড়ি গ্রহণ করেন। পাগড়ি প্রদান শেষে মজলিসে ইদারীর প্রধান মুফতী আজম আল্লামা আব্দুচ্ছালাম চাটগামী মূল্যবান নসীহত করে মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্তি করেন।

দিনব্যাপী উক্ত মাহফিলে মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী জসিমুদ্দীনও শিক্ষক নূরুল আবছারের যৌথ সঞ্চালনায় আরো  বক্তব্য রাখেন হযরত মাওলানা আল্লমা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা নূরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা নোমান ফয়জী, মুফতী জসীম উদ্দীন, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, ড.আফম খালিদ হোসেন,মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মামুনুল হক,মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী, মাওলানা লোকমান, মাওলানা খোবাইব, মুফতী হাবীবুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা সাআদাত, মাওলানা নূরুল আবছার,মাওলানা আজীজুল হক আল-মাদানী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আয়ূবী প্রমূখ। কালের কন্ঠ

বিএনপি সবসময় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের নেতিবাচক কথা এবং নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে বরং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১১ চ্যালেঞ্জ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা প্রতি বছরের শুরুতেই একথাটি বলেন। আমাদেরকে হঠিয়ে বাংলাদেশে তারা ক্ষমতায় আসবেন। আসলে উদ্দেশ্য তা নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে সবসময় গন্ডগোল পাকানোর উদ্দেশ্য তাদের থাকে। সেই গন্ডগোলের মধ্যে তারা পানি ঘোলা করে সেখানে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করে আসছে। তাদের এই হুমকি ধমকি অপচেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে।

২০২১ সালের প্রথম দিনে দেশবাসীর পাশাপাশি বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে আমরা পৃথিবীর মানুষ স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারিনি, নতুন বছরে মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা হচ্ছে নতুন বছরে যাতে খুব সহসা আমরা স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারি, আবার আগের পৃথিবীতে ফেরত যেতে পারি।

তিনি বলেন, নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে বিএনপি এতদিন ধরে যে নেতিবাচক রাজনীতি করে এসছে, মানুষকে জিম্মি করার রাজনীতি করে এসেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার রাজনীতি করে এসেছে, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে এসেছে, সেটি থেকে বেরিয়ে এসে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় তারা ফেরত আসবে।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিশু কিশোররা যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তির মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে, এটি তাদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিশু কিশোররা যাতে সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে, তাদের মনন ও মেধা বিকশিত হতে পারে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা হতে পারে সে জন্য কিন্তু খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, এখন খেলাধুলা সীমিত হয়ে গেছে, কারণ মাঠও সীমিত হয়ে গেছে। আমাদের আরো খেলাধুলার মাঠ বাড়াতে হবে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে অনুরোধ জানাবো কিছু মাঠ বাড়ানোর জন্য। সম্ভব হলে ওয়ার্ড ভিত্তিক মাঠ তৈরি করা গেলে ছেলেমেয়েদের খেলার জন্য সুযোগ তৈরি হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার ক্রীড়ামোদি ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছেন। তার হাত ধরেই আমাদের নারী যুব ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নিজেও খেলোয়াড় ছিল, তিনি ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলে পড়তেন তখন তাঁর বাবার নেতৃত্বে টিম আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে টিমের মধ্যে খেলা হয়েছিল, সেই খেলায় বঙ্গবন্ধুর টিম বাবার টিমকে হারিয়ে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামাল খেলোয়াড় ছিল। শেখ খামালের নবপরিণিতা বধু সুলতানা কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা নারী ক্রীড়াবিদ ও এথলেট ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহেশখালি কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমন আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আলী আব্বাস। কালের কন্ঠ

আগামী ৩ দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশে আগামী তিনদিনের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তার পরের পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে শ্রীমঙ্গল, নওগাঁ, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, রাজারহাট ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য জায়গায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। জাগো নিউজ

বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারের ৪ যাত্রী নিহত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নরসিংদীর বেলাবোতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী ও ভৈরবের সীমান্তবর্তী এলাকা দরিকান্দি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা বেইজিং ডাইং অ্যান্ড উইভিং ইন্ডাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার নোয়াব আলী (৫৪), নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চলনা গ্রামের খায়রুন্নাহার (৩৫), তার বোন তিষা (২২) ও কামনা (২৪)। নিহত অন্যজন হলেন প্রাইভেটকারের চালক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় লুনা বেগম (৩৭) নামের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আল মোবারাক (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৭২৩৫) বাসটি নরসিংদীর বেলাবোর দড়িয়াকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ-৩১-৭৮৭২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চারযাত্রী নিহত হন। এসময় আরও এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাজল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। তাকিয়েই দেখি, একটা প্রাইভেটকার একটি বাসের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে। প্রথমে চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলাম। বাসটি প্রাইভেটকারটিকে নিচে ফেলে রাস্তায় ঘষতে ঘষতে অনেক দূর নিয়ে যায়। পরে এগিয়ে গিয়ে দেখি চারজনই মারা গেছেন।’

jagonews24

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান জানান, আল মোবারক যাত্রিবাহী বাসটি প্রাইভেটকারের ওপর উঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, দুই গাড়িরই প্রচণ্ড গতিতে চলছিল। তাই সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারে থাকা চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। জাগো নিউজ

চকরিয়ায় বাস-পিকআপ সংঘর্ষে চালক-শ্রমিক নিহত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও ডাম্পারের (পিকআপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালের দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের বরইতলী মাদরাসা গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার শফিউল আব্বাসের ছেলে ডাম্পার চালক মোহাম্মদ মানিক (২৬) ও শ্রমিক মো. তারেকুল ইসলাম বাবু (২২)। বাবু মুরারপাড়ার শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বান্দরবানের লামা থেকে চট্টগ্রামমুখী সৌদিয়া পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-২০৭৫) ও কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মাটিভর্তি ডাম্পার (চট্ট মেট্টো-অ-১১৬) গাড়িটি মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মাদরাসা গেট এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি মহাসড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে। এতে দুর্ঘটনাস্থলে ডাম্পার চালক ও হাসপাতালে নেয়ার পর ডাম্পারের শ্রমিক নিহত হন।

এ সময় মহাসড়কের উভয়দিকে প্রায় আধঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মহাড়কের চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনায় পতিত ডাম্পার গাড়িটি ক্রেন দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুর্ঘটনায় আহতদের মাঝে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-সৌদিয়া বাসযাত্রী বান্দরবানের লামা উপজেলার জয়ন্তু বড়ুয়ার মেয়ে নিশীথা বড়ুয়া (১৮), স্বপন বড়ুয়ার ছেলে অতুল বড়ুয়া (২২), মৃত দুদু মিয়ার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৭০), অংহা মংয়ের ছেলে হাচিং মং (২৪) ও পেকুয়ার দক্ষিণ মেহেরনামা বলিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের আবু বক্করের ছেলে মমতাজ আহমদ (২৮)। মমতাজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

চকরিয়ার বানিয়ারছড়া চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান জানান, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদেরকে দ্রুত সময়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। জাগো নিউজ

লোহাগাড়ায় পানিতে ডুবে ১৪ শিশুর মৃত্যু

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : ২০২০ সালে লোহাগাড়ায় পানিতে ডুবে ১৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর, খাল ও বালতির পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। পুরো বছরের সংবাদগুলো পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

১ জানুয়ারি পশ্চিম কলাউজান রাজা মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুরে ডুবে ইবরাতুল জান্নাত ইলফা (৬) নামে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু। ৮ জানুয়ারি আমিরাবাদ জনকল্যাণ এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মুনতাসির আলম সিয়াম (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু।

১৭ ফেব্রুয়ারি আমিরাবাদ রাউজন্যা পাড়ায় পুকুরে ডুবে নূর মোহতাসিমাত মিলহান (৩) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব কলাউজান মিয়াজি পাড়ায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মো. আরফাত (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু।

১৪ মার্চ চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা দক্ষিণ পাড়ায় পুকুরে ডুবে আফিফা সোলতানা (৪) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ১১ এপ্রিল আমিরাবাদ ইউনিয়নের মল্লিক ছোবহান হাজির পাড়ায় খালে দাদা ও পিতার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে আল ওয়াজেদ রাফি (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যু। ২১ এপ্রিল চরম্বা ইউনিয়নের তেলিবিলা এলাকায় পুকুরে ডুবে মাইমুনা আক্তার জারিন (৮) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু।

১৯ মে পদুয়া ইউনিয়নের নাওঘাটা মাঝির পাড়ায় পিতার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে খালে ডুবে মো. জিহাদ (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু। ২৩ জুন সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট মাওলার পাড়ায় বাথরুমে বালতির পানিতে ডুবে মো. তাসকিন নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু। ১ জুলাই আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আধু ফকির পাড়ায় পুকুরে ডুবে মাঈনুদ্দিন বিন নাজিম জায়েদ নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু।

২৩ আগস্ট সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুখছড়ি সৈয়দ বাড়ির পুকুরে ডুবে তাহিয়্যাতুল জান্নাত নামে ১৮ মাসের এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ১০ সেপ্টেম্বর পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক আলীবিবির পাড়ায় পুকুরে ডুবে রুমাইসা জান্নাত (২) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু।

২৬ অক্টোবর বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় পুকুরে ডুবে জান্নাতুল মাওয়া (৩) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু। ৫ নভেম্বর আধুনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সমশু মেম্বার পাড়ায় পুকুরে ডুবে মরিয়ম বিনতে একরাম মাহিরা (২) নামে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু।

এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, সাঁতার না জানার কারণে বেশিরভাগ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। মায়েরা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকা ও অসতর্কতার কারণে পানিতে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে পরিবারের সকলের সতর্ক থাকতে হবে। কোনভাবেই শিশুদের দৃষ্টির আড়ালে যেতে দেয়া যাবে না।

লোহাগাড়ায় নিখোঁজের ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ব্যবসায়ীর

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর। তিনি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট সওদাগর পাড়ার মৃত আহমদ সওদাগরের ছেলে।

গত বুধবার রাত ৮টা থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তার ভাই মো. সেলিম লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

তিনি জানান, ঘটনার দিন বিকেলে নিজ বাড়ি সংলগ্ন খামারে যান তার ভাই আনোয়ার। রাতে বটতলী মোটর ষ্টেশনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের পর থেকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন ব্যবসার পাশাপাশি জাতীয় পার্টির রাজনীতির করতেন। নিজস্ব খামারে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। তাকে উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমিরাবাদ ইউপি সদস্য নুরুন্নবীর অর্থায়নে শীতবস্ত্র বিতরণ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. নুরুন্নবীর নিজস্ব অর্থায়নে ৩ শতাধিক হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়নের আমিরাবাদ সুফিয়া আলিয় মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ইউপি সদস্য মো. নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস. এম. ইউনুচ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মাহামুদুল হক, সাংবাদিক এম. এম. আহমদ মনির, আমিরাবাদ ইউপি সদস্য যথাক্রমে আক্কাস উদ্দিন, মোহাম্মদ এরশাদ, নেজাম উদ্দিন, শিবলু আক্তার, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ আমিরাবাদ শাখার আহবায়ক মোহাম্মদ ইকবাল ও ব্যবসায়ী মিজবাহ উদ্দিন রাজিব।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রচন্ড শীতে এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মেম্বার নুরুন্নবীর এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এলাকার বিত্তবানদের শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।